মুসা বিন শমসের কে...? বাংলাদেশের রহস্য মানব মুসা বিন শমসের...!

মুসা বিন শমসের ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর ফরিদপুরের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। চার ভাই এবং দুই বোনের মাঝে তিনি পিতা-মাতার তৃতীয় পুত্র সন্তান। তার বাবা শমসের আলী মোল্লা ব্রিটিশ সরকারে স্থানীয় সরকারের বড় কর্মকর্তা ছিলেন।


মুসা বিন শমসেরের তিন সন্তান রয়েছে। জাহারা বিনতে মুসা ন্যান্সী, হাজ্জাজ বিন মুসা ববি ও হাজ্জাত বিন মুসা জুবি। হাজ্জাজ বিন মুসা ববি  (ববি হাজ্জাত) জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন ।





আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, প্রিন্স মুসা হীরকখচিত যে জুতো পরেন তার মূল্য লক্ষ্য ডলার। তার সংগ্রহে এমনি রত্মখচিত হাজারো জুতো রয়েছে। তার পরনের কয়েকটি স্যুট স্বর্ণসুতাখচিত। তিনি নিত্য গোসল করেন নিমজল অার গোলাপ জলে।




তার সংগ্রহে অসংখ্য মূল্যবান স্যুট রয়েছে। তাকে কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দু`বার দেখা যায় না। এমনি মূল্যবান প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। যা শুধু তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে খ্যাত প্রিওনী বেলভেস্ট এবং ইটালির আবলা এবং ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের বিশেষ ব্রান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক দিয়েই তার সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি।



তার হাতের সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির ডায়াল এবং ব্রেসলেট হচ্ছে হীরক খচিত। যার মূল্য অর্ধ মিলিয়ন ডলার এবং তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির বেল্ট, কাফলিঙ্ক-এর সেটের মূল্য ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেবল তার জন্যে প্রস্তুতকৃত এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল ২৭ মাসেরও বেশী সময় ধরে। বিশ্ব বিখ্যাত রোলেক্স কোম্পানি এই অত্যাশ্চার্য্য ঘড়িটির প্রস্তুতকারক।

তবে অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাওয়া মুসার সম্পদের খোঁজে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার সম্পদকে ‘অস্বাভাবিক’ সন্দেহ করে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সংস্থাটি।

দুদক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বলেন, মুসা বিন শমসের এত সম্পদের মালিক কিভাবে হলেন, এসবের উৎসইবা কি তা আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করবো।




প্রিন্স মুসাকে আন্তর্জাতিক রহস্যমানব উল্লেখ করে দুদকের অন্যতম প্রধান এ নির্বাহী বলেন, অবৈধ কোনো উৎস বা মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত কি-না তাও খতিয়ে দেখা হবে।

তিনি জানান, মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ দুদকের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে যাচাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন।



দুদক ইতিমধ্যে তার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করেছে। প্রিন্স মুসা বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ঢাকায় তার বর্তমান ব্যবসায়িক ঠিকানা, বাড়ি নম্বর-৫৭, রোড নম্বর-১, ব্লক-১, বনানী, ঢাকা।

বাংলা উইকিপিডিয়ায় মুসা বিন শমসেরকে ‘বিজনেস মোগল’ এবং ‘প্রিন্স মুসা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ড্যাটকো গ্রুপের চেয়ারম্যান। আর্মস ডিলার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত বলেও উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে।

তার ওপর দুদকের কাছে থাকা তথ্যে দেখা যায়, রূপকথার মতোই প্রিন্স মুসার বর্ণিল জীবন ও বিস্ময়কর সব কর্মধারা। এ উপমহাদেশে তিনি শীর্ষস্থানীয় বর্ণাঢ্য ব্যক্তি যিনি এক বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করেছেন বেশিরভাগ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বেচাকেনার ব্যবসা করে।

ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী, মুসা বিন শমসেরই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার মূল সম্পত্তি প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের উপরে। তিনি অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত।

২০১১ সালের ২৪ জুন ড. মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে তার নো ইউর কাস্টমার (কেওয়াইসি) ফর্মের সব তথ্য জানতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে ড. মুসার সব ব্যাংকের স্থায়ী, চলতি, সঞ্চয়ী, ডিপিএস, এসপিডিএস, এফডিআর বা অন্য কোনো পদ্ধতিতে হিসাব পরিচালিত হয়েছে বা হচ্ছে কি না সে সম্পর্কে তথ্যসহ হিসাব খোলার দিন থেকে হালনাগাদ হিসাব বিবরণী দাখিল করতে তফসিলিভুক্ত ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছিল। দুদকের চাহিদার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব হিসাব তলব করলেও পরে রহস্যজনক কারণে এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি সম্ভব হয়নি।  

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার