পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ২, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মুলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ছবি
মুলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মুলা সাধারণত সাদা, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণ: ১০০ গ্রাম মুলা থেকে ১৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ২৫ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ১৪.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২৮ মিলিগ্রাম জিংক এবং ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যতথ্য:  ১)মুলার ক্যারোটিনয়েডস চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, বৃহদন্ত, কিডনী এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। ২)মুলার ফাইটোস্টেরলস হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৩)জন্ডিস আক্রান্ত হলে মুলা রক্তের বিলিরুবিনের কমিয়ে তাকে একটি গ্রহনযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসে যা কিনা জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ৪)মুলা মানুষের ক্ষুধাকে নিবৃত্ত করে এবং নকম ক্যালরিযুক্ত সবজি হওয়ায় দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ৫)অর্শের প্রধান কারন হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ সব্জী মূলা খাদ্যের পরিপাক ক্রিয়াকে গতিশীল করে হজমে সহায়তা করে, যা অর্শ রোগের আশংকাকে নির্মুল করে দেয়। ৬)রক্ত পরিষ্কারক

পালংশাক

ছবি
পালংশাক: শীতকালীন জনপ্রিয় শাক হিসেবে অতিপরিচিত পালংশাক। এটি অনেকেরই খুব পছন্দের। সুলভে পাওয়া সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরী গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, ফোলেট (বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম। আজ জেনে নেব হাতের কাছে পাওয়া পালং শাকের অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে- ১. পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে দারুণভাবে। ২. এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করতেও অতুলনীয়। ৩. পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক সব রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। ৪. সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেনসহ কিছু

ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সবজি

ছবি
ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সবজিগুলোর একটি। ফুলকপিতে পানি থাকে ৮৫% , অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। কম ক্যালোরির এই সবজিতে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্য ফাইটোকেমিক্যালও থাকে। এই বহুমুখী গুণ সম্পন্ন সবজিটি কাঁচা, সেদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই শীতের সবজি ফুলকপির আরও পুষ্টিগুণ ও চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্হলী, প্রোষ্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি। মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায় ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ফুলকপিতে ভিটামিন বি রয়েছে যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এ সবজি একটি ভালো খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ফুলকপি নবজাতকের মস্তিষ্কের উন

গোসল করার আগে নাকি পরে তেল মাখবেন .?

ছবি
ডা. আহমেদ আলী: আগে আমি একটি ভুল ধারণা ভাঙিয়ে দিই। আমাদের দেশে নানি-দাদিরা হয়তো গোসলের আগে ভালো করে গায়ে তেল মাখিয়ে দিয়ে ভরিয়ে দিতেন। তারপর গোসল করাতেন। আমাদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ভুল। কারণ আমরা গোসল করি শরীরকে পরিস্কার করার জন্য। আর তেল দিই শরীরকে নরম রাখার জন্য। গোসলের আগে তেল মেখে গোসল করলে দুটোর কোনোটাই হয় না। তেলও ধুয়ে যায়। আর গোসলের মাধ্যমে ত্বকের থেকে ময়লা পরিস্কার হয় না। এ জন্য তেল বা লোশন যেটাই লাগাই আমরা সেটি লাগাতে হবে গোসলের পরে। শরীর ভালো করে পরিস্কার করে তারপরে লাগালে সেটা সারা দিন নরম থাকবে। ত্বক মসৃণ ও নরম থাকবে। তাহলে তেলের কাজও হলো, পরিস্কারের কাজও হলো। দুটো কাজই হলো। কাজেই এই কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তেল লোশন লাগাতে হবে গোসলের পরে, আগে নয়। দ্বিতীয় হলো, আপনি কী লাগাবেন? শরীর নরম রাখে এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। এর মধ্যে তেল একটি। আমাদের দেশে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি সরিষার তেল বেশি ব্যবহৃত হয়। নারকেল তেলও কেউ কেউ ব্যবহার করেন। তবে ত্বকের জন্য সরিষার তেল আসলে ভালো নয়। এই তেল ব্যবহার করার একটি কারণ ছিল, আসলে আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জে সরিষার তেল