টেস্টিংসল্ট ক্ষতিকর এক বিষ....!
বিষ এর নাম টেস্টিংসল্টঃ মজাদার খাবারে মুখরোচক স্বাদের জন্য ব্যবহৃত হয় টেস্টিংসল্ট। অাজ রান্নার প্রধান উপকরণ যেন এটি।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা টেস্টিং সল্টকে স্নায়ুবিষ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এই রাসায়নিক উপাদানটির নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা সংক্ষেপে এমএসজি। শুধু সোডিয়াম গ্লুটামেট নামেও এটি পরিচিত। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এর ক্ষতির কথা বিবেচনা করে একে ‘এক্সাইটোটক্সিন’ গ্রুপের মধ্যে ফেলেছেন। এটি সড়বায়ুকে উত্তেজিত করে স্বাদের অনুভূতি বাড়ায়, কিন্তু এটি এখন বিষাক্ত বলে পরিগণিত হওয়াতেই এর এমন পরিচিতি বিশেষজ্ঞরা জানান, টেস্টিং সল্ট মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে মনে হয়, খাবারটি খুবই সুস্বাদু। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টেস্টিং সল্ট মিশ্রিত খাবার সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্টিং সল্ট মানবদেহে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিষিয়ে তোলে থাকে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। টেস্টিংসল্ট খেলে ঘুম কম হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে স্বাভাবিক খাবার অরুচিকর লাগে যা রুচি নষ্টকরে থাকে। টেস্টিংসল্ট খাবার খালে কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়।
নিয়মিত টেস্টিং সল্ট ব্যবহারকারীদের মধ্যে মাথাব্যথা, খিঁচুনি, হরমোন নিঃসরণে গোলযোগ, শিশুদের ক্ষেত্রে লেখাপড়ায় কম মনোযোগ, মনোবৈকল্য, অতিরিক্ত ছটফটানি ভাব, মুটিয়ে যাওয়া, হাঠৎ ক্ষেপে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অ্যাজমায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা টেস্টিং সল্ট খেলে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এছাড়া মস্তিস্কে ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয় টেস্টিংসল্ট।
১৯০৮ সালে জাপানি রসায়নবিদ ও টোকিও ইমপেরিয়াল ইউনিভার্সিটির গবেষক কিকুনেই ইকেতা টেস্টিংসল্ট উদ্ভাবন করেন। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ও পরে চীনে খাবারে সু-রুচিকারক হিসেবে এটি জনপ্রিয়তা পায়। তবে বর্তমানে চীনে টেস্টিং সল্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সম্প্রতি ভারতের উত্তর প্রদেশে বারবানকি এলাকায় এক খাদ্য নিরাপত্তা কর্মকর্তা একটি বহুজাতিক কোম্পানির খাদ্যে টেস্টিং সল্ট পাওয়ার প্রমাণ দেয়ার পর দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর সরকার ওই বহুজাতিক কোম্পানি পণ্যটি নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয়।তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে টেস্টিংসল্ট ব্যবহার না করে পরিহার করে চলাই উত্তম।অামাদের বাংলাদেশে খাদ্য সচেতনতা এবং বিষাক্ত খাদ্য চিন্হিত করার মধ্যে টেস্টিংসল্ট কে এখনি
নিষিদ্ধ করার জন্য সচেতন মহলের সু-নজর জরুরী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন