পোস্টগুলি

ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দরিদ্র জয় করা এক নারীর গল্প

ছবি
নিতাই ইউনিয়নের কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের রুমা বেগমের দিন এনে দিন খাওয়ার সংসার ছিল। তিনিও ওই দারিদ্র নিশ্চিত করন কর্মসুচী থেকে পঞ্চম ব্যাচে প্রশিক্ষন নিয়ে এ্যামবয়ডারী কাজ শিখে মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ তৈরী করে ভ্যাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি  কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে প্রশিক্ষন নেই। আবার সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নিয়ে এ্যামবয়ডারির মালামাল কিনে মেয়েদেও ভ্যানিটি ব্যাগ তৈরী করা শুরু করি। প্রতিটি ব্যাগ ৭শ টাকা থেকে একহাজার টাকা করে বিক্রি করি। আমি আমার স্বামীর পাশাপাশি সংসাওে সাহায়তা করতে পারছি। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের মোতমাইননা বেগম সংসারে ঠিকমত উনুন জ্বলতোনা। মোতমাইননা বেগম বলেন, সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমার পাশের গ্রামের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচি থেকে  প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থী বাবলি আপার মাধ্যমে আমি অফিসে গিয়ে আমার নাম দিয়ে আসি। অফিস থেকে তারা আমাকে ডাকলে আমি  নকশি কাঁথার উপর প্রশিক্ষন নিয়ে কাজ শুরু করি। আমিও দশ হাজার টাকা লোন নিয়ে মালামাল কিনি। আমার তৈরিককৃত পণ্য বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়ে আমি সংসারের কাজ করি। এভাবে যদি আমি পণ্য তৈরী অব্যাহত

অদম্য উদ্যোক্তার নাম সন্ধা রানী....

ছবি
বানারীপাড়ায় হার না মানা এক জীবন সংগ্রামী নারী সন্ধ্যা রাণী। একসময় এ নারীর পরিবারে দারিদ্রতা ছিলো নিত্য সঙ্গী। অনাহারে অর্ধাহারে জীবন চলতো তাদের। অদম্য ইচ্ছে শক্তি, নিরলস পরিশ্রম ও আত্ম প্রত্যয় সন্ধ্যা রাণীর জীবনের দারিদ্রতা নামক অমানিশার ঘোর অন্ধকার কেটে আলোময় করে দিয়েছে। ১৯৭৩ সালে তিনি পূর্ব অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এলাকায় শামুক কুঁড়িয়ে তা পুড়িয়ে হাতে খাবার চুন তৈরী করার কাজে নিয়োজিত হন। এভাবে চুন তৈরী করে তা বিক্রি করে ২ বেলা খেয়ে না খেয়ে কোন ভাবে চলতো তাদের সংসার। ২০০০ সালে সন্ধ্যা রানী বানারীপাড়া পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে বিডিএস পরিচালিত ‘করবী’ মহিলা সমিতিতে ভর্তি হয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা ঋন নিয়ে চুন প্রস্তুতের পরিধি বৃদ্ধি করেন। এরপর আর সন্ধ্যা রানীকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিডিএস থেকে ধাপে ধাপে ঋনের সিলিং বৃদ্ধি করতে থাকেন। সেই সাথে কারখানায়ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করেন। সন্ধ্যা রাণী বিডিএস থেকে ১৬ দফায় ৭ লাখ টাকা ঋন গ্রহণ করেন। বর্তমানের তার ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋন চলমান রয়েছে। সন্ধ্যা রানীর তিন ছেলে ও স্বামী এ ব্যবসার সাথে জড়িত। সন্ধ্যা রাণী জানান, প্রথমে শামুক এনে স্তু

উদ্যোক্তা নারীর অদম্য এক গল্প

ছবি
বিশ্বখ্যাতি মুর নামে। পুরো নাম অ্যান এস মুর। বর্তমান আধুনিক বণিক বিশ্বেও অন্যতম আলোচিত নাম এখন মুর। ভালো বেতনের সুনিশ্চিত চাকরি ছেড়ে মুর বনে গেছেন সফল উদ্যোক্তা। হয়ে উঠেছেন সফল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ্য উদাহরণ। বিখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠান টাইম ইঙ্ক ডটকমের প্রথম নারী সিইও এবং চেয়ারম্যান অ্যান মুরের কর্মজীবনের সূচনা একজন ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট হিসেবে। শিক্ষাজীবনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে যোগ দেন টাইম ইঙ্ক ডটকমে। ১৯৭৮ সাল থেকে সুদীর্ঘ ৩৫ বছরের একটানা কর্মজীবনে পরিশ্রম, অদম্য আগ্রহ আর পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ক হিসেবে অ্যান মুর নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। একেবারেই একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কখনওই খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রতিটি সফলতার পেছনে উপযুক্ত পরিকল্পনাই মুখ্য চালিকাশক্তি যোগায়। তাই কর্মজীবনের শুরু যেমনই হোক না কেন, একমাত্র সঠিক পরিকল্পনাই সফলতা এনে দিতে পারে। নিজের সফলতার মূলমন্ত্রকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন মুর। শিক্ষাজীবনের একেবারে শুরু থেকেই অ্যান ‘টাইম ইঙ্ক’ ম্যাগাজিনের নিয়মিত পাঠক ছিলেন। আর ঠিক বোধহয় তখন থেকেই স্বপ্ন বুনতেন নিজেকে এ প্রতিষ্

কৃষি খামার পরিকল্পনা থেকে সফল উদ্যোক্তা

ছবি
প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও কৃষিকাজকে উপার্জনের খাত হিসেবে ধরে রেখেছেন অনেকেই, সাফল্যও পাচ্ছেন অনেকে। কৃষিতে সাফল্য পাওয়া অনেকেই জাতীয় পুরস্কার পায় প্রতিবছর। এমনই একজন পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার মাটিভাঙ্গা গ্রামের মো. আবুবকর ছিদ্দিক, যিনি বাণিজ্যিক সবজি চাষের উপর এবার জাতীয় কৃষি পুরস্কার পাচ্ছেন। ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৬ জুন পুরস্কার বিতরণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। ভান্ডারিয়া সরকারি কলেজ থেকে বিএ এবং ফুলবাড়িয়া বিএড কলেজ, খুলনা থেকে বিএড শেষ করে ১৯৯৫ সালে নিজ গ্রামে মাদ্রাসায় ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরিবারের সচ্ছলতার জন্য পাশাপাশি কৃষিকাজ শুরু করেন ১৯৯৬ সালে। ৩৩ শতক জমিতে কলা চাষ দিয়ে কৃষিকাজ শুরু করেন আবুবকর, বর্তমানে ২০০ শতক জমিতে কলা চাষ করছেন এই কৃষক। তাছাড়াও নিজের ১০০ শতাংশ এবং ১৯৯ শতাংশ জমি বর্গা নিয়ে সবজি চাষ করছেন। সারা বছর দুজন লোক থাকে তার জমি দেখাশোনা করার জন্য। দরিদ্র ঘরের সন্তান হলেও পড়াশোনা করার প্রবল ইচ্ছা ছিল আবুবকরের। পড়াশোনায় এত আগ্রহ দেখে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু কলেজে পড়ানোর দায়িত্ব নেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে ক

ওষুধই বাসক চাষে এলাকার উদ্যোক্তা বিপ্লব সাবলম্ভি সকলেই

ছবি
বাসক চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের কৃষকরা রাস্তার পাশে বাসকের চাষ করে হচ্ছেন স্বচ্ছল। ২০১৬ সালে চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা বাসক চাষের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৬০ কিলোমিটারের মত রাস্তার পাশের জমি লিজ নিয়ে বাসকের চাষ শুরু করেন সমিতির সদস্যরা। ‘একমি’ ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে বাসক পাতা বাজারজাত করার জন্য চুক্তি করা হয় সমিতির পক্ষ থেকে। এরপর সমিতির পাশিাপাশি সমিতির বাইরেও বাসক চাষ শুরু করেন কৃষকরা। যেকোনো মৌসুমেই বাসক চারা রোপণ করা যায়। চারা রোপণ করার ৩ মাস পর বাসক গাছে পাতা ধরে। গাছ সাধারণত ১ থেকে ৩ মিটার উঁচু হয়। পাতা পরিপক্ব হওয়ার পর গাছ থেকে ছিঁড়ে রোদে শুকিয়ে বাসক বিক্রি করতে হয়। সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালির প্রদাহ দূর করতে বাসক পাতা বিশেষ উপকারী। তাই সর্দি, কাশি এবং শ্বাসনালির প্রদাহের ঔষধ তৈরীতে বাসক পাতা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চন্ডিপুর ইউনিয়ন কৃষি উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির ক্যাশিয়ার আঙ্গুর মিয়া বলেন, বাসক চাষে খরচ হয় খুব কম। হালকা পরিচর্যা ও বাল

উদ্যোক্তা হবার এক দৃষ্টান্ত

ছবি
এই যুবক সখের বশে মাত্র ২০টি বিদেশী জাতের কবুতর দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন। এরপর শুধুই সফলতার গল্প। এখন তার খামারে নানান প্রজাতির ১৫০ জোড়া কবুতর রয়েছে। আর সেখান থেকে সব খরচ বাদ দিয়ে মাসিক আয় হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা। কোন কোন মাসে আয় হয় এর চেয়ে বেশি। কঠোর পরিশ্রম আর কবুতরের প্রতি নিবির ভালোবাসা শিক্ষিত এই বেকার যুবককে এনে দিয়েছে সফলতা। পাশাপাশি ঘুচেছে বেকারত্বের অভিশাপ। মেহেদির দেখা দেখি ৫০ জনেরও বেশি বেকার যুবক এখন কবুতর পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তার পরামর্শ নিয়ে ৫০ জনেই কবুতর পালন শুরু করেছেন। অন্যদিকে তার সহায়তায় বাংলাবাজারে একটি কবুতরের দোকানও চালু হয়েছে। সরেজমিনে বাংলাবাজার এলাকায় মেহেদির খামারে গিয়ে দেখা যায় তিনি কবুতর পরিচর্যায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন। লোহার গ্রিল চারপাশে ও উপরে টিন শেড দেওয়া হয়েছে খামারে। খাঁচার মধ্যে শোভা পাচ্ছে হড়েক প্রকার কবুতরের সারি। এসময় মেহেদী জানান, ২০১৭ সালে শখের বসে ২০ জোড়া কবুতর নিয়ে খামার শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই কবুতরের প্রতি গভীর ভালোবাসা আর মমতা ছির তার। পর্যায়ক্রমে গত ২ বছরে খামারে কবুতরের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপর অনলাইল ও ফেইজবুকে তার কবুতরের ব

এক বেতিক্রম ভাবনা থেকে সফল উদ্যোক্তা গল্পর নায়ক

ছবি
লিসবন সহ ইউরোপের বিভিন্ন শহর যখন ব্যয় বহুল শহরের তকমা পাচ্ছে এবং খাবার দাবার সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সেই সময়ে বাংলাদেশী এক প্রবাসী উদ্যোক্তা গড়ে তুলেছেন ১ ইউরোর হালাল কাবাব শপ। সকাল দুপুর কিংবা রাতে বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষ সহ স্থানীয় মানুষজন এবং বিপুল সংখ্যক পর্যটক এখানে ভিড় জমায় এই লোভনীয় অফারের জন্য। ইতিমধ্যে এই উদ্যোগ ভাল সারা ফেলেছে গ্রহকদের মধ্যে। স্টার কাবাব’র এই আকষর্ণীয় এবং সুস্বাদু কাবাবের পাশাপাশি রয়েছে হালাল গ্রিল চিকেন, দোরাদা ফিস, তান্ডুরী চিকেন এবং নান রুটি সহ বিপুল পরিমাণ আকষর্ণীয় মেনু। বাংলাদেশী অভিবাসী অধ্যুষিত এলাকার খুব নিকটে আরোইশ মেট্রো থেকে মাত্র দুই মিনিট হাটার দুরত্বে রুয়া মোরাইশ সোরেশ – ৮৫ ( Rua Morais Soares – 85, 1900-342 ) লিসবন এ রেস্টুরেন্ট টি অবস্থিত। এবিষয়ে কথা হয় স্টার কাবাব’র উদ্যোক্তা মোহাম্মদ ফারুকের সাথে। তিনি জানান এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনের কথা। লিসবন বর্তমানে একটি কাবাব ৪/৫ ইউরো এবং মেনুসহ নিলে ৭/৮ এর মত হয়ে যায়। ফলে অনেক কাস্টমার ইচ্ছে থাকার সত্বেও তা কিনতে পারছে না। তিনি আরো জানা

অদম্য অাত্তপ্রত্যই এক যুবকের গল্প .....

ছবি
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনি যখন আড়মোড়া ভাঙছেন, ততক্ষণে কিবরিয়া গাজী আড়াই লাখ টাকার মাছ বিক্রি করে ফেলেছেন। পানি আর মাছের মিতালি গড়ে মাত্র কয়েক বছরে নিজের সকালকে এমন সুন্দর করে তুলেছেন কিবরিয়া। নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার মুনসেফের চর গ্রামে কিবরিয়ার বাড়ি। শুধু মাছের খামারই নয়, করেছেন মুরগি ও গরুর খামারও। মাছ, মুরগি, গরু—তিনে মিলিয়ে জেলার সবচেয়ে বড় সমন্বিত খামারি এখন ৩৮ বছরের কিবরিয়া। পদার্থবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) করা কিবরিয়া কখনো চাকরি খোঁজেননি। এখন তিনি চাকরি দিচ্ছেন। কর্মসংস্থান করেছেন শ খানেক লোকের। তাঁর সাফল্য অনুপ্রাণিত করেছে অন্যদেরও। আশপাশের এলাকার শতাধিক ব্যক্তি এখন মাছের খামার করছেন। গরু ও মুরগির খামারও আছে অনেকের। চাচার পুকুরে শুরু ১৯৯৬ সালের কথা। কিবরিয়া তখন দশম শ্রেণির ছাত্র। বাড়িতে মাটি কাটায় ঘরের পাশে ছোট একটা গর্ত হয়। শখের বশে তিনি সেই গর্তে ৪০-৪৫টি কার্প মাছের পোনা কিনে এনে ছেড়ে দেন। কিছুদিন পর সেই পোনা বড় হয়। সেগুলো নিয়ে ছাড়েন চাচার পুকুরে। বছর শেষে পুকুর সেচে সেই মাছ বিক্রি করে তাঁর হাতে আড়াই হাজার টাকা তুলে দেন চাচা। কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার পর মাছ

শূন্য হাতে শুরু এক হতদরিদ্র উদ্যোক্তার গল্প....

ছবি
মাত্র ৩০০ টাকায় শুরু হলো জীবন যুদ্ধ :  শূণ্য হাতে প্রথমে ঠাই হয় সদ্য সঙ্গী হওয়া সুফিয়ার বড় ভাই হতদরিদ্র রিক্সাচালক মো. শহীদ এর ছোট্ট ঘরে। অভাবের সংসারে কখনো ১ বেলা খেতে পান, কখনো মাত্র ২টাকার মুড়ি কিনে স্বামী-স্ত্রী মিলে ৩ বেলা খেয়ে কাটান। এরই কিছুদিনের মধ্যে অভাব ও বেকারত্বকে জয় করতে কুদ্দুস বসে না থেকে স্ত্রীর বিয়ের শাড়ি মাত্র ৩০০ টাকায় বন্ধক রেখে তা পুঁজি করেই নারায়ণগঞ্জ শহরের কালীরবাজারে পাতিতে করে আমড়া, পাকা বড়ই বিক্রি শুরু করেন। বিক্রি ভাল হতো। লাভের সামান্য টাকায় ২ বেলা কোনোমতে পেটে ভাত জুটল ২ জনের। এদিকে ২ মাস পরই ৬০ টাকা অতিরিক্ত লাভ গুণে ৩৬০ টাকায় স্ত্রীর সেই শাড়ির বন্ধকী ছাড়িয়ে এনে দেন তিনি। অভাবের সংসারে এলো প্রথম পুত্র সন্তান। চাহিদা বাড়ল। সেই সাথে নিজের পরিশ্রমের মাত্রাও বাড়িয়ে দিলেন তিনি। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ৯৫তে শুরু হলো তার আচারের ব্যবসা। বাড়িতে স্ত্রী দিন-রাত শীল পাটায় বেটে আচারের নানা উপকরন মিক্সড করে দিতেন, স্বামী তা নিজের মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তৈরি করলেন আলাদা ধরনের এক আচার। যে আচার স্বাদ-গন্ধ ও দেখতে অন্য অনেকের আচারের থেকে ভিন্ন। এভাবে চলতে থাকল। প্রতিদিন

সাবলম্ভি বেতিক্রম অাইডিয়া নিয়ে উদ্যোক্তা হবার গল্প

ছবি
একসময় পাটখড়ি শুধু গরিবের জ্বালানি আর ঘরের বেড়া দেওয়ার কাজে লাগত। সেই পাটখড়ি এবার নিয়ে আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের পাটখড়ি থেকে তৈরি কার্বন পাউডার রপ্তানি হচ্ছে চীনে। ইতোমধ্যে সারা দেশে পাটখড়ি থেকে কার্বন তৈরির বেশ কয়েকটি কারখানা গড়ে উঠেছে বলে জানা গেছে। যার একটি কারখানা গড়ে উঠেছে পাবনার বেড়ায়। বেড়া উপজেলার কৈটোলা ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে গড়ে ওঠা কিউলিন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উদ্যোক্তারা জানান, গত ছয় মাস ধরে এখানে বিপুল পরিমাণ কার্বন বা চারকোল তৈরি হয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। তারা আরও জানান, পাটখড়ির কার্বন দেশের ব্যবসাবাণিজ্যে নতুন দিগন্তের সৃষ্টি করেছে। পাটখড়ি থেকে উৎপাদিত কার্বন পাউডার বা চারকোল রপ্তানি করা হচ্ছে চীনে। দিন দিন বাড়ছে এ পণ্যের রপ্তানি। জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সেই সঙ্গে বাড়ছে কর্মসংস্থানেরও সুযোগ। বর্তমানে এ কারখানায় ৬০ শ্রমিক কাজ করছেন। আবার পাটখড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকের পাট চাষে আগ্রহও বাড়ছে। চার বছর আগে পাটখড়িকে কার্বন বানিয়ে রপ্তানির পথ দেখান ‘ওয়াং ফেই’ নামের এক চীনা নাগরিক। তার দেখানো পথে দেশে বর্তমানে কার্বন তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে ২৫টি

বেতিক্রম অাইডিয়া নিয়ে উদ্যোক্তা...

ছবি
 সুলতানা চিকেন সেপ্টেম্বরে শুরু। প্রচার খুব করিনি। কিন্তু সাড়া পেয়েছি। বাইরের দিক দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না ভেতরে কি। আসলে আমরা বাইরের চাকচিক্য দিয়ে কিছু করতেও চাইনি। চেয়েছি যারা একবার খেতে আসবেন যায় তারা যেন আবার আসেন আমাদের এখানে। এখন প্রতিনিয়ত চাহিদা বাড়ছে। ফোনেও আমরা অর্ডার নিচ্ছি। এরজন্য বাড়তি কোন টাকাও আমরা নিচ্ছি না। শুধুমাত্র ওবারে করে পাঠাতে যা খরচ আসবে তাই দিতে হবে ভোক্তাকে। সহযাত্রীদের কথায়: সুলতানা রাজিয়ার এই কিচেনে সহযোগীদের মধ্যে অন্যতম সাইদুর রহমান। প্রথমদিন থেকে যার ব্যাপক উৎসাহ আর নিরলস সহযোগিতা পেয়ে আসছেন। সাইদুর রহমান বলেন, আমরা একই বৃত্তে ঘুরছি। কিন্তু ভাল কিছু করার চেষ্টা করছি না। এই আক্ষেপ থেকেই ‘সুলতানাস কিচেনে’। বাজার থেকে ভাল কিছু নিয়ে ভাল কিছু পরিবেশনই উদ্দেশ্য। এখানে খাবারের অর্ডার পেলে খাবার তৈরি করা হয়। ভবিষ্যতে এখানকার আয় থেকে কিছু হলেও সাধারণের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার ইচ্ছেও আছে যোগ করলেন সাইদুর। এই উদ্যোগে সহাস্যে যুক্ত হয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ ড. রিয়াজ মোবারক। তিনি বলেন, পুরোনো ঢাকায় স্বাস্থ্যসন্মত খাবার পরিবেশনের লক্ষ্য নিয়েই যাত্রা শুরু করেছ

ভন্ড সাদু মৃতের সাথে করেন যৌনতা.....!

ছবি
এরা ধ্যান করেন, খান, ঘুমান এবং শ্মশানে চারিদিকে চিতায় আগুনে পুড়তে থাকা লাশের পাশেই যৌনমিলনে লিপ্ত হন। এরা নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ান, মানুষের মাংস খান এবং নরকংকালের খুলি থেকে পান করেন। গাঁজায় টান দেন। আর তাদের কেবল জনসমক্ষে দেখা যায় বহুদিন পরপর কেবল কুম্ভমেলার সময়। ভারতের এই হিন্দু সাধুদের বলা হয় অঘোরি। সংস্কৃত ভাষায় অঘোরি মানে হচ্ছে ভীতিকর নয় এমন কিছু। কিন্তু বাস্তবে এই অঘোরিদের জীবনযাপনের কাহিনী মানুষের মধ্যে জাগায় একই সঙ্গে ভীতি, কৌতুহল এবং ঘৃণা । এই সাধুদের নিয়ে গবেষণা করেছেন লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান এন্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক জেমস ম্যালিনসন। তিনি সেখানে ‘সংস্কৃত এন্ড ক্লাসিকাল ইন্ডিয়ান স্টাডিজ’ পড়ান। অঘোরিদের অনেক রীতিনীতি বাইরের লোকজনের কাছে আজব মনে হয়। জেমস ম্যালিনসনের ভাষায়, “অঘোরিদের এসব রীতির মূল কথা হচ্ছে, তারা অ্যাধাত্মিক মুক্তিলাভের মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে এক হতে চান, আর সেজন্যে তারা বিশুদ্ধতার সূত্রের সীমা ছাড়িয়ে যেতে চান।” মিস্টার ম্যালিনসন পড়াশোনা করেছেন ব্রিটেনের খুবই অভিজাত স্কুল ইটনে এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি নি