পোস্টগুলি

আগস্ট ১৪, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

১৫ ই অাগাষ্ট বঙ্গবন্ধুর বাসার গনহত্যা একটি বর্বরতা ছিল ....

ছবি
একাত্তরে পরাজিত শক্তি মুজিব দর্শন ও তার আদর্শে এতটাই ভীত ছিল যে, কাপুরুষোচিত আক্রমণ থেকে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরাও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রামে যিনি ছায়ার মতো পাশে থেকে মনোবল দিয়েছেন, সেই সাহসিনী বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবও ঘাতকদের কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। বরং মাথা উঁচু করে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হয়ে চলে গেলেন দেশের তরে। ঘাতকের বুলেট থেকে বঙ্গবন্ধুর তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, শেখ জামাল ও নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলও রেহাই পাননি। বঙ্গবন্ধুর নিজের পছন্দের পুত্রবধূ সুলতানা কামাল দেশের একজন খ্যাতিমান ক্রীড়াবিদ এবং আরেক পুত্রবধূ রোজী জামালও শহীদ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের পায়ের সমস্যা নিয়েও মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। তার মতো শান্ত ও বিচক্ষণ প্রগতিশীল মানুষকেও ঘাতকরা হত্যা করেছে ওই রাতে। বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব কর্নেল জামিল আহমেদ, এসবি অফিসার সিদ্দিকুর রহমান, সেনাসদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককেও ধানমন্ডির বাড়িতে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ভাগনে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মণির বাসায় হামল

কাশা, পিতল, তামা বাংলাদেশের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে....!

ছবি
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে তামা, কাঁশা,পিতলের শিল্প সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য...! ১৯৪২ সালে বৃটিশ সরকার আয়োজিত বার্মিংহাম হস্তশিল্প প্রর্দশনীতে বিশ্বের সেরা হস্তশিল্পের খ্যাতি অর্জন করে এ শিল্পটি। ওই প্রর্দশনীতে কাঁসা কর্মকারদের কাঁসাশিল্পী উপাধি দেয়া হয়। প্রর্দশনীতে জগৎ চন্দ্র কর্মকার নামের এক কাঁসাশিল্পী স্বর্ণপদক লাভ করেছিল। এতে ইসলামপুর কাঁসাশিল্পের বিশ্বদরবারে ব্যাপক প্রসার ঘটে। ওই সময় বিয়ে বা যে কোন অনুষ্ঠানে কাঁসার বাসনই ছিল প্রধান উপহার সামগ্রী। বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাঁসার বাসন ছাড়া কোন অনুষ্ঠানই হতো না। কাঁসা শিল্পীরা জানান, কাঁসা হলো একটি মিশ্র ধাতব পদার্থ। তামা বা কপার, টিনএ্যাংগট মিশিয়ে আগুনে পোড়ালে কাঁসা তৈরি হয়। এছাড়া তামা, দস্তা, রাং বা অন্যান্য ধাতব পদার্থ মিশ্রণের উপর নির্ভর করে পণ্যের স্থায়িত্ব, স্বচ্ছতা ও উজ্জ্বলতা। কাঁচামালের দূর্মূল্য ও আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে শিল্পীদের কাজে অনীহার সৃষ্টি হয়েছে।  বর্তমান বাজারে প্লাস্টিক, স্টীল, মেলামাইন, কাঁচ ও স্বল্পমূল্যের নানা সামগ্রীর কারণে কাঁসার তৈরি কাস্তেশ্বরী, রাজভোগী, রাঁধাকান্তি, বংগী, বেতমুড়ি, চায়নিজ

সালমান এফ রহমান কে..?

ছবি
 সালমান এফ রহমান  বাবা মরহুম ফজলুর রহমান ছিলেন খ্যাতিমান আইনজীবী।তিনি অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী,শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টের চিফ হুইপ ছিলেন। অার সালমান এফ রহমান এর  মাতা সৈয়দা ফাতিনা রহমান কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী জঙ্গল বাড়ির সৈয়দ বংশের জমিদার সৈয়দ মুহম্মদ আতিকুল্লাহর কন্যা।সৈয়দ মুহম্মদ আতিকুল্লাহ হযরত শাহজালাল (রঃ) - এর সিলেট বিজয়ের প্রধান সিপাহসালার সৈয়দ নাসিরুদ্দিনের বংশধর ছিলেন। বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় নাম ওঠা বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের নিজের কোনো বাড়ি নেই। শুধু তাই নয় নিজের, স্ত্রীর বা নির্ভরশীলদের কারোরই বাড়ি-আসবাবপত্র নেই। এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িও নেই কারো। নিজের নামে যানবাহন থাকার কথা বললেও স্ত্রী কিংবা নির্ভরশীলদের কোনো যানবাহন নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীকের  এ প্রার্থী হলফনামায় নিজের নাম উল্লেখ করেছেন-সালমান ফজলুর রহমান, বাবা ফজলুর রহমান, মা সৈয়দা ফাতিনা রহমান। স্থায়ী ঠিকান-বেথুয়া, মুকসুদপুর, দোহার, ঢাকা। সংসদ নির্বাচনে তিনি ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন গত ২৭ নভেম্বর। বর্তমানে তা

মুসা বিন শমসের কে...? বাংলাদেশের রহস্য মানব মুসা বিন শমসের...!

