অাসছে সু -সংবাদ সরকারি চাকরিতে...
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার সুপারিশ করা হয়েছে এবং সেই সাথে অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আলোচনা হচ্ছে, প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি, খুব তাড়াতাড়ি হবে। খুব তাড়াতাড়িই জানতে পারবেন।”
বর্তমান সরকার এমন সময় চাকরি বয়স বাড়ানো উদ্যোগ গ্রহন করেছেন যখন তাদের মেয়াদ শেষ সময়ে এসে পৌছেছে।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। এ বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হলেও অবসরের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নাও আসতে পারে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “এন্ট্রিটা বাড়তে পারে আশা করছি।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর এবং অবসরের বয়সসীমা ৫৯ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করার সুপারিশ করে।
শফিউল বলেন, “স্থায়ী কমিটি সুপারিশের ভিত্তিতেই প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে।”
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, “চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনা শেষ করেছেন, এখন আমরা প্রস্তাব তৈরির কাজে হাত দেব।” বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২ বছর বাড়তে পারে বলেও আভাস দেন ওই কর্মকর্তা।
২০১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়। তবে অধ্যাদেশ জারির কারণে তা ২০১১ সালের ২৬ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।
এছাড়া গত বছরের ২১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৬০ বছর করার ঘোষণা দেন। অবসরের বয়সসীমা দুই বছর বাড়ানোর পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সও বাড়ানোর দাবি ওঠে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। এ নিয়ে আন্দোলনের পাশাপাশি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
চাকরিপ্রার্থীরা যুক্তি দেখান, সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে বেসরকারি ব্যাংকসহ বহুজাতিক কোম্পানিগুলোও ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের নিয়োগ দেয় না। ফল বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরির সুযোগ সঙ্কুচিত হয়ে যায়।
সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত নেই।
২০১৬ সালের মে মাসে জাতীয় সংসদে এ বিষয়ে এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “আমরা যুব বয়সের মেধাশক্তিকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য আমরা চাই সকলে সময়মত পড়াশুনা করে চাকরিতে প্রবেশ করুক। এজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ থেকে বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।”
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন