"আমার বকুল ফুল"--- ২য় খন্ড


বড় বউ বাচ্চাদের নিয়ে
জীবন কাটাতে লাগলাম
 কিছুদিন পরে প্রজেক্টি
বন্ধ হয  গেল
বেকার হয়ে পরলাম।
বলি--বলি করে বড় বউকে
"বকুলির"
কথা বলার
সাহস হয়ে উঠেনি।
বাথরুমে এক দিন
অায়নার সামন
দাড়িয়ে "বকুলির"
কথা মনে
পড়লো দুচোখ ফেঁটে
কান্না বেরিয়ে অাসলো।
অসহায়ের মত মনে
মনে "বকুলির" জন্য হৃদয়ে
ব্যাকুল এক
ভালবাসা অনুভব করলাম।
বাড়ী বদল হলো অামি
অন্য কাজের সন্ধনে-চলে
এলাম ময়মনসিংহ
জীবনে এভাবে
তিনটি
বছর পার হল
"বকুলি "
অার অামার
দেখা নেই " ও"
কেমন অাছে অামি
জানিনা..।
ও কি অাজও অামার
পথে তাকিয়ে অাছে
অামি কিছুই জানিনা।
ইছামতি নদি পাশদিয়ে
বয়ে জাওয়
একটি গ্রাম
অার অামার
"বকুলি "
কখন কখনই
অামি ভূলবোনা।
বছর তিনেক
পরে অামি অাবার
ফিরলাম অামার
"বকুলি" অামার
বকুল ফুলের
সন্ধানে।
জীবনের অাবেগ
অার ভালবাসা
সেদিন
"বকুলি " অামার
বকুল ফুলকে
চেয়ে ছিল ব্যাকুল
করে
অামি অাসছি তোমায়
ভাল বাসতে ।
 ইছা মতি
নদি অার সবুজ
গ্রামের মেঠোপথ
পার হলাম অার তো
ছাদেক মিয়ার
চায়ে দোকান এই
তো প্রায় এসেগেছি
কিন্তু কৈ ছাদেক
মিয়ার চায়ের
দোকান......?
ছাদেক মিয়া ঐ
তো
হোটেল দিয়েছেন
মুখে দাড়ি -রেখেছেন।
অামার
দিকে তাকিয়ে
ভ্রুকুটি করে
কুচকে মুখ ঘুরিয়ে
নিলেন উনিকি
অামাকে চিনতে
পারছেন না বড়
হতবাক হলাম।
অামি ছালাম দিলাম
উনি উত্তর দিলেন।
-অামি
অামার পরিচয়
দিতে
গেলে উনি থামিয়ে
দিলেন, কর্মচারিকে
এক কাপ চা দিতে
বল্লেন।
সাদেক-মিয়া
এবার প্রায় কাঁদলো
তার চোখে পানি
দেখলাম, অামি
বল্লাম কাঁদছেন কেন...?
উনি অার পারলেন
না হাউ মাউ করে
কাঁদতে লাগলো,
এর ভিতর "চা "
অাসলো অামি
চায়ের কাপে
চুমুক দিলাম।
 -সাদেক মিয়া কান্নাকাটি
 থামালেন বল্লেন এত দেরি কেন
করলেন....?
-অামি বল্লাম সে অনেক
কাহিনি পরে বলব ,
বলুন কি হয়েছে....?
সাদেক মিয়া অাবার
কাঁদ কাঁদ কন্ঠে
বলতে লাগলো" বকুলি"
অামি বল্লাম কি...?
কি হয়েছে "বকুলির" বলুন.....?
তিনি বল্লেন "বকুলি "বেঁচেনাই
। অাবার সাদেক মিয়া কাঁদতে
শুরু করলেন..।
অামি হতভম্ব হয়ে গেলাম
দুই চোখ ভেঙ্গে পানি
গরিয়ে পরলো।
অামার দুচোখে
অন্ধকার নেমেএল
অামার "বকুলি "
মরতে পারেনা অামি
অামার বকুল -ফুলকে
হারাতে পারিনা।
সাদেক মিয়ার
হোটেল থেকে
বিদায় নিলাম
"বকুলির"
বাবা মতিমিয়া উঠনে
বসা পাশে বছর অাড়াই বয়সের
একটি শিশু ফুটফুটে।
মতি মিয়া অামাকে দেখে জড়িয়ে
 ধরে কাঁদলো।
বল্লেন সব শেষ এখন অাশার
 সময় হলো তোমার...!
অামি কিছুই বলতে
পারলাম না.....!
মতি মিয়া বলে চল্লেন
এই "অনন্ত"
অামি বলাম ঃ
কে....এ...?
মতিমিয়ঃ "বকুলির "
সন্তান তোমার
ছেলে....!
মতিমিয়া ঃ-অামার --মে -টা
পথের দিক
তাকিয়ে থাকতো...!
সন্তান হবার পর
পুষ্টি হিনতায়
-ভুগছে
"বকুলি" তারপর অামি
গরিব মানু ঠিকমতো
ভাল খাবারদাবার
দিতে পারতামনা।
রক্ত সল্পতার জন্য দিন
দিন অার
দূর্বল হয়ে পরে
"বকুলি " স্বামির
পথের দিকে চেয়ে
চেয়ে "বকুলি "
-অার অসুস্থ হয়েপরে এক
সময় খাওয়া দাওয়া
ছেরে দেয় শুধুইপথের
ধারে দারিয়ে-থাকতো
স্বামির অাশায়।
এক দিন শহরে
খোজ নিতেপাঠান
হলো কিন্তু
অাগের ঠিকানায়
খুজে মিল্লোনা
স্বামিকে।বাড়ীর
মালিক তার
কোর খোঁজ দিতে
পারলেন না।
"বকুলি"ভেঙ্গ
পরলেন খাওয়া
দাওয় ছেরে দিলেন
এমন কি নিজের
সন্তনকে পর্যন্ত -দেখা
সম্ভব হলোনা।
এর পর ঘুম হতোনা
তার অাস্তে অাস্তে
"বকু্লি" এতটা অসুস্থ
বোদ করতো যে
বলেম বুঝান
অসম্ভব।গ্রামের
লোক জন সকলে
ভাল চিকিৎসার
জন্য "বকুলিকে" শহরে
নিতে বলো।
ঠিক হলো "বকুলি "
শহরে যাবে "বকুলি "
কিন্তু তা অার
হোল না.....! হারিয়ে
গেল " বকুলি"
অামার বকুল ফুল....!
চোখের পানি
মুছতে... মুছতে অামাকে
নিয়ে গেল "বকুলির"
কবর এর ধারে।
ঐ যে.... ঐ কদম
গাছের নিচে কবর....!
ছিটা--ছিটা
বৃষ্টি পরছে....
-কদম
-ফুলের
-পাপরি ও জ্বরছে
স্বাথে অামার দুই
একফোটা
অশ্রু বৃষ্টির থেকে
অালাদা করা গেলনা।
অামার বুকটা ফেটে
কান্না বেরিয়ে অাশলো
পারলাম না।অামার
"বকুলি" অামাকে
ছেরে চলে গেছে
অামি হেরে গেলাম "
বকুলি" অামি
ভালাসি তোমাকে।
ছোট্ট শিশু নাম
"অনন্ত " তাকিয়ে
রইলো অামার দিকে
অামি "অনন্তর"চোখের
ভিতরে অামার
"বকুলির " চেহার
দেখতে পেলাম।ফিরে
অাশার সময়
"অনন্ত"
খুব শক্ত করে
হাতটা
ধরলো ঠিক ওর মা
"বকুলির " মত করে
অামি অনেক কষ্টে
হাতটা ছাড়িয়ে এলাম।
অামার হাতে
একটি চিঠি তুলে
দিলেন "বকুলির"
বাবা যেটা বকুলি
লিখে
রেখে গেছেন----
অামি হাত বাড়িয়ে
চিঠি টি নিলাম এর
পরে চলে এলাম।
ইছা মতির নদীর
তিরে হাটছি ঐ......
বটগাছ যেটার নিচে
বসে ছিলা অামি
অার "বকুলি"
অামার বুক
ভেঙ্গে হু হু করে
কান্না অাসলো ও
"বকুলি " তুমি
এটা কি করলে।
"বকুলির "চিঠি--
টা খুল্লাম
.....................
...তৃতীয়  খন্ড পড়ুন




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার