অাবেগ....
"বকুলির"
বাবা মতিমিয়া উঠনে
বসা পাশে বছর অাড়াই বয়সের
একটি শিশু ফুটফুটে।
মতি মিয়া অামাকে দেখে জড়িয়ে
ধরে কাঁদলো।
বল্লেন সব শেষ এখন অাশার
সময় হলো তোমার...!
অামি কিছুই বলতে
পারলাম না.....!
মতি মিয়া বলে চল্লেন
এই "অনন্ত"
অামি বলাম
কে....এ...?
মতিমিয়ঃ "বকুলির "
সন্তান তোমার
ছেলে....!
মতিমিয়া :অামার --মেয়ে -টা
পথের দিক
তাকিয়ে থাকতো...!
সন্তান হবার পর
পুষ্টি হিনতায়
-ভুগছে
"বকুলি" তারপর অামি
গরিব ঠিকমতো
ভাল খাবারদাবার
দিতে পারতামনা।
রক্ত সল্পতার জন্য দিন
দিন অার
দূর্বল হয়ে পরে
"বকুলি " স্বামির
পথের দিকে চেয়ে
চেয়ে "বকুলি "
-অার অসুস্থ হয়েপরে এক
সময় খাওয়া দাওয়া
ছেরে দেয় শুধুইপথের
ধারে দারিয়ে-থাকতো
স্বামির অাশায়।
এক দিন শহরে
খোঁজ নিতেপাঠান
হলো কিন্তু
অাগের ঠিকানায়
খুজে মিল্লোনা
স্বামিকে।বাড়ীর
মালিক তার
কোর খোঁজ দিতে
পারলেন না।
"বকুলি"ভেঙ্গ
পরলেন খাওয়া
দাওয় ছেরে দিলেন
এমন কি নিজের
সন্তনকে পর্যন্ত -দেখা
সম্ভব হলোনা।
এর পর ঘুম হতোনা
তার অাস্তে অাস্তে
"বকু্লি" এতটা অসুস্থ
বোদ করতো যে
বলে বুঝান
অসম্ভব।গ্রামের
লোক জন সকলে
ভাল চিকিৎসার
জন্য "বকুলিকে" শহরে
নিতে বলো।
ঠিক হলো "বকুলি "
শহরে যাবে "বকুলি "
কিন্তু তা অার
হোল না.....! হারিয়ে
গেল " বকুলি"
অামার বকুল ফুল....!
চোখের পানি
মুছতে... মুছতে অামাকে
নিয়ে গেল "বকুলির"
কবর এর ধারে।
ঐ যে.... ঐ কদম
গাছের নিচে কবর....!
ছিটা--ছিটা
বৃষ্টি পরছে....
-কদম
-ফুলের
-পাপড়ি ঝরছে
স্বাথে অামার দুই
এক ফোটা
অশ্রু বৃষ্টির থেকে
অালাদা করা গেলনা।
অামার বুকটা ফেটে
কান্না বেরিয়ে অাশলো
পারলাম না।অামার
"বকুলি" অামাকে
ছেরে চলে গেছে
অামি হেরে গেলাম "
বকুলি" অামি
ভালাসি তোমাকে।
ছোট্ট শিশু নাম
"অনন্ত " তাকিয়ে
রইলো অামার দিকে
অামি "অনন্তর"চোখের
ভিতরে অামার
"বকুলির " চেহার
দেখতে পেলাম।ফিরে
অাশার সময়
"অনন্ত"
খুব শক্ত করে
হাতটা
ধরলো ঠিক ওর মা
"বকুলির " মত করে
অামি অনেক কষ্টে
হাতটা ছাড়িয়ে এলাম।
অামার হাতে
একটি চিঠি তুলে
দিলেন "বকুলির"
বাবা যেটা বকুলি
লিখে
রেখে গেছেন----
অামি হাত বাড়িয়ে
চিঠি টি নিলাম এর
পরে চলে এলাম।
ইছা মতির নদীর
তিরে হাটছি ঐ......
বটগাছ যেটার নিচে
বসে ছিলা অামি
অার "বকুলি"
অামার বুক
ভেঙ্গে হু হু করে
কান্না অাসলো ও
"বকুলি " তুমি
এটা কি করলে।
"বকুলির "চিঠি--
টা খুল্লাম
......................
#bloggermonju
(লেখক/ব্লগার:)
চিঠি ---
"প্রিয় স্বামি"
অামি প্রতিটা
ক্ষন তোমার
জন্য অপেক্ষা
করে অাজ মৃত্যুর
পথে, অামি প্রতিটা
রাত্রে ঘুমাতে
পারিনা
মনে হয় তুমি অাসলে
এই বুঝি। পথের
পানে তাকাতে
তাকাতে
অামি
অার পারলাম না
তুমি ভূল বুঝনা
অামায় তোমার
সন্তান "অনন্ত"ও
তোমার
অামার স্মৃতী
ওকে তুমি দেখো।
ইতি
তোমার
"বকুলি "
অামি কাঁদলাম
বুকটা ফেটেগেল
অামি অার পারছি না
এত কষ্ট চোখ
মুছে নিলাম।
ইছা মতির
পানির
মত বয়ে চলবে
জীবন।
"অনন্ত"চির কাল
থাকবে হাজার
বেদনা তাদের
কে কাবু করবেনা।
<><><>উৎসর্গ®অমন হাজার" অনন্ত"
যারা পরাজয় মানেনা।
লেখক :Fzmonju)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন