ব্রাউন অাটার গুনাগুন কি...? কেন খাবেন লাল অাটা Brown atta..? লাল অাটা কেন ভাল.....?





ব্রাউন অাটা বা লাল অাটার গুনাগুনঃ


 লাল অাটা হজমে গণ্ডগোল বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাদের তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ খাবার, এক কথায় আঁশ বা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। আঁশ দুই ধরনের হয়, দ্রাব্য এবং অদ্রাব্য। দ্রাব্য আঁশ আমাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। আবার যারা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তারাও দ্রাব্য ফাইবার খেতে পারেন। যেকোনও ফল ও সবজি দ্রাব্য আঁশ থাকে।

অদ্রাব্য ফাইবার খাবার হজম করতে এবং ডায়রিয়াসহ নানা পেটের রোগ সারাতে সাহায্য করে থাকো। তবে দেখে নেওয়া যাক, কি কি ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনের খাদ্যাভ্যাসে খাদ্যশস্য রাখা উচিত। কারণ এগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যেমন- গম বা লাল অাটা, ধান, রাই, ওট, বারলি, ভুট্টা, বাদামি চাল, মিলেট ইত্যাদি।

এছাড়া প্রতিদিন একটু করে নানারকমের বাদাম খাওয়া শরীরের জন্য খুবই ভাল। যেমন- কাঠবাদাম, পেস্তা, চিনাবাদাম ইত্যাদি। এই বাদামগুলির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ফলে শরীর রোগ মুক্ত তো থাকেই, সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটে।

ফলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়াও থাকে, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং পটাশিয়াম। তাই সুস্থ-সবল থাকতে ফলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

নারকেলও ফাইবার সমৃদ্ধ। একইসঙ্গে এতে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, ফোলেট, সেলিনিয়াম ইত্যাদি। তাই খাদ্যাভ্যাসে নারকেল রাখা খুবই ভালো।





 বর্তমানে আমরা রিফাইন করা ময়দার রুটি খেতেই বেশি পছন্দ বা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। যেখানে আগে লাল আটার রুটি খাওয়ার প্রচলনই বেশী ছিল। কিন্তু বেশ কিছু পুষ্টি বিষয়ক  গবেষণায় উঠে এসেছে যে রিফাইন করা ময়দা বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে আমাদের খাওয়ার উপযুক্ত হয় বলে, এর স্বাস্থ্যগুন অনেকাংশেই নষ্ট হয়ে যায়।
pusti Brown atta

লাল আটার রুটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে বিদ্যমান ভিটামিন এবং মিনারেলের মাত্রা সঠিক পরিমাণে থাকে বিধায় এটা আমাদের জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর । সাধারণত পুষ্টিকর খাবারে ৫ ধরনের উপাদান যেমন, শর্করা, প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাট, ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। এসকল উপাদান আমাদের দেহে জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এইসকল উপাদান আমাদের শরীরে শক্তি জুগিয়ে, কাজ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। বিভিন্ন ফলমূল এবং শাকসবজিতেও প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মিনারেল থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারি। সব ধরনের গমের আটা এবং সাদা ময়দাতেও, সাদা ভাত বা বাদামি ভাতেও প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজনীয় ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজ থাকে।

গমের আটা স্বাস্থ্যসম্মত ও খুবই পুষ্টিকর। কেননা গমের বাইরের লাল বা বাদামি আবরণে অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এই আবরণ ম্যাগনেশিয়াম নামক খাদ্য উপাদানে ভরপুর। কিন্তু খেতে সুস্বাদু হলেও রিফাইন বা পরিশোধিত সাদা আটার পুষ্টিগুণ অনেকতাই কম থাকে। অত্যধিক পরিশোধনের ফলে দেহের জন্য উপকারী বেশ কিছু ভিটামিন ও মিনারেল এই আটা থেকে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ময়দায় আশের পরিমাণ কম থাকায় এর গ্লাইসেমিক সূচকও বেশি থাকে।

গবেষণায় দেখা গেছে, লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আশ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই আটায় লিগনান নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। তাছাড়াও লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ ডায়াবেটিস রোগের জন্য দারুণ উপকারী। কারণ এটি রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। লাল আদা হৃদযন্ত্রের জন্যও উপকারী। প্রচুর ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকায় দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। শুধু তাই নয় লাল আটা ওজন কমাতেও সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে।



উল্লেখ্য, ৩৮ গ্রাম সাদা আটার রুটিতে ৮৭ ক্যালোরি, ফ্যাট ৭, কার্বোহাইড্রেট ১৬.০ গ্রাম, খাদ্য আশঁ ১.৫ গ্রাম এবং প্রোটিন ৩.৪ গ্রাম। অপরদিকে ৪৬ গ্রাম বাদামি আটার রুটিতে ১২৮ ক্যালোরি, ফ্যাট ২.৫ গ্রাম ,কার্বোহাইড্রেট ৯০.১ গ্রাম, খাদ্য আশঁ ২.৮ গ্রাম এবং প্রোটিন ১৫.৫গ্রাম। সুতরাং দেখা যায় সাদা আটার রুটি থেকে বাদামি আটার রুটির মধ্যে পুষ্টিগুন অনেক বেশি
তাই সাদা নয় লাল অাটাই সাস্থ্যকর।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?