ছবি
মুসা বিন শমসের ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই এবং দুই বোনের মাঝে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় পুত্র সন্তান। তার বাবা শমসের আলী মোল্লা ব্রিটিশ সরকারে স্থানীয় সরকারের বড় কর্মকর্তা ছিলেন। মুসা বিন শমসেরের তিন সন্তান রয়েছে। জাহারা বিনতে মুসা ন্যান্সী, হাজ্জাজ বিন মুসা ববি ও হাজ্জাত বিন মুসা জুবি। হাজ্জাজ বিন মুসা ববি  (ববি হাজ্জাত) জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন । আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, প্রিন্স মুসা হীরকখচিত যে জুতো পরেন তার মূল্য লক্ষ্য ডলার। তার সংগ্রহে এমনি রত্মখচিত হাজারো জুতো রয়েছে। তার পরনের কয়েকটি স্যুট স্বর্ণসুতাখচিত। তিনি নিত্য গোসল করেন নিমজল অার গোলাপ জলে। তার সংগ্রহে অসংখ্য মূল্যবান স্যুট রয়েছে। তাকে কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দু`বার দেখা যায় না। এমনি মূল্যবান প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। যা শুধু তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে খ্যাত প্রিওনী বেলভেস্ট এবং ইটালির আবলা এবং ফ্যান

HUAWEI কোম্পানির সম্পর্কে বেসিকধারনা.....

ছবি
হুয়াওয়ে শব্দটি দ্বারা চীনের সাফল্য বা অর্জনকে বোঝানো হয়ে থাকে..! হুয়াওয়ে শব্দটিতে ব্যবহৃত প্রথম অক্ষরটি দ্বারা চীনা ভাষায় প্রথমদিকে ফুলকে বোঝানো হলেও এখন কিন্তু একটি ভিন্ন অর্থেই ব্যবহার করা হয়। এই অক্ষরটি এখন 'চীন দেশ বা চীন সংক্রান্ত' অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ২য় অক্ষরটি কৃতিত্ব, দক্ষতা বা স্বীকৃতি অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সুতরাং, সমন্বিতভাবে হুয়াওয়ে শব্দের প্রথম দুটি অক্ষর দ্বারা চীন দেশের সাফল্য বা অর্জনকে বোঝানো হয়ে থাকে। হুয়াওয়ে এখন বিশ্বের সর্ববৃহৎ টেলিযোগাযোগ পণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অনেকেই হুয়াওয়েকে শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেনে থাকলেও এই বিষয়টি অনেকেই জানেন না যে, তারা এখন টেলিযোগাযোগ পণ্য তৈরি এবং বাজারজাতকরণের সবথেকে বড় প্রতিষ্ঠান।  ২০১২ সালে আরেক বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এরিকসনকে টপকে হুয়াওয়ে এই স্থান দখল করে দিয়েছে। ফলে এখন শুধু স্মার্টফোনের উপকরণ তৈরি এবং সমন্বয় করাই হুয়াওয়ের অর্থোপার্জনের একমাত্র পথ নয়, বরং চুক্তি অন্তর্ভুক্ত বেশ কয়েকটি কর্পোরেশন এবং টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের জন্য নানা যোগাযোগ উপকরণ প্র

কাশ্মীর এখন থমথমে পরিবেশ....!

ছবি
গোটা কাশ্মীর উপত্যকা এই মুহূর্তে থমথমে। বিশ্ববাসীর চোখ এখন কাশ্মীরে, কী হবে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পরিণাম? এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কাশ্মীর নিয়ে কেন এতো সংঘাত, কী তার ইতিহাস? [][]কাশ্মীরের ইতিহাসঃ--- পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত কাশ্মীরে হিন্দুধর্ম ও পরবর্তীতে বৌদ্ধধর্ম প্রভাব বিস্তার করে। নবম শতাব্দীতে গিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় শৈব ধর্মের উত্থান ঘটে। ১৩৩৯ সালে প্রথম মুসলিম শাসক শাহ মীরের হাত ধরে কাশ্মীরে ইসলামে বিস্তার হতে থাকে। এ সময় অন্যান্য ধর্মের প্রভাব হ্রাস পেলেও তাদের অর্জনসমূহ হারিয়ে না গিয়ে বরং মুসলিম অনুশাসনের সঙ্গে মিশে কাশ্মীরি সুফিবাদের জন্ম হয়। পরবর্তী সময়ে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ প্রায় ৫০০ বছর মুসলিমরা কাশ্মীর শাসন করে। ১৮১৯ সালের শেষাংশে রঞ্জিত সিংহের নেতৃত্বে শিখরা কাশ্মীর দখল করে। ১৮৪৬ সালে কাম্মীরের তৎকালীন রাজা ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেলে রাজ্যটি ইংরেজদের হস্তগত হয়। তবে একটি চুক্তির মাধ্যমে গোলাব সিংহ ব্রিটিশদের কাছ থেকে ৭৫ লাখ রুপি এবং সামান্য বার্ষিক চাঁদার বিনিময়ে কাশ্মীর ক্রয় করেন এবং নতুন শাসক হন। ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত গোলাপ সিংহের বংশধরেরাই কাশ্ম