রবিউলের পথ ব্যবসার সাফল্যের উদ্যোক্তা হবার গল্প ...!!!
রসমালাই বিক্রেতা ইঞ্জিনিয়ার রবিউলের আকাশ ছোঁয়ার গল্প....!!!
তাঁকে প্রায়ই দেখা যায় রাজধানীর মিরপুরের ফুটপাথে-কখনো শ্যামলী, কখনো ধানমন্ডি, পান্থপথ, আবার কখনোবা মতিঝিলে। রাজপথে ঘুরে ঘুরে তিনি ফেরি করেন খাঁটি মধু, ঘি, কালোজিরার তেল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাই, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, মুক্তাগাছার মন্ডা। তাঁর স্বপ্ন দেশের মানুষকে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া এবং দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা।
বলছিলাম বিএসসি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম চৌধুরীর কথা।
পড়াশোনা শেষ করে দেশ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে নিজে কিছু করার কথা ভাবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করেন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি।
শুধু অফলাইনে বেশি বিক্রি না হওয়াতে এক সময় অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। তৈরি করেন অনলাইন প্লাটফর্ম ‘সহজসরলডটকম’। রাজপথে ঘুরে ঘুরে বিক্রির পাশাপাশি তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে এসব খাবার ক্রেতাদের কাছে সরবাহ করতে শুরু করেন।
ব্যবসা শুরুর সময়টা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পথচারীদের কাছ থেকে তাকে শুনতে হয়েছে নানান ধরনের অপমানজনক কথা। তারপরেও থেমে থাকেননি তিনি। অদম্য ইচ্ছেশক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি এই অদম্য উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আড্ডা জমে। জানা হয় তার উদ্যোক্তা জীবনের নানা ঘটনার কথা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ম রবিউল ইসলাম চৌধুরীর। বর্তমানে থাকেন রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায়। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। বাবা খোরশেদ আলম চৌধুরী একজন কৃষক আর মা জাহানারা বেগম গৃহিণী।
শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কুমিল্লাতেই। সেখানেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ডিপ্লোমা শেষ করে ঢাকায় আসেন। ভর্তি হন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ঢাকায় আসার পর যে খাবারই কিনে খাচ্ছিলেন তিনি, কোনো কিছুতেই স্বাদ পাচ্ছিলেন না। ভেজাল খাবারে ভরপুর ঢাকা শহরের কোনো খাবারই তাঁকে তৃপ্ত করতে পারছিল না। তখন থেকেই ভাবতে থাকেন দেশের মানুষকে কীভাবে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া যায়।
এরই মাঝে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স শেষ করেন। নিজের স্বপ্ন পূরণে চাকরির পেছনে না ঘুরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা করার। কিন্তু মাথায় পরিকল্পনা থাকলেও হাতে ব্যবসা শুরু করার মতো টাকা ছিল না তাঁর। তখন এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে সহজসরলডটকম নামের অনলাইন প্লাটফর্মে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। শুরুতে নিজের এলাকা কুমিল্লার রসমালাই ও টাঙ্গাইলের চমচম নিয়েই রাজপথে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন।
রাজপথে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করতে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে রবিউলের। তিনি বলেন, আমি মিরপুর, শ্যামলী, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি ১৫, সোবহানবাগ, গ্রীনরোড, পান্থপথ ও মতিঝিলসহ শহরের অনেক ব্যস্ততম পয়েন্টে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অনবরত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে একটা প্লাস্টিকের টুল আর টেবিল নিয়ে দিনের পর দিন কুমিল্লার রসমালাই ও টাঙ্গাইলের চমচম বিক্রি করেছি। আমার পর্যাপ্ত টাকা ছিল না তাই আমি নিজেই মার্কেটিং করেছি। ২০ টাকা পিছ চমচম বিক্রি করেছি। সেই সঙ্গে লিফলেট/ভিজিটিং কার্ড দিয়েছি, যাতে পরবর্তীতে অর্ডার করেন ক্রেতারা।
