চুইঝাল কি..?
চুইঝালঃ বাংলাদেশে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে চুইঝাল। প্রাচিন বাংলার অায়ুবেদ শাস্ত্রে চুইঝাল লতা, মূল, ছাল-বাকল,ফুল ইত্যাদি রোগের চিকিৎসার ঔষধ হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যাবহার হয়ে অাসছে।চুইঝল একটি ঝাল স্বাদ যুক্ত লতা গুল্মজাতিয় উদ্ভিদ। এটি অাদ্র সমতল ভূমিতে বেশী জন্মে থাকে।
প্রাচিন কাল থেকে চুইঝাল হারবাল ঔষধের কাচামাল এবং রন্দন মশলা হিসেবে পরিচিত। চুইঝাল বাংলাদেশের একটি অাঞ্চলিক মশলা জাতীয় ফসল। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল এসব জেলার চাষিদের কাছে এটি একটি অর্থকরী সমাদৃত মশলা।
মাংস ও মাছ রান্নায় মশলা হিসেবে এর জুড়ি নেই। এটি মুখরোচক মশলা, গায়ে ব্যথা উপশমে অব্যর্থ এবং হজমীকারক হিসেবে বেশ সহায়ক।
<<>পরিচিতিঃ
চুই লতা জাতীয় গাছ। এর কাণ্ড ধূসর লতানো এবং পাতা পান পাতার মত সবুজ রঙয়ের। এর লতা বা কাণ্ডটিই মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। চুইঝাল সাধারণত দুই প্রকার। একটির কাণ্ড আকারে বেশ মোটা (২০ থেকে ২৫ সেঃ মিঃ), অন্যটির কাণ্ড চিকন, (আকারে ২.৫ থেকে ৫.০ সেঃ মিঃ)। চুই গাছ ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত- লম্বা হয়ে থাকে।
<<>উৎপাদন পদ্ধতিঃ
জমি ও মাটির প্রকৃতি : বেলে দো-আঁশ মাটি এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত ও ছায়াময় উঁচু জমিতে সাধারণত চুইঝাল চাষ করা হয়।
<<>রোপণের সময় : বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-মে) এবং আশ্বিন-কার্তিক (অক্টোবর-নভেম্বর) মাস। বীজ: কাটিং পদ্ধতিতে এর কাণ্ড বা শাখা ৫০ থেকে ৭৫ সেঃ মিঃ লম্বা করে কেটে সরাসরি মাটিতে রোপণ করা হয়। স্থানীয়ভাবে কাটিং বা শাখাকে পোড় বলা হয় থাকে। বর্তমানে বিভিন্ন মাংস রেসিপি এবং পুষ্টিকর মসলা হিসেবে চুইঝালের কদর ও চাহিদা দিন দিন বারছে। এটি ঝাল শ্বাদের মানুষের কাছে অতি জনপ্রিয় মসলা।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন