পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্বামী স্ত্রী জুটি সফল উদ্যোক্তা.......!!!

ছবি
স্বামী স্ত্রী জুটি তানজিয়া নাসরিন এবং আর্নব মুস্তফা, লেইসফিতা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, অনলাইনে একচেটিয়া ডিজাইনার গয়না এবং মহিলাদের ফ্যাশন আইটেম বিক্রি করে। মূলত ২০১২ সালে একটি ফেসবুক পৃষ্ঠা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত, সংস্থাটি গত কয়েক বছরে একাধিক পর্যায় রূপান্তর করেছে। আজ এটি নারীদের ফ্যাশন বিভাগে শক্তিশালী ব্র্যান্ড অনুসরণ করে একটি ইকমার্স প্লেয়ার হিসাবে বিকশিত হয়েছে। প্রশ্নঃ তানজিয়া নাসির এবং অর্ণব মুস্তফার সাথে তাদের উদ্যোক্তা পথে যাত্রা, লেইসফিতা কীভাবে শুরু হয়েছিল, লেইসফিতা কী এবং কীভাবে এটি পরিচালিত হয়, শিখতে শিখতে কীভাবে লেইসফিতার ক্রমবিকাশ হয়েছে এবং কীভাবে একটি ক্রমবর্ধমান গ্রাহকের সাথে একটি সংস্থায় পরিণত হয়েছে..? অর্ণব মোস্তফাঃআমার জন্ম ঢাকায় একটি মধ্যবিত্ত ব্যাংকার পরিবারে। আমার নিকট পরিবারের কোনও সদস্যই ব্যবসায় নেই। তবে, আমার কেরিয়ারের প্রথম থেকেই আমি এমন কিছু করতে চেয়েছি যা আমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন মোবাইল পেট্রোল স্টেশনে কাজ করেছি। স্নাতক শেষ করার পরে, আমি বিক্রয় প্রতিনিধি হিসাবে একটি স্বাস্থ্য বীমা সংস্থায় যোগদান করি। ২০১২

রবিউলের পথ ব্যবসার সাফল্যের উদ্যোক্তা হবার গল্প ...!!!

ছবি
রসমালাই বিক্রেতা ইঞ্জিনিয়ার রবিউলের আকাশ ছোঁয়ার গল্প....!!! তাঁকে প্রায়ই দেখা যায় রাজধানীর মিরপুরের ফুটপাথে-কখনো শ্যামলী, কখনো ধানমন্ডি, পান্থপথ, আবার কখনোবা মতিঝিলে। রাজপথে ঘুরে ঘুরে তিনি ফেরি করেন খাঁটি মধু, ঘি, কালোজিরার তেল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাই, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, মুক্তাগাছার মন্ডা। তাঁর স্বপ্ন দেশের মানুষকে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া এবং দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা। বলছিলাম বিএসসি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম চৌধুরীর কথা। পড়াশোনা শেষ করে দেশ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে নিজে কিছু করার কথা ভাবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করেন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি। শুধু অফলাইনে বেশি বিক্রি না হওয়াতে এক সময় অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। তৈরি করেন অনলাইন প্লাটফর্ম ‘সহজসরলডটকম’। রাজপথে ঘুরে ঘুরে বিক্রির পাশাপাশি তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে এসব খাবার ক্রেতাদের কাছে সরবাহ করতে শুরু করেন। ব্যবসা শুরুর সময়টা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পথচারীদের কাছ থেকে তাকে শুনতে হয়েছে নানান ধরনের অপমানজনক কথা। তারপরেও থ

সফল উদ্যোক্তা ভাগ্য বদলের গল্প....!!!

