কাশি দীর্ঘমেয়াদী থেকে হতেপারে হৃদরোগ...!



Cough and heart disease
Heart Disease is one of the reasons for long-term dry cough.



কাশি ও হৃদরোগঃ
দীর্ঘমেয়াদি শুকনো কাশির অন্যতম কারন হৃদরোগ। যাদের দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদপিন্ডে ভাল্বের সমস্যা অাছে এবং বাতজ্বরজনিত হৃদরোগে অাক্রন্ত,তাদের মধ্যে এ ধরনের কাশির প্রননতা অধিক হারে লক্ষ্য করা যায়। কার্ডিওমাইওপ্যাথি হৃৎপিন্ডের মাংসপেশির এক ধরনের অসুস্থতা, যার ফলে দীর্ঘমেয়াদি কাশি ও শ্বাসকষ্ট, বুক ধড়ফড়,বুকে ব্যাথা হয়।







এ ধরনের লক্ষন দেখা দিলে মনে করতে হবে,রোগীর হার্ট বেশ দুর্বল হয়ে গেছে  এবং জরুরী ভিত্তিতে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শক্রমে চিকিৎসা গ্রহন করতে হবে, না হলে রোগীর জীবন বিপন্ন হয়ে যেতে পারে।







 কার্ডিওমাইওপ্যাথি অনেক কারনে হতে পারে যেমন হৃৎপিন্ডের রক্তপ্রবাহের স্বল্পতা  বা করোনারি অারটারি ডিজিজ (ব্লক),দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপজনিত অসুস্থতা অথবা হৃৎপিন্ডের ভাল্বের সমস্যা কিংবা জন্মগত হৃদরোগের কারনে। এ ছাড়া বার্ধক্য,বংশগত ও প্রসবকালীন অসুস্থতার ফলে কার্ডিওমাইওপ্যাথি হতে পারে।






সাধারনত হৃদরোগজনিত কাশি দীর্ঘমেয়াদি হয়। সিরাপ বা এন্টিবায়োটিক -জাতীয় ওষুধ এতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না। কাশি শুকন হয় কাশির সঙ্গে কফ খুব একটা বের হয় না,
কখনো কখনো ফেনা ফেনা -জাতীয় কফ বের হয়।এ ধরনের কাশি বিশ্রমের চেয়ে পরিশ্রমের সময় বেশি পরিলক্ষিত হয়।





কারও কারও রাতের বেলায় কাশির উদ্বেগ বেশি বেড়ে যায়,ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং প্রায় সময়ই শ্বাসকষ্ট পরিলক্ষিত হয়।অনেক রাতে বিছানায় শুতে গেলে কাশি শুরু হয় এবং উঠে বসলে তা প্রশমন হয়। এ ধরনের কাশি বেশিদিন বিদ্যমান থাকলে রোগীর বুক,পেট ও পিঠ  প্রচন্ড ব্যাথা অনুভূত হয়। অনেক সময় পেট, পিঠে খিল দিয়ে ধরার মতো অবস্থা হয়, যা অত্যাধিক কষ্টকর, অনেকের কাশির সময় কাপর নষ্ট হওয়ার মতো প্রবনতা পরিলক্ষিত হয়।



এমন কি ক্ষেত্রবিশেষ কাশির সঙ্গে রক্ত দেখা দিতে পারে।এমন লক্ষন দেখাদিলে  রোগনির্ণয় হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ইসিজি,চেস্ট এক্স-রে ও ইকোকার্ডিওগ্রাম করে নিশ্চিত হওয়া যায়।







ডা.এম শমসের অালী
সিনিয়র কনসালট্যান্ট (প্রা.)
ঢাকা মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল।






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?