হাই প্রেশার কি....?
উচ্চরক্তচাপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে তার জন্য কয়েক বছর থেকে যুগ যুগ সময় লেগে যেতে পারে এবং এই বৃদ্ধিকালীন সময়ে রোগী আপাতত স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারেন। অনেকের শরীরে উচ্চরক্তচাপ জনিত কোনো ধরনের লক্ষণই দেখা দেয় না, তখন ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারে না যে তিনি উচ্চরক্তচাপ জাতীয় রোগে ভুগছেন। দীর্ঘ সময় ধরে কারও রক্তচাপ বেশি থাকলে, রক্তনালীর নমনীয়তা কমতে থাকে, রক্তনালী আস্তে আস্তে শক্ত আকার ধারণ করে ফলে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহের পরিমাণ কমতে থাকে, ব্যক্তির জৈবিক বয়স দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে, মানে বয়সের তুলনায় ব্যক্তি বেশি বৃদ্ধ হয়ে যেতে থাকেন। উচ্চরক্তচাপের প্রভাবে হার্টকে সমান কাজ করার জন্য আরও বেশি শক্তি প্রয়োগ করে কাজ করতে হয় ফলে, হার্টের দৈহিক গঠন বৃদ্ধি পেতে থাকে, মাংসপেশির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে হার্টের খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজন বেড়ে যায়, যার জন্য হার্টে রক্ত সরবরাহের আনুপাতিক ঘাটতি দেখা দেয় এবং ব্যক্তি দিনে দিনে হার্টের অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করে, এক পর্যায়ে পরিশ্রমে অতি সহজেই ক্লান্তিবোধ করে, অলসতা বৃদ্ধি পায়, কর্মস্পৃহা কমে যায়, কেউ কেউ হাঁটতে চলতে গেলে অথবা সিঁড়িতে উপরে উঠতে গেলে বুক ব্যথা বা বুকে চাপ অনুভব করেন। উচ্চরক্তচাপের আরও একটি মারাত্মক জটিলতা হলো হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হওয়া, মানে কোনো ধরনের পূর্ব সংকেত ছাড়াই রোগীর বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও অস্থিরতা মারাত্মক পর্যায়ে শুরু হয়ে যায়। গড়ে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন তাত্ক্ষণিক মৃত্যুবরণ করেন, আরও একজন হার্ট অ্যাটাকের ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন এবং বাকি দুজন হার্ট ফেইলুর নিয়ে জীবনযাপন করেন। উচ্চরক্তচাপ দেখা দিলে প্রাথমিক অবস্থায় অল্প মেডিসিন গ্রহণ করে তা নিয়ন্ত্রণ সহজ।
ডা. এম শমশের আলী, সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শমশের হার্ট
কেয়ার এবং মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টার,শ্যামলী।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন