জাম এর স্বাস্থ্য উপকারিতা কি..?



জাম বাংলাদেশে অতি পরিচিত বর্ষাকালীন একটি ফলের নাম।গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় ফল হলেও পুষ্টিগুনে অতুলনিয় ফল জাম।



জাম ও বীজ সাম্প্রতিক সময়ে পরিচালিত বেশ কিছু গবেষণা থেকে জাম বীজের রক্তের গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণকারী গুণ সম্পর্কে জানা যায়। গবেষণা থেকে জানা যায়, প্রতিদিন ১০-১২ গ্রাম পরিমাণ জাম বীজ পাউডার খেলে রক্তের গ্লুকোজ লেভেল তথা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

জাম এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, চলুন জেনে নেই জামের স্বাস্থ উপকারিতা সমূহ।

মানসিকভাবে সতেজ রাখে:
জামে গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ ও ফ্রুকটোজ রয়েছে, যা মানুষকে জোগায় কাজ করার শক্তি। বয়স যত বাড়তে থাকে, মানুষ ততই হারাতে থাকে স্মৃতিশক্তি। জাম স্মৃতিশক্তি প্রখর রাখতে সাহায্য করে।

ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করে:
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য জাম ভীষণ উপকারী। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত জাম খাওয়ার ফলে ৬.৫ শতাংশ মানুষের ডায়াবেটিক কমে গেছে। এটি রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। জাম ডায়বেটিক রোগীদের রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে শরীর সুস্থ রাখে।

ভিটামিন সি জনিত রোগ দূর করে:
জামে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। যার জন্য এটা দেহে ভিটামিন সির ঘাটতি পূরণ করে এবং একই সঙ্গে ভিটামিন সির অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া মুখের দুর্গন্ধ রোধ, দাঁত মজবুত, মাড়ি শক্ত এবং মাড়ির ক্ষয়রোধেও জুড়ি নেই জামের। এতে বিদ্যমান পানি, লবণ ও পটাশিয়ামের মতো উপাদান গরমে শরীর ঠাণ্ডা এবং শারীরিক দুর্বলতাকে দূর করতে সক্ষম। যারা অতিরিক্ত ঘামেন, তাদের জন্য তো কথাই নেই। জামে দেখা মেলে বেশি পরিমাণের আয়রনেরও, যা রক্তস্বল্পতা দূর করে।

হার্ট ভালো রাখে:
জাম রক্তের কোলস্টোরেলের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিন্ড ভালো রাখে। এছাড়া শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।

ওজন নিয়ন্ত্রণ করে:
জামে কম পরিমাণের ক্যালোরি থাকে, যা ক্ষতিকর তো নয়ই বরং স্বাস্থ্যসম্মত। তাই যারা ওজন নিয়ে চিন্তায় আছেন এবং নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন, তাদের খাদ্য তালিকায় আসতে পারে জাম।

উচ্চ রক্তচাপ:
ক্লিনিকাল ভাবে উচ্চ রক্তচাপ এর জন্য জামকে প্রেসক্রিপশনে প্রদান করা হয়েছে। পুষ্টিবিদ এবং চিকিত্সকগণ তাজা ফল এবং সবজি খাওয়ার সুপারিশ করে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, জামে সেই সকল উপাদান আছে যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।

ক্যান্সার এর সঙ্গে যুদ্ধ করে:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব শরীরের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এই ইলাজিক এসিড ক্ষতিকর ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ক্যানসারের জীবাণু ধ্বংস করার জন্য এতে রয়েছে চমকপ্রদ শক্তি। জাম লড়াই করে হূৎপিণ্ডের অসুখ, জরায়ু, ডিম্বাশয়, মলদ্বার ও মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে।

মূত্রনালীর সংক্রমণ রোধ করে:
জামের বাইরের আবরণে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ। আঁশজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে মলদ্বারে টিউমার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। জাম মলদ্বার বা কোলনের ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

জামে ফাইটো কেমিক্যালস আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বিদ্যমান। যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, সঙ্গে মৌসুমি সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি দেয়। প্রতিরোধ করে ইনফেকশনের মতো সমস্যারও। ভিটামিন ‘সি’ ঠাণ্ডা, কাশি ও টনসিল প্রতিরোধ করে। জাম চুল পাকা বন্ধ করে এবং ত্বক ও দাঁত ভালো রাখে। ভিটামিন ‘এ’ চোখের দৃষ্টিশক্তি প্রখর করে তোলে।
জাম পুষ্টিকর ফল হিসেবে ছোট বড় সকলের খাওয়া উচিৎ কারন দিন দিন অামরা পুষ্টিকর চাহিদা পুরনের জন্য দেশি ফল খেলে এর ঘাটতি কমে অাসবে। জাম খেয়ে অনেক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করে সুন্দর সুস্থতা নিয়ে বেঁচে থাকুন ভাল থাকুন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার