শিশুদের শৈশবকালীন ডায়াবেটিসে অাক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায় কারন বা প্রতিকার কি...?


ডায়াবেটিস অাজ এক খুবই পরিচিত রোগের নাম।শিশু কিশোর, যুবক, নারী, পুরষ, প্রবীণ সকলেই ডায়াবেটিস রোগের কারনে অাজ নিয়ন্ত্রিত জীবন বেছে চলতে হয়। অাজ অালোচ্য বিষয় শৈশবকালীন ডায়াবেটিস নিয়ে।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে ১০ বছর বা তার উর্ধের বয়সের শিশুদের শৈশবকালীন ডায়াবেটিসে অাক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। অাবার ইউরোপে পাঁচ বছরের নিচের বয়সীদেরও এই রোগে অাক্রান্ত হতে দেখা যায়। মূলত এক থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে ডায়াবেটিসে অাক্রন্ত হলেই তাকে শৈশবকালীন ডায়াবেটিস বলে। শৈশবকালীন ডায়াবেটিস বলতে মূলত টাইপ-১ ডায়াবেটিসকেই বোঝান হয়। টাইপ-২ ডায়াবেটিসও হতে পারে। যদিও ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক গবষনা হয়েছে এবং হচ্ছে, তারপরও শৈশবকালীন শিশুর ডায়াবেটিকসের প্রকৃত কারন এখনে অজানা। মূলত জিনগত কারনে কিছু ভাইরাস যেমন :মামস, মিসেলস,বুবেলা এর কারনেও শিশুদের মধ্যে এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়।
দেখা গেছে, যে সব শিশুর জন্মের তিন মাসের ভিতর মায়ের বুকের দুধ ছাড়া বাইরের দুধ খাওয়ানো হয়, তাদের মাঝেও এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এই রোগের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে -হঠাৎ করে পানি বেশি খাওয়া বা পানির তৃষ্ণা বেশি লাগা। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। হঠাৎ করে ওজন কমে যাওয়া বা দুর্বল হয়ে যাওয়া। যেহেতু এই রোগের প্রকৃত কারন এখনো সঠিকভাবে জানা যায়নি,সেহেতু এটি প্রতিরোধ করাও কঠিন। তবে,টাইপ-১ ডায়াবেটিস, যেটিকে অামরা মূলত শৈশরকালীন ডায়াবেটিস বলে থাকি,এ ক্ষেত্রে ইনসুলিন দিয়ে শিশুকে সুস্থ রাখা যায়। টাইপ-১ ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে অামাদের শরীরের অগ্নাশয় নামক অঙ্গের বিটা-সেল গুল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ইনসুলিন নামক হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না বলে বাইরে থেকে ইনসুলিন দিয়ে সুস্থ রাখা যায়। অাবার টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার প্রধান কারন -জিনগত সমস্যা।
ডা.সামিয়া,শহীদ মনসুর অালী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, উত্তরা, ঢাকা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার