লবঙ্গ গাছের ফুলের কুড়িকে শুকিয়ে লবঙ্গ মসলাটি তৈরি করা হয়। খাদ্যদ্রব্যে মসলা হিসাবে এটি ব্যবহার করা হয়। লবঙ্গের আদি বাস ইন্দোনেশিয়ায়, তবে বর্তমানে এটি পৃথিবীর সর্বত্র ব্যবহৃত হয়। জাঞ্জিবার, ইন্দোনেশিয়া ও মাদাগাস্কারে লবঙ্গ চাষ করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাতেও লবঙ্গের চাষ হয়ে থাকে।
লবঙ্গের গুণাগুণ শুধু রান্নাতেই নয়, তার বাইরেও আছে। সুস্বাস্থ্যে লবঙ্গ নানা ভাবে আমাদের উপকারে আসে।
১) দাঁতে যন্ত্রণা- দাঁতের যন্ত্রণায় কষ্ট পেলে লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে যন্ত্রণা কমবে।
২) বমি বমি ভাব- লবঙ্গ মুখে রাখলে বা জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লবঙ্গ তেল মিশিয়ে খেলে আপনার বমি বমি ভাব দূর হবে।
৩) ফ্লু- হাল্কা গরম জলে ১০ ফোঁটা লবঙ্গ তেল ও মধু যোগ করে, সেটা খেয়ে নিন। ভাইরাল ফিভারে কাজে দেবে।
৪) মানসিক চাপ- মানসিক চাপ দূর করে লবঙ্গ। পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে শিথিল রাখতে সাহায্য করে। লবঙ্গের সঙ্গে তুলসি পাতা, পুদিনা পাতা ও দারচিনি মিশিয়ে আপনি ফ্লেভার্ড চা তৈরি করতে পারেন।
৫) সর্দি-কাশি- সর্দি, কাশিতে লবঙ্গ খেলে আরাম পাওয়া যায়। কফ দূর হয়। নিঃশ্বাসে বাজে দুর্গন্ধও দূর হয়।
'আয়ুর্বেদিক রিসার্চ সেন্টার অফ মিনেসোটা' দ্বারা প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে উল্লেখ আছে যে, খাওয়ার আগে বা পরে মাত্র দু'টি লবঙ্গের যথাযথ ব্যবহার বহু রকমের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে লবঙ্গ বা লং খেয়ে যেভাবে উপকৃত হয়েছি সেগুলোই তুলে ধরছি। যেমন : • যাদের বদ হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা খাওয়ার পরে দু'টি লবঙ্গ মুখে রাখুন, এতে হজমের উন্নতি হবে। • দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ পিষে সেই রস ব্যথা হওয়া দাঁতের গোড়ায় আঙুলের ডগা দিয়ে মালিশ করুন। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা কমে যাবে। • কোনো কারণে বমি বমি ভাব আসলে লবঙ্গ বেটে মধু দিয়ে মেখে মুখে রাখুন। বমিভাব চলে যাবে। • এসিডিটি বা বা বুক জ্বালার সমস্যা রয়েছে যাঁদের, তারা খাওয়ার পরে এক কাপ পানিতে দু'টি লবঙ্গ ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি পান করুন। বুক জ্বালার হাত থেকে নিস্তার পাবেন। • লবঙ্গ চুলের যত্নেও বেশ উপকারী। যেমন : তিন চারটি লবঙ্গ বেটে নিয়ে এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে কন্ডিশনার হিসেবে ভেজা চুলে লাগিয়ে নিন। দশ মিনিট পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন,চুল সফট এবং সিল্কি হয়ে গেছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন