তেলাপিয়া মাছ ক্ষতিকারক হতেপারে ক্যান্সার.....!




তেলাপিয়া মাছ অামাদের অতি পরিচিত মাছ (বৈজ্ঞানিক নাম: Oreochromis mossambicus) একটি মাঝারি আকারের মাছ। মাছটিকে ইংরেজিতে Mozambique tilapia বলে।মাছটি ডিম পাড়ার পর নিজের মুখে রেখে দেয় বাচ্চা ফোটাবার জন্য। গ্রাম-গঞ্জে,শহরে সকল জায়গায় এটি পাওয়া যায়।

তেলাপিয়া মাছ স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর  ব্যাপক স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে কিছু পুষ্টিবিদ গবেষণার পর অভিযোগ করেছেন, তেলাপিয়া মাছ স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকর ঝুুুুকিপূর্ন । ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে। ওই গবেষণা পত্রে জনপ্রিয় মাছ সমুহের দেহে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা হয়।এতে দেখা যায় তেলাপিয়া মাছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য জনপ্রিয় সামুদ্রিক মাছের তুলনায় তেলাপিয়া মাছে অনেক কম পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। এতে বরং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা একটি ক্ষতিকর অ্যাসিড (arachidonic acid)। এই অ্যাসিড দেহের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলোকে মেরামতে সহায়ক। কিন্তু এটি আবার অ্যালঝেইমার এবং মস্তিষ্কে প্রদাহ সৃষ্টির মতো রোগেরও কারণ।প্রতিবেদনে জানিয়েছে খাদ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ইটলোকালগ্রোন’। প্রতিবেদনটিতে তেলাপিয়া খাওয়ার সম্ভাব্য ভয়াবহ কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে।











ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থ: প্রাকৃতিক জলাশয়ের মাছের চেয়ে চাষ করা মাছে ১০ গুণ বেশি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী দূষিত পদার্থ থাকে। মূলত চাষ করা মাছের খাবারে এসব পদার্থ থাকে। চাষ করা তেলাপিয়ায় এসব উপাদান থাকতে পারে। তাই এগুলো খাওয়া ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
শরীরে প্রদাহ তৈরি: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় পাওয়া যায়, চাষ করা তেলাপিয়ায় শরীরে প্রদাহ তৈরি হতে পারে। এসব প্রদাহের ফলে হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগ, আর্থাইটিস, অ্যাজমা হতে পারে। গবেষণায় এ-ও দেখা গেছে, হ্যামবার্গার খেয়ে শরীরে যে প্রদাহ তৈরি হয়, তার চেয়ে বেশি হতে পারে তেলাপিয়া খেলে। কীটনাশক ও অ্যান্টিবায়োটিকঃএকটি জলাশয়ে তেলাপিয়ার মতো মাছগুলো বিপুল পরিমাণে মাছ চাষ করা হয়। এসব মাছ রোগপ্রবণ। তাই এগুলোকে জিইয়ে রাখতে অ্যান্টিবায়োটিক ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। এ জাতীয় মাছ খেলে এ ক্ষতিকর উপাদানগুলো মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। এ থেকে হতে পারে প্রাণঘাতী রোগ।
ডায়োক্সিনের ক্ষতিকর উপস্থিতি: চাষ করা তেলাপিয়ায় বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ডায়োক্সিন থাকতে পারে। এ ডায়োক্সিন মানবশরীরে দীর্ঘদিন পর্যন্ত চক্রাকারে ক্রিয়া করতে পারে। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬-এর উপস্থিতি: তেলাপিয়ার মতো চাষের মাছগুলোতে ফ্যাটি এসিড ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬-এর ক্ষতিকর উপস্থিতি থাকে। এ থেকে মানবশরীরে প্রদাহ তৈরি হতে পারে।






এক কথায় তেলাপিয়া মাছ স্বাস্থ্যকর ঝুকি থাকায় অামাদের এখন তেলাপিয়া মাছ খওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ মেনে চলাই
উত্তম বলে মনেকরা উচিৎ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

সিরকা বা ভিনেগার কি.. এর উপকারিতা কি...?

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!