পালংশাক
পালংশাক: শীতকালীন জনপ্রিয় শাক হিসেবে অতিপরিচিত পালংশাক। এটি অনেকেরই খুব পছন্দের। সুলভে পাওয়া সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরী গুণ।
প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, ফোলেট (বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম।
আজ জেনে নেব হাতের কাছে পাওয়া পালং শাকের অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে-
১. পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে দারুণভাবে।
২. এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করতেও অতুলনীয়।
৩. পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক সব রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪. সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যা দৃষ্টি শক্তি বাড়িয়ে দেয়। পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার বিটা ক্যারোটিন চোখের ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৫. পালং শাকে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের বাইরের স্তরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা বিভিন্ন ধরনের ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ, বলিরেখা পড়া ইত্যাদির দূরীকরণেও বেশ কার্যকর। এছাড়া এটা ত্বকের বয়সের ছাপ পড়ার গতিকে ধীর করে এবং ত্বককে নরম ও স্থিতিস্থাপক অবস্থা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
৬. পালং শাকে থাকা পুষ্টি উপাদান শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি করে।
৭. পালং শাকে আছে নিওজেন্থিন উপাদান যা প্রদাহ নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যাদের হাড়ের জোড়ায় ব্যাথা আছে তারা নিয়মিত খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখলে উপকার পাবেন।
৮. এই সবজিতে থাকা ফলিক এসিড সুস্থ কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হৃদযন্ত্রের সুস্থতা ধরে রাখতে পালং শাকের ওপর নির্ভরতা রাখতে পারেন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন