অামাশায় কি করি....?
অামাশয় একটি জটিল পানি-বাহিত রোগ।এর কষ্ট যার হয় সেই বুঝে থাকে।
অামি এর সহজ সমাধানে বলবো গ্লুকোজ খেতে বাজারে নামি কোম্পানির মাত্র ১০/-একটি গ্লুকোজ এক গ্লাস পানি বেস ১ঘন্টায় কেল্লাফতে...!
তবে জটিল অামাশয় হলে হয়তো সমাধান একটু কঠিন।
আমাশয়র চিকিৎসা ভেষজ ঘরোয়া উপায় চিকিৎসাঃ
>>বট বৃক্ষের এক রকম ঝুলন্ড সিকর দেখাযায় এগুলো হাতের অাঙ্গুল সাইজের মোটা এবং ২ হাত পরিমাণ লম্বা কেটে নিন,কাঁচা অবস্তায় এগুল পয়সা অাকৃতি করে কেটে একটি ঢাকনা যুক্ত পাত্রে বা বৈয়ামে সংরক্ষন করুন।রাতে এক গ্লাস পানিতে ৩/৪ পিচ সিকর ভিজিয়ে রাখুন প্রতাহ সকালে ঘুমথেকে উঠে খালি পেটে খেয়েনিন উপকৃত হবেন।
>> ইসবগুল দানা- ৬ গ্রাম, দধি ১ কাপ একত্রে মিশ্রিত করে সকাল-সন্ধ্যায় ১০ দিন সেবন করলে উপকার পাবেন।
>> ডালিম পাতা ১০টি একত্রে পাটায় পিসে পানিটুকু সকালে ও সন্ধ্যায় ৭-১০দিন সেবন করুন উপকার পাবেন।
>> ডালিম একটি কাঁচা সুপারি সাইজের সিদ্ধ করে খেয়ে নিন, আমাশয় সেরে যায়।
>> লাল চন্দন ৫ গ্রাম পরিমান আধা গ্লাস পানিতে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে সকালে জ্বাল দিয়ে তাতে সামান্য মিছরি মিশিয়ে দিনে ২/৩ বার খালিপেটে ৩-৫ দিন সেবন করলে উপকার হয়।
>> তজ চূর্ণ ৩ থেকে ৫ গ্রাম পরিমান ঢেকি ছাটা চালে মিশিয়ে ভাত রান্না করে ঐ ভাত দিনে ২বার খেতে হবে। এভাবে ৫-৭ দিন সেবন করলে পুরাতন আমাশয় রোগে উপকার পাওয়া যায়।
>> বহেড়া চূর্ণ ৩ গ্রাম পরিমান সকালে ও সন্ধ্যায় ৭-১০ দিন খালিপেটে সেবন করলে উপকার হয়।
>>কালকেশী/ভৃঙ্গরাজ পাতার রস ১ চা-চামচ সকালে ও সন্ধ্যায় আধা কাপ ছাগলের দুধে মিশিয়ে ৭-১০ দিন সেবন করলে পুরাতন আমাশয় রোগের চিকিৎসা হিসাবে দারুন কাজে দেয়।
>>আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে শতশত বছর থেকে থানকুনি পাতার ব্যবহার হয়ে আসছে। থানকুনি পাতার রস ২চা-চামচ সকাল-সন্ধ্যায় খালিপেটে সেবন করলে উপকার পাবেন।
>> মোটা বিচিকলা ২টি পাকা অবস্থায় বিচিসহ দিনে দুইবার চিবিয়ে খেতে হবে ৩-৫ দিন। এতে নতুন আমাশয়ের উপকার হয়।
>> জামগাছের কচিপাতার রস ২/৩ চামচ একটু গরম করে খেলে ২/১ দিনেই আমাশয় উপশম হয়। এর সাথে ছাগলের দুধ মেশালে ভালো হয়।
>> ডালিম গাছের ছাল সিদ্ধ করে খেতে হবে সকাল-বিকাল। রক্ত আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে এটি একটি কার্যকারী উপায়।
>> কলা : কাঁচা কলা হোক বা পাকা কলা লুজ মোশন ঠিক করার জন্য দুটোই উপকারী। এছাড়াও এতে উপস্থিত পটাশিয়াম শরীর থেকে হারিয়ে যাওয়া ইলেক্ট্রোলাইট ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করে। কাঁচা কলা সেদ্ধ খেতে পারেন বা দুই তিন ঘন্টা অন্তর পাকা কলা খেতে পারেন।
>>আদা : আমাশয় রোগের চিকিৎসা করতে আয়ুর্বেদ অনুযায়ী আদা অনেক উপকারি। আদা পেট খারাপ খুব সহজেই ঠিক করতে পারে। খানিকটা আদা ছেঁচে নিয়ে এক কাপ জলে ফুটিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ঠান্ডা করে সারাদিনে অল্প পরিমাণে পান করুন।
>> হলুদ : আমাশয় রোগের চিকিৎসা করার জন্য হলুদ খুবই কার্যকরী। এতে অ্যান্টি ব্যায়োটিক প্রপার্টি আছে যা অন্য খারাপ ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে। পেট খারাপ না থাকলেও রোজ খালি পেটে অল্প কাঁচা হলুদ শরীরের জন্য ভালো।
অামাশায় এর জন্য উপরের কবিরাজি ঔষধ অাদি ও পুরাতন নিয়মে যুগযুগ ধরে প্রাচিন নিয়মে ব্যবহৃত হয়ে অাসছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন