ট্যাটু দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে বাংলাদেশে ...!



ট্যাটু বৈদ্যুতিক যন্ত্রের মাথায় তীক্ষ্ণ একটি সূচ লাগানো, যেটির মাথা বারংবার কালির একটি ছোট কৌটায় ডুবিয়ে একজনের হাতে একটি উল্কি আঁকা হচ্ছে।

যিনি উল্কিটি আঁকছেন, তিনি জানালেন মানুষের চামড়ার সাতটি স্তর থাকে, এর মধ্যে দ্বিতীয় স্তরে কালিটি বসিয়ে দিয়ে ট্যাটু। এসব  ব্যবহার করে ট্যাটু আঁকা হয়।



যার হাতে আঁকা হচ্ছে তার নাম আবিদ আমিন। এবারই প্রথম উল্কি আঁকছেন, তা নয়। এর আগেও একটি উল্কি করিয়েছিলেন।

জানতে চেয়েছিলাম, উল্কি আঁকতে কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। তিনি বললেন, প্রথমে একটু ব্যথা লাগে, যেহেতু এটা চামড়া কিছুটা কাটার মত ব্যাপার ঘটে। কিন্তু একটু পরে সহ্য হয়ে যায়।

বাংলাদেশে শরীরে উল্কি আঁকা বা ট্যাটু করানোর ব্যাপারটি আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এই জনপ্রিয়তার কারণে এখন বিশেষ করে ঢাকায় গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি ট্যাটু স্টুডিও।

ঢাকার প্রথম ট্যাটু স্টুডিওর মূল অঙ্কন শিল্পী জয় হায়দার
গুলশান, বনানী, বেইলী রোড, ধানমন্ডি এবং এলিফ্যান্ট রোডসহ বিভিন্ন জায়গায় ট্যাটু করানো যায়। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়েই কাজ করেন বেশিরভাগ।

ঢাকার প্রথম উল্কি আঁকার স্টুডিও ঢাকা ট্যাটু স্টুডিও। গত প