তোকমার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....? দেখুন তোকমার তেলেসমাতি চমক...!









তোকমার আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার  অঞ্চল। এটি সাধারণতঃ ১–১.৫ মি (৩.৩–৪.৯ ফু) লম্বা হয়; কখনো কখনো এটি ৩ মি (৯.৮ ফু) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কান্ড রোমশ এবং প্রস্থচ্ছেদ বর্গাকার। এর পাতা দ্বি-পার্শ্বীয়, ২–১০ সেমি (০.৭৯–৩.৯৪ ইঞ্চি) লম্বা, কিনারা অগভীর খাঁজকাটা। পাতা থেঁতলানো হলে উগ্র গন্ধ বের হয়। এর ফুল বেগুনি বা গোলাপি, গুচ্ছফুল।




তোকমা বৈজ্ঞানিক নাম Hyptis suaveolens,   স্বাস্থ্যপদ হিসেবে তোকমার গুন অতুলনীয়। তোকমার স্বাস্থ্য  রক্ষায় মূলত ব্যবহার করা হয় তোকমা গাছের বীজ। এই বীজ দিয়ে শরবত তৈরি সহ নানান উপায়ে খাওয়া হয় ভেষজ গুণাবলি পেতে, গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যায় রূপচর্চাতেও। বিশেষ করে ওজন কমাতে দারুণ উপকারী তোকমার বীজ। এই বীজ দ্বারা তৈরি শরবত বিপাকক্রিয়ার হার কমায়, অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে ভালো কোলেস্টরল তৈরি করে। আর তাই বাড়তি ওজন হটিয়ে শরীরকে সুস্থ ও আকর্ষণীয় রাখতে তোকমা অন্যতম কার্যকরী ভেষজ উপাদান।




তোকমা বীজের তেল গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তোকমা খেলে ক্ষুধাভাব কমে আসে। পেট ভরা অনুভুত হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে। প্রোটিন, আঁশ, ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকে বলে শরীরে বল পাওয়া যায় তোকমা সেবনে। এছাড়াও সকালের নাস্তায় তোকমা খেলে সারাদিন শরীর থাকে ঝরঝরা।

তোকমা জ্বর কমাতে এবং শ্বাসকষ্ট দূর করতে সহায়তা করে, তাই হাঁপানি রোগীরা নিয়মিত তোকমা ওষুধ হিসেবে সেবন করত পারেন। আবার এতে লাইনলিক ও ফ্যাটি এসিড থাকায় টিউমারের বৃদ্ধি রোধ করে। তোকমা গ্রহণকারী ইঁদুরের গবেষণায় এটি প্রমাণিত।








যেভাবে পান করবেন তোকমার বীজ
🎁( ১)এক টেবিল চামচ পরিমাণ তোকমার বীজ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।


🎁(২)ছোট ছোট কালো দানার বীজগুলো সারারাত ভিজে ফুলে উঠবে।
🎁(৩)সকালে এই পানি ফুলে ওঠা তোকমা বীজ সহ পান করে নিন খালি পেটে। সাথে ১ চা চামচ খাঁটি মধু যোগ করতে পারেন।
তোকমার এই শরবত সারাদিন আপনার মেটাবোলিজম বা বিপাক ক্রিয়ার হার বেশি রাখবে, ফলে খাবার ভালোভাবে হজম হবে ও বাড়তি ক্যালোরি জমে থাকবে না। এছাড়াও অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করবে তোকমা। নিয়মিত তোকমার শরবত পান করার পাশাপাশি অতিরিক্ত মিষ্টি ও ভাজাভুজি খাবার অভ্যাস ত্যাগ করলে বিনা পরিশ্রমেই দেহ হবে ছিপছিপে। বিশেষ করে মেদ ভুঁড়ির সমস্যা একেবারেই চলে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যাও উপশম হবে।
ওজন কমানো ছাড়াও তোকমার শরবত হতে যে উপকারগুলো পাওয়া যাবে
🎁(৪) গরম কালে তোকমার শরবত ভেতর থেকে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে।
🎁(৫)তোকমা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
🎁(৬)নিয়মিত তোকমার শরবত সেবন করলে ঠাণ্ডা ও মৌসুমি জ্বরের সমস্যা হয় না।
🎁(৭)তোকমা লিভারকে ভালো রাখে।
সতর্কতা
🎁(৮)গর্ভবতী নারী ও শিশুরা চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত তোকমা সেবন করবেন না।
🎁(৯)তোকমা অবশ্যই ৭/৮ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখার পর ফুলে উঠলে তারপর সেবন করুন। ঠিক মত ফুলে না উঠলে পেটে ব্যথার কারণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র:










ঔষধি গাছে জীবন বাঁচে- ডাঃ শেখর রায় (বিভাস প্রকাশন, মে ২০১৪)
বিভাগ: লাইফ স্বাস্থ্য
অাপনার স্বাস্থ্য অাপনার অমূল্য সম্পদ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সিরকা বা ভিনেগার কি.. এর উপকারিতা কি...?

ওবায়দুল কাদেরএর জীবনী

কাশা, পিতল, তামা বাংলাদেশের ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে....!