গরুর মাংস খাবার অাগে দেখুন....







অামাদের দেশের গরুর মাংস অনেকেরই প্রিয় খাবার তবে অতিরিক্ত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।বেশি মাংস খেলে বেড়ে যায়  ক্যান্সারের ঝুঁকি। অস্ট্রেলিয়ার বাওয়েল ক্যান্সার সংগঠনের মতে, সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি মাংস না খেলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশ  কমান যায়।
মাংস খাওয়া যেতে পারে চর্বি বাদ দিয়ে। তবে তা অবশ্যই অতিরিক্ত নয়। কেননা অতিরিক্ত কিছুই শরীরের জন্য ভাল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ৫ দিনের বেশি মাংস খাওয়া উচিৎ নয়। অাপনি মাংস খাওয়ার সময় সংযমী হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খান কখন বেশী খাবেন না। এক্ষেত্রে দিনে ৬৫/৭০ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

সব সময় মাংস না খেয়ে মাংসের বদলে নজর দিন ফলমূল, মাছ, শাকসবজির দিকে। নতুন কোনো রেসিপিও ট্রাই করে দেখতে পারেন প্রতিদিন ।

প্রতি বছর কমপক্ষে এক সপ্তাহ মাংস ছাড়া থাকার চেষ্টা করুন।প্রতি সপ্তাহে দুদিন মাংসের বদলে খেয়ে নিন অন্য কিছু ডাল তরকারি । এই দুদিন নাহয় পছন্দের রেস্তোরাঁগুলো থেকে একটু দূরেই থাকুন!




রোগা পশু জবেহ থেকে বিরত থাকুনঃরোগাক্রান্ত গরু/ছাগল জবাই করে তার মাংস খেলে তার মাংসের জীবাণু দেহে বিষ উৎপন্ন করে যা রোগের সৃষ্টি করে।

মাংস সঠিক ভাবে সংরক্ষন করুনঃ  রান্না করা মাংস সংরক্ষণ করতে চাইলে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে ফ্রিজে রেখে দেয়া উচিত নাহলে মাংসের মধ্যে সহজেই ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করতে পারে।রেফ্রিজারেটর এর তাপ মাত্রা ঠিক রাখুন।

লাল মাংস কম খানঃ
লাল মাংসে টিনিয়া সেলিনাস নামক একধরনের প্যারাসাইট থাকে যা অন্ত্র, পাকস্থলী, যকৃত প্রভৃতি জায়গায় প্রবেশ করে আমাদের অসুস্থ করে দেয় ।তাই অাজ থেকে লাল মাংস কম খান  অসুস্থতা কম হবে। লাল মাংসে থাকে অধিক ট্রাইসেরাইড , কোলেস্টেরল ও পিউরিন তাই হৃদরোগ , বাত , উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের লাল মাংস কম খাওয়া উচিত।


রান্না করার সঠিক তাপ মাত্রা দেখেনিনঃ মাংস অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করা হলে মাংস থেকে ফিতা কৃমির সৃষ্টি হয় যা থেকে পেট ব্যথা , খিঁচুনী , মাথা ধরা , পেট খারাপ ও জ্বর হতে পারে । এছারা ঠিকমত রান্না করা না হলে রোগ এর জীবাণু সংক্রামিত হতে পারে।

অ্যান্টিবায়টিকঃগরু,ছাগল সহ সব ধরনের পশুকেই নিয়মিত ভাবে প্রায় প্রতিদিনই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ানো হয়। প্রতি বছর বিশ্বে এই উদ্দেশে প্রায় ৬৩ হাজার ১৫১ টন এরও বেশী অ্যান্টিবায়োটিক লাগে।



 অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ালে যে খাদ্য গ্রহণ করে পশুরা তা থেকে সহজেই তাদের দেহে মাংসপেশি উৎপাদিত হয়। আগেভাগে প্রয়োগ করা অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবে সহজে রোগবালাইয়ে আক্রান্ত না হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। কিন্তু এভাবে কৃত্রিম উপায়ে উৎপাদিত এই মাংসই বেশিরভাগ খাদ্যবাহিত রোগের সংক্রমণ এবং আমাদের দেহকে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তোলার প্রধান কারণ বলে পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা মনে করেন।



 এখন আর মানুষের দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করছে না এই কারণেই। অথচ বিশ্বের বেশিরভাগ পশু মাংসই উৎপাদিত হয় এখন এই উপায়ে। দেহে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কার্যকারিতার অভাবে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর অন্তত ৭/৮ লাখ মানুষ অকালে মারা যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে মারা যায় ২৩ হাজার, ইউরোপে মারা যায় ২৫ হাজার আর ভারতে শুধু ৬৩ হাজার শিশু মারা যায় এই কারণে। এ থেকেই ধারণা পাওয়া যেতে পারে বাংলাদেশের মতো স্বাস্থ্য অসচেতন দেশে কত মানুষ মারা যাচ্ছে এই কারণে...?


 ওই মৃত্যু ছাড়াও দেহে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার কারণে নানা ধরনের রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে ২০ লাখ মানুষ এই কারণে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। বিজ্ঞানিরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার কারণে বিশ্বের ক্ষতি হবে ১০০ ট্রিলিয়ন ডলালের ও বেশী। এবং অকাল মৃত্যু হবে ১ কোটি মানুষের। নানা রোগের জীবাণুরা অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তুলেছে। ১৯৪০ সালে আবিষ্কৃত হয় পেনিসিলিন। অথচ মাত্র ১০ বছরের মধ্যেই এর কার্যকারিতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধী ক্ষমতা গড়ে তোলে জীবাণুরা। এইসব জীবাণু আরো শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এখন বছরে ৭ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয় এই কারণে।




 টেট্রাসাইক্লিন এসেছিল ১৯৪৮ সালে কিন্তু ১৯৫০ সালের শেষদিকেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধী শক্তি গড়ে তোলে জীবাণুরা। ইরিথ্রোমাইসিন এসেছে ১৯৫২ সালে কিন্তু ১৯৫৫ সালের মধ্যেই এটির কার্যকারিতা নষ্ট হতে থাকে। পেনিসিলিনের কার্যকারিতা ফিরিয়ে আনতে মেথিসিলিন আসে ১৯৬০ সালে। কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই স্ট্যাফ ব্যাকটেরিয়া এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। শুধু পেনিসিলিন এবং এর সমগোত্রীয় অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধেই নয় বরং সেফালোসপোরিন নামের অ্যান্টিবায়োটিক এবং তার সমগোত্রীয়দের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলেছে জীবাণুরা। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার