পোস্টগুলি

জুন ১৪, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ওষুধের জন্য গাছ

ছবি
আমরুল টক স্বাদের একটি শাক। কেউবা খায় রান্না করে আবার কেউবা খায় ওষুধ হিসেবে। এছাড়া ভিটামিন ‘সি’ এর অভাব দূর করতে, পেট পরিষ্কার করতে, ত্বক ভালো রাখতে, মুখের রুচি বাড়াতে, সর্দি-কাঁশি সমস্যায়, ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে, প্রসাবের সমস্যায় ও আমাশয় রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরুল শাক ওষুধের মতো কাজ করে। অনেকে এটি টক হিসেবেও রান্না করে খায়। এছাড়া বাচ্চারা এটিকে খেলার সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। রাস্তার আশে-পাশে, ঝোপ-ঝাঁড়ে, বাড়ির আনাচে-কানাচে ও বিভিন্ন গাছের গোড়ায় আমরুল শাক দেখতে পাওয়া যায়। বর্ষা মৌসুমে ও হালকা ভেজা মাটিতে এই শাক বেশি পাওয়া যায়। তবে সারাবছরই আমরুল শাক কম বেশি পাওয়া যায়। আমরুল শাকের পাতা তিনটি অংশে বিভক্ত। এর কাণ্ড ও পাতা সবুজ। পাতার প্রতিটি অংশ লাভ আকৃতির। এর কাণ্ড এক থেকে দেড় ইঞ্চি লম্বা হয়। এর পাতা এবং কাণ্ড নরম ও রসালো প্রকৃতির হয়ে থাকে। আমরুল শাকের ফুল দেখতে হলুদ রঙের। এর ফুল আকারে অনেক ছোট। ফুলের ভিতর পাঁচটি পাঁপড়ি থাকে। এছাড়া একটি পুংকেশর নিয়ে ফুলের মধ্যভাগ গঠিত। ফুলের ভিতর অসংখ্য পুষ্পরেণু থাকে যা এদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে। সাতক্ষীরা জেলার অনেকে আমরুল শাককে সু

Snake plant স্নেক প্লান্ট কি.....?

ছবি
স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant)। নাম শুনে ভয় পেয়ে যাবেন না প্লিজ।পাতার আকৃতির জন্যই এই ধরনের নাম গাছটির। এই গাছের পাতার আকৃতি অনেকটা সাপের মত প্যাঁচানো বলেই হয়ত লোকে একে স্নেক প্ল্যান্ট বলে। তবে এর আরো একটি মজার নাম আছে, দেশের বাইরে অনেকেই একে মাদার ইন ল’স(Mother in law's tongue ) টাং বলে ডাকে (যার বাংলা প্রতিশব্দ শাশুড়ির জ্বিহবা)। এই নাগরিক জীবনে আপনি খুব ব্যস্ত মানুষ, ইনডোর প্ল্যান্ট গুলোর যত্ন নেয়ার একদমই সময় পান না! সময়ের অভাবে যত্ন না নেওয়ায় বিবর্ন হয়ে ওঠেছে আপনার শখের গৃহসজ্জার গাছ গুলো। তবে আপনার দরকার সহজ পরিচর্যার ইনডোর প্ল্যান্ট যা কম যত্নেও থাকবে সজীব। হ্যা, আপনি ঘরের শোভা বাড়াতে বেছে নিতে পারেন এমন কিছু গাছ যা অল্প সময়ে খুব সহজেই পরিচর্যা করা যায় আর অযত্ন অবহেলায়ও সজীব সতেজ থাকে সব সময়।স্নেক প্ল্যান্ট (Snake Plant) হচ্ছে এমনই একটি গাছ।ঘর সাজানোর কাজে আমরা হর-হামেশাই ব্যবহার করে থাকি এই গাছ। সৌন্দর্য বাড়াতে অনেকেই শোবার ঘরেও এই গাছটি রাখেন। শোবার ঘরে এই গাছটি রাখার একটি বিশেষত্ব আছে আর তা হলো,এটি রাতে অক্সিজেন ছাড়ে।এই গাছ যদি ঘরে রাখেন, তাহলে ঘরে অক্সিজেনের কো

ঔষধের গাছ

ছবি
বাংলাদেশ অতিপ্রাচীন একটি গাছ উলটকম্বল গাছের পাতা, ডাল, মূল, বাকল বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। গাছের বাকল ও ডাঁটা পানিতে ভিজিয়ে রাখলে আঠালো পদার্থ বের হয় যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করে। পাতার ডাঁটা প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া উপশম, আমাশয় রোগের জন্য উপকারী এবং পাতা ও কাণ্ডের রস গনোরিয়া, ফোঁড়া ও স্ত্রী রোগে উপকারী। গবাদিপশুর পাতলা পায়খানা, বিলম্ব প্রজনন এবং হাঁস-মুরগির বিভিন্ন চিকিৎসায় উলটকম্বলের ব্যবহার রয়েছে। উলটকম্বল বীজ থেকে ও ডাল কাটিংয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা যায়। তবে বীজ থেকে বংশবিস্তার খুবই সহজ পদ্ধতি।  বীজ সংগ্রহ পরবর্তী ১ থেকে ২ মাস পর তা বপন করা যায়। বপনের আগে দু’ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে পানি ছেকে বাতাসে শুকিয়ে নিয়ে প্রস্তুতকৃত জমিতে বীজ ছিটিয়ে বা সারিতে বপন করা যায় মই দিয়ে সমান করে দিতে হবে। বীজ বপনের ৫ থেকে ৬ মাস পর গাছের পাতা, ডাল, মূল ব্যবহারের উপযোগী হয়।

বিষাক্ত পদার্থ শোষনের গাছ

ছবি
স্পাইডার প্লান্ট বাংলাদেশের যে কোনও নার্সারীতে গেলে এটা বেশ সস্তায় পেয়ে যাবেন। এই সস্তা গাছটি রুমের বাতাসের ৯০% পর্যন্ত বিষাক্ত পদার্থ শোষণ করে।স্পাইডার প্লান্ট (Spider plant) অন্যতম। নাসা’র (National Aeronautics and Space Administration NASA) মতে এই গাছ ঘরের শতকরা ৯০% দুষিত বাতাস বিশুদ্ধ করে। স্পাইডার প্লান্টের উৎপত্তিস্থল সাউথ আফ্রিকায়। এই গাছের বোটানিকেল নাম Chlorophytum composing । সরু এই গাছটি সাধারণত ৮/১০ ইঞ্চি লম্বা হয়। পাতার রং সবুজের মধ্যে সাদা ডোরা কাটা।  তবে মাঝে মাঝে শুধু সবুজও হয় । গাছ থেকে বের হয় ছোট ডাল, ডালের মাথায় ফুটে সাদা সাদা ফুল। ফুল থেকে হয় ছোট্ট চারা গাছ।