পোস্টগুলি

আগস্ট ২৩, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মসুর ডাল এর উপকারিতা কি...?

ছবি
আমিষের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বলা হয়ে থাকে মসুর ডাল গরিবের জন্য গো-মাংস। মসুর ডাল দেখতে হালকা লাল বর্ণের। দানাগুলো খেসাড়ী, কলাই বা বুটের ডাল থেকে ছোট। মসুর ডাল উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ ; ফলে মানব দেহে আমিষের অভাব পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের অতি জনপ্রিয়  মসুর ডাল।মসুর ডাল প্রোটিনের ভান্ডার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। গরিবের মাংস বলা হয় মসুর ডালকে  আর তাই নিরামিষ ভোজীদের কাছে এটি অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার । মসুর ডালের পুষ্টিগুণ। মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।   মসুর ডাল সহজপাচ্য এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক। প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টিগুণ এমন -জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি আমিষ ২৫.১ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, লৌহ ৪.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, শর্করা ৫৯.০ গ্রাম। সৌন্দর্য্য চর্চায় মসুর ডালের হরে

মধু কি এর উপকারিতা কি..?

ছবি
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে অামরা সকলেই কম বেশী জানি। কারন অামাদের দেশে মধুর উপকারিতা জানেনা এমন লোক খুবই বিরল। মধু খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মধুতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান আছে যা আমাদের শরীরে বিভিন্নভাবে কাজ করে। আসুন জেনে নিই মধুতে কোন উপাদান কি পরিমানে আছে- ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ গ্লুকোজ, ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ ফ্রুক্টোজ, ০.৫ থেকে ৩ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মাল্টোজ। এর সবগুলোই শর্করা। এ ছাড়া আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, খনিজ লবণ ও এনজাইম। ১০০ গ্রাম মধুতে ২৮৮ ক্যালরি পাওয়া যায়। মধুতে থাকা শর্করা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে এবং শরীরে বাড়তি এনার্জি যোগ করে। মধু মহৌষধ কিন্তু তখনই খুব ভাল কাজ করে যদি তা সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া হয়। মধু খাওয়ার বিভিন্নি নিয়ম আছে আসুন জেনে নিই কিভাবে মধু খেলে বেশী উপকার পাওয়া যায় করা। আধা গ্লাস হালকা গরম লেবুপানিতে এক চা-চামচ মধু ভোরবেলায় খালি পেটে পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এ ছাড়া হজমের সমস্যায়ও মধুর উপকারিতা আছে। এটি পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণ কমায় বলে অরুচি, বমিভাব, বুক জ্বালা দূর হয়। মধু সৌন্দর্য বর্ধন বা রুপচর্চায় একটি কার্যকরী উপাদান

সিরকা বা ভিনেগার কি.. এর উপকারিতা কি...?

ছবি
 ভিনেগারকে বাংলায় আমরা বলে থাকি সিরকা।এটি একটি তরল পদার্থ যা অ্যাসিটিক অ্যাসিড (CH3COOH) ও পানির মিশ্রণ। ভিনেগারে সাধারণত ৫ শতাংশ অ্যাসিটিক অ্যাসিড থাকে। ভিনেগার তৈরিতে আপেল, আঁখ, নারিকেল, খেজুর, নাশপাতি, টমেটো, চাউল, গম, মধু, বিয়ার ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া  ও নেদারল্যান্ডসে বিয়ার ভিনেগার প্রচলিত। আঁখ থেকে তৈরি ভিনেগার ফিলিপিন্সে জনপ্রিয়। তবে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রেও এ ধরনের ভিনেগার প্রস্তুত করা হয়। নারকেলের পানি থেকে তৈরি ভিনেগার মূলত ব্যবহৃত হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে।  আর মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ভিনেগার প্রস্তুত করা হয় ঐতিহ্যবাহী খেজুর থেকে। অধিকাংশ ফলের ভিনেগার তৈরি হয় ইউরোপে। তবে, চীন ও কোরিয়াতেও ফল থেকে ভিনেগার প্রস্তুত করা হয়। অবশ্য চীনের কালো ভিনেগার বিখ্যাত। ইতালি, ফ্রান্স, রুমানিয়া ও স্পেনে পাওয়া যায় মধু থেকে তৈরি ভিনেগার। চাউল থেকে তৈরি ভিনেগার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দেশগুলোতে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। ভিনেগার আজকাল শুধু রান্নার কাজে ব্যবহৃত হলেও, গৃহস্থালী পরিস্কার, পুড়ে যাওয়া, চিকিৎসায় পথ্য ইত্যাদি বহুবিধ ক্ষেত্রে এর স্বার্থক