ছবি
ডিম কেক, বেগুনি, সবজির চপ, পেঁয়াজু, ছোলা বুট দারুণ খাদ্যসামগ্রী। খেতেও খুব সুস্বাদু! মজার মজার এসব ঝাল খাবার তৈরি করে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন। যা বদলে দিয়েছে তার ভাগ্য। ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নতুনভাবে। পাকা ঘর করেছেন। কিনেছেন তিনটি মোটরসাইকেল। বলছিলাম জসিম উদ্দিন নামের এক তরুণের গল্প। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর শহরের খানিকটা দূরে মিয়ারবেড়ী বাজারে গেলেই দেখা মিলবে জসিমের ভ্রাম্যমাণ ঝাল বিতান। সব বয়সী মানুষ ভিড় জমায় তার কাছে। জসিমের জন্ম লক্ষ্মীপুর সদরের ভবানীগঞ্জের আবদুল্লাহপুরে। বাবার নাম নুরুল আমিন। একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চল। বলতে গেলে একদম পিছিয়ে পড়া জনপদ। যেখানে ক্ষুধা নিবারণ সবচেয়ে বড় দায়। পড়ালেখার চিন্তা যেন অপরাধ ছাড়া কিছু নয়! ঠিক তেমনটিই ঘটেছে জসিমের বেলায়। দরিদ্র পরিবারে অভাব-অনটনের মাঝে জন্ম বলে ছোটবেলা থেকে পড়ালেখা ভাগ্যে জোটেনি। সংসার চালানোর ভার তার কাঁধে। এভাবেই কেটে যাচ্ছে দিনগুলো। কোনোমতে চলছে সংসার। এরই মাঝে বেঁধেছেন নতুন সংসার। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনিই বড়। মা-বাবার সংসারের হাল ধরেন অন্যরা। তবে সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন হননি। নতুন সংসার, খরচ বেড়েছে। তখন ভাবতে থাকেন, কী করা যায়? তেমন জ

অদম্য আগ্রহের জন্য অাজ ভিক্ষুক থেকে সফল কোটিপতি হবার গল্প ...!!!

ছবি
ভিক্ষা করে পেট চালিয়েছেন এক দিন, আজ তাঁরই ৩৮ কোটির টাকার ব্যবসা,৮০০ গাড়ির মালিক! রেনুকা আরাধ্য। আজ যদি তার দিকে দেখেন, বিশ্বাস করতেই পারবেন না, এক সময় খাবার জোটাতে বাবার সঙ্গে ভিক্ষা করে দিন কাটিয়েছেন তিনি। অথচ আজ তার ৩৮ কোটি রুপির ব্যবসা। প্রায় ৮০০ গাড়ির মালিক তিনি। ভারতের হায়দ্রাবাদ ও চেন্নাইয়ের ট্যাক্সি পরিষেবা বললে সবার প্রথমে তার সংস্থার কথাই সবাই বলে উঠবেন। জানা গেছে, বেঙ্গালুরুর আনেকাল তালুকের মাঝে একটা ছোট গ্রাম গোপাসান্দ্রা। এই গ্রামেই জন্ম রেনুকার। বাবা পুরোহিত ছিলেন। কিন্তু রোজ কাজ পেতেন না। পাঁচ জনের সংসারে খাবার জোটাতে বাবার সঙ্গে ভিক্ষাও করেছেন তিনি। ভিক্ষুক থেকে সফল ব্যবসায়ী হয়ে ওঠার জার্নিটা কিন্তু সহজ ছিল না আরাধ্যর। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবচেয়ে ছোট আরাধ্য। দাদা আর দিদিকে পড়াশোনার জন্য বেঙ্গালুরু পাঠিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু আরাধ্য বাবা-মার সঙ্গেই থাকতেন। গোপাসান্দ্রারই একটি স্কুলে পড়তেন তিনি। তবে বাবার কাজে হাত লাগানোর জন্য বেশির ভাগ দিনই স্কুলে যেতে পারতেন না। দরিদ্রদের বিনা পয়সায় ত্রাণ বিতরণের খবর পেলেই বাবার সঙ্গে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতেন তিনিও। সেই সামগ্রী নি

সফল উদ্যোক্তা কোন বাধাই যাকে দমাতে পারেনি অদম্য আগ্রহের জন্য ....!!!

ছবি
অষ্টম শ্রেণীর পর্যন্ত লেখাপড়া ফাহিমুল করিমের জন্য তাঁর শারীরিক বাধা কোনো ‘বাধা’ হয়ে ওঠেনি। ঘরে বসেই ওয়েবসাইট থেকে কাজ নিয়ে আয় করছেন এই তরুণ। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভার ও আপওয়ার্কে কাজ করেন ফাহিমুল। তাঁর মতো বাংলাদেশের অনেকেই এখানে কাজ করছেন। তবে ফ্রিল্যান্সারদের গ্রুপে ফাহিমুলকে নিয়েই ব্যাপক আলোচনা। মাগুরার ছেলে ফাহিমুলের (২১) জীবন আর সবার মতো নয়। ডুচেনেমাসকিউলার ডিসথ্রফি নামে জটিল রোগে আক্রান্ত তিনি। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অল্প বয়সেই তাঁর শরীরের পেশি শুকিয়ে যায়। তবে রোগের কাছে হার মানেননি ফাহিমুল। মনোবল হারাননি। অদম্য লড়াকু ফাহিমুল এখন সফল ফ্রিল্যান্সার। ছোটবেলায় সাইকেল চালাতেন ফাহিমুল। বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন। পড়ালেখাতেও ছিলেন মেধাবী। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। ২০১২ সালের শেষ দিকে জেএসসি পরীক্ষার ঠিক আগে বিছানায় পড়ে যান। ধীরে ধীরে তাঁর পেশি শুকিয়ে যেতে থাকে। তারপর একেবারেই অকেজো হয়ে যায় হাত-পা থেকে শুরু করে পুরো শরীর। মাগুরা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়তেন ফাহিমুল। রোগে পড়ে একপর্যায়ে এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। ফাহিমুলের বাবা রেজাউল করিম। তিনি একটি ব

সফল নারী উদ্যোক্তা জীবন যুদ্ধে বিজয় হবার গল্প....!!!

ছবি
বিয়ের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় নয়ন সেলিনার স্বামী নিখোঁজ। ছোট্ট দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে বেঁচে থাকার লড়াইয়ে নেমে পড়েন কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়ার মেয়ে নয়ন সেলিনা। তবে তাঁর লড়াইটা ছিল ব্যতিক্রম। ১৯৯৫ সালে কানের দুল বিক্রির ১৭ হাজার টাকায় সেলিনার বেঁচে থাকার সংগ্রাম শুরু। তখন ১০০টি মুরগির বাচ্চা কিনে ছোট্ট একটি কক্ষে গড়ে তোলেন পোলট্রি খামার। ২৩ বছরের মাথায় এসে সেই নয়ন সেলিনা এখন কয়েক কোটি টাকার মালিক। তাঁর বার্ষিক আয় এখন ছয় লাখ টাকার ওপরে। অসহায় একজন নারী থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া নিয়ে নয়ন সেলিনার বক্তব্যও স্পষ্ট, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়—এ রকম একটা প্রবাদবাক্য সমাজে প্রচলন আছে। ইচ্ছাশক্তির জোরেই তিনি আজকের নয়ন সেলিনা, সফল নারী উদ্যোক্তা হতে পেরেছেন। ১৯৯১ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেন নয়ন সেলিনা। বিয়ের তিন বছরের মাথায় কোলজুড়ে আসে দুই ছেলে শাকিল শাওন ও সাজিদ মাওন। ১৯৯৫ সালে স্বামী বিদেশে পাড়ি জমান। বিমানে ওঠার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি স্বামীর। তখন ছোট ছেলে মাওনের বয়স ছয় মাস। সম্বল বলতে ছিল এক জোড়া কানের স্বর্ণের দুল। সেই দুল বিক্রি করে পান ১৭ হাজার টাকা। সেই টাকায় কক্সবাজ

সফল নারী উদ্যোক্তার উদাহরণ নাসরিন সুলতানা .......!!!

ছবি
অাজ অার দেশের নারী সমাজ  অসহায় বা অবহেলিত নয়,  তাইতো  ঘুড়ে দারানোর অদম্য উচ্ছাস ইচ্ছে শক্তি সাহস তাদের উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।  নিজেদের পাশাপাশি অন্য নারীদেরও উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করছেন। ঢাকার কলাবাগান, উত্তর ধানমন্ডি এলাকার নাসরিন সুলতানা এমনই একজন নারী, যিনি বর্তমানে একজন সফল উদ্যোক্তা। তার সাথে আলাপ হয় সিলেট এসএমই পণ্য মেলায়। তিনি জানান তাঁর সফলতার গল্প। এই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে রয়েছে তার নিজের পরিশ্রম এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়। পথে পথে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করতে হয়েছে নাসরিন সুলতানাকে, তবে কখনোই দমে যাননি তিনি।  নিজের মেধা, মননশীলতা, কর্মনিষ্ঠা এবং একাগ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। মাত্র কয়েক হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে ‘অপরূপা বিউটি পার্লার’ দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন। সেই ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে ‘অপরূপা বিউটি পার্লার এন্ড বুটিকস’-এ রূপ নেয়। তার প্রতিষ্ঠানে তৈরি বাটিক থ্রি-পিস, ব্লক থ্রি-পিস, হ্যান্ডপ্রিন্ট, ওড়না, ওয়ান পিস, শিশুদের পোশাক, বেডশিট, শাড়ি ও উপহার সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্