প্রথম ছয় মাস কেউই আমার পাশে ছিল না। অনেকটা একা একা কাজ করতে হয়েছে। একজন শিক্ষিত বেকার যুবক এভাবে ফেরি করে মিষ্টি বিক্রি করছে দেখে কেউ হাসতো, কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করতো, কেউ শিক্ষাকে অপমান করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করতো, কেউ আবার বলতো এসবই ভণ্ডামি। এমনকি কেউ বলেছে, লেখাপড়া করার কি দরকার ছিল যদি রাস্তায় মিষ্টিই বিক্রি করবি। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নাকি আমি চাকরিতে নিরুৎসাহিত করছি। এমনই নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে।
তবে এসব সমালোচনাকে রবিউল একদমই পাত্তাই দেননি। তার ভাষায়, ধরেন আপনি ঢাকা শহরে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে একটা বৃদ্ধাশ্রম করবেন। তখন মানুষ আপনাকে নিয়ে কি কি মন্তব্য করবে। কেউ বলবে, আপনি অনেক মহান কাজ করছেন, কেউ বলবে অনেক দামি সম্পত্তি বিক্রি করে মানবসেবা আজাইরা কাম, কেউ বলবে পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি, আবার কেউ বলবে সে এই সমাজকে নষ্ট করার জন্যই বৃদ্ধাশ্রম করেছে- সে চায় পরিবার থেকে বের করে ইউরোপ-আমেরিকার মতো সমাজ বানাতে। আরও কত মানুষ কত মন্তব্য করবেন আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি যতই মানবসেবা বলে কাজটা শুরু করেন না কেন, সমালোচনা আপনাকেই শুনতে হবেই। তাই বলে আপনি পিছিয়ে যাবেন? না, মোটেও নয়।
রবিউল বলেন, বর্তমানে কুমিল্লার মাতৃভান্ডারের রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই, মেহেরপুরের রসকদম, মুক্তাগাছার মন্ডা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, খাঁটি ঘি, মধু ও কালোজিরার তেল সরবাহ করছি। মাসে ইনকাম ৩০,০০০/-।
তাঁকে প্রায়ই দেখা যায় রাজধানীর মিরপুরের ফুটপাথে-কখনো শ্যামলী, কখনো ধানমন্ডি, পান্থপথ, আবার কখনোবা মতিঝিলে। রাজপথে ঘুরে ঘুরে তিনি ফেরি করেন খাঁটি মধু, ঘি, কালোজিরার তেল, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাই, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, মুক্তাগাছার মন্ডা। তাঁর স্বপ্ন দেশের মানুষকে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া এবং দেশ থেকে বেকারত্ব দূর করা।
বলছিলাম বিএসসি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম চৌধুরীর কথা।
পড়াশোনা শেষ করে দেশ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে নিজে কিছু করার কথা ভাবেন। যেই ভাবা সেই কাজ। শুরু করেন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি।
শুধু অফলাইনে বেশি বিক্রি না হওয়াতে এক সময় অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা করেন। তৈরি করেন অনলাইন প্লাটফর্ম ‘সহজসরলডটকম’। রাজপথে ঘুরে ঘুরে বিক্রির পাশাপাশি তিনি অনলাইনে অর্ডার নিয়ে এসব খাবার ক্রেতাদের কাছে সরবাহ করতে শুরু করেন।
ব্যবসা শুরুর সময়টা তার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পথচারীদের কাছ থেকে তাকে শুনতে হয়েছে নানান ধরনের অপমানজনক কথা। তারপরেও থেমে থাকেননি তিনি। অদম্য ইচ্ছেশক্তিতে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সম্প্রতি এই অদম্য উদ্যোক্তা ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম চৌধুরীর সাথে আড্ডা জমে। জানা হয় তার উদ্যোক্তা জীবনের নানা ঘটনার কথা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ম রবিউল ইসলাম চৌধুরীর। বর্তমানে থাকেন রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বর এলাকায়। দুই ভাই-দুই বোনের মধ্যে দ্বিতীয় তিনি। বাবা খোরশেদ আলম চৌধুরী একজন কৃষক আর মা জাহানারা বেগম গৃহিণী।
শৈশব ও কৈশোর কেটেছে কুমিল্লাতেই। সেখানেই কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর ডিপ্লোমা শেষ করে ঢাকায় আসেন। ভর্তি হন ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ঢাকায় আসার পর যে খাবারই কিনে খাচ্ছিলেন তিনি, কোনো কিছুতেই স্বাদ পাচ্ছিলেন না। ভেজাল খাবারে ভরপুর ঢাকা শহরের কোনো খাবারই তাঁকে তৃপ্ত করতে পারছিল না। তখন থেকেই ভাবতে থাকেন দেশের মানুষকে কীভাবে ভেজালমুক্ত খাবার পৌঁছে দেয়া যায়।
এরই মাঝে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনার্স শেষ করেন। নিজের স্বপ্ন পূরণে চাকরির পেছনে না ঘুরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ব্যবসা করার। কিন্তু মাথায় পরিকল্পনা থাকলেও হাতে ব্যবসা শুরু করার মতো টাকা ছিল না তাঁর। তখন এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নিয়ে সহজসরলডটকম নামের অনলাইন প্লাটফর্মে মিষ্টি বিক্রি শুরু করেন। শুরুতে নিজের এলাকা কুমিল্লার রসমালাই ও টাঙ্গাইলের চমচম নিয়েই রাজপথে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করেন।
রাজপথে ঘুরে ঘুরে মিষ্টি বিক্রি করতে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে রবিউলের। তিনি বলেন, আমি মিরপুর, শ্যামলী, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ধানমন্ডি ১৫, সোবহানবাগ, গ্রীনরোড, পান্থপথ ও মতিঝিলসহ শহরের অনেক ব্যস্ততম পয়েন্টে সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অনবরত রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। অলিগলিতে ঘুরে ঘুরে একটা প্লাস্টিকের টুল আর টেবিল নিয়ে দিনের পর দিন কুমিল্লার রসমালাই ও টাঙ্গাইলের চমচম বিক্রি করেছি। আমার পর্যাপ্ত টাকা ছিল না তাই আমি নিজেই মার্কেটিং করেছি। ২০ টাকা পিছ চমচম বিক্রি করেছি। সেই সঙ্গে লিফলেট/ভিজিটিং কার্ড দিয়েছি, যাতে পরবর্তীতে অর্ডার করেন ক্রেতারা।
প্রথম ছয় মাস কেউই আমার পাশে ছিল না। অনেকটা একা একা কাজ করতে হয়েছে। একজন শিক্ষিত বেকার যুবক এভাবে ফেরি করে মিষ্টি বিক্রি করছে দেখে কেউ হাসতো, কেউ নেতিবাচক মন্তব্য করতো, কেউ শিক্ষাকে অপমান করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করতো, কেউ আবার বলতো এসবই ভণ্ডামি। এমনকি কেউ বলেছে, লেখাপড়া করার কি দরকার ছিল যদি রাস্তায় মিষ্টিই বিক্রি করবি। কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নাকি আমি চাকরিতে নিরুৎসাহিত করছি। এমনই নানা কটু কথা শুনতে হয়েছে।
তবে এসব সমালোচনাকে রবিউল একদমই পাত্তাই দেননি। তার ভাষায়, ধরেন আপনি ঢাকা শহরে নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে একটা বৃদ্ধাশ্রম করবেন। তখন মানুষ আপনাকে নিয়ে কি কি মন্তব্য করবে। কেউ বলবে, আপনি অনেক মহান কাজ করছেন, কেউ বলবে অনেক দামি সম্পত্তি বিক্রি করে মানবসেবা আজাইরা কাম, কেউ বলবে পুরান পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি, আবার কেউ বলবে সে এই সমাজকে নষ্ট করার জন্যই বৃদ্ধাশ্রম করেছে- সে চায় পরিবার থেকে বের করে ইউরোপ-আমেরিকার মতো সমাজ বানাতে। আরও কত মানুষ কত মন্তব্য করবেন আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি যতই মানবসেবা বলে কাজটা শুরু করেন না কেন, সমালোচনা আপনাকেই শুনতে হবেই। তাই বলে আপনি পিছিয়ে যাবেন? না, মোটেও নয়।
রবিউল বলেন, বর্তমানে কুমিল্লার মাতৃভান্ডারের রসমালাই, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, বগুড়ার দই, মেহেরপুরের রসকদম, মুক্তাগাছার মন্ডা, নেত্রকোনার বালিশ মিষ্টি, খাঁটি ঘি, মধু ও কালোজিরার তেল সরবাহ করছি। মাসে ইনকাম ৩০,০০০/-।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন