ক্যান্সার নিরাময় কি সম্ভব..?


ক্যান্সারের নিরাময় সম্ভব....! ক্যান্সার মানে ‘নো অ্যানসার’ এই ধারণাটাই ভুল। কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার সেরে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে নিয়মিত ও সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীর বেঁচে থাকাকে অর্থপূর্ণ করেতোলা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান অার প্রযুক্তির উন্নতি ও অগ্রগতির ফলে এ ধারনাগুলো অার মোটেই অসম্ভব নয়। শুধু দরকার সময় মতো সঠিকভাবে রোগ নির্নয় এবং চিকিৎসা গ্রহন করা। ক্যান্সারের নিরাময় করতে হলে বা প্রতিরোধ করতে হলে অামাদের যা যা করতে হবে তা হলো জীবনযাপনে পরিবর্তন এনে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, ক্যান্সারের এক তৃতীয়াংশ কারন জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত যা অনেকাংশ ইচ্ছা করলেই নিয়ন্ত্রন করে ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে পারেন। নিন্মে কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিতঃ-- ১//ধূমপানসহ তামাকজাত পন্য পরিহার করা। ২// মাদপান পরিহার করা। ৩//শিরায় ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহনসহ অন্য যে কোন নেশা পরিহার করা। ৪//সঠিক খাদ্যাভ্যাস, সুষম খাবার গ্রহন,পর্যাপ্ত পরিমানে অাশঁ (ফাইবার) ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার খাওয়া,বিশেষ করে তাজা মৌসুমফী ফলমূল ও শাকসবজি খাওয়া, চর্বিজাতীয় ও তৈলক্ত খাবার কম খাওয়া, প্রিজারভেটিভ বা কেমিক্যালযুক্ত খাবার বর্জন, ফাস্ট ফুড ও কোমল পানীয় বর্জন ইত্যাদি। ৫//অার্সেনিকমুক্ত পানিপান। ৬//শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা, এজন্য নিয়মিত হাঁটা, ব্যায়াম এবং সঙ্গে খাদ্য নিয়ন্ত্রন করা। ৭//দীর্ঘসময় সরাসরি সূর্যের নিচে না থাকা, প্রায়োজনে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করা। ৮//যৌনাভ্যাসের ক্ষেত্রে সামাজিক নৈতিকতা মেনে চলা এবং অস্বাভাবিক যৌনাচার পরিহার করা। ৯//বেশ কিছু জীবানুর বিরুদ্ধে টিকা নিয়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব যেমন হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের টিকা, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের টিকা ইত্যাদি। ১০//যেসব জীবানু ক্যান্সার তৈরি করতে পারে তা শরীরে ধরা পড়া মাত্র চিকিৎসা করে ফেলা। ১১//কর্মক্ষেত্রে ক্যান্সার তৈরিকারী রেডিয়েশন বা কেমিক্যালের সংস্পর্শ পরিহার করা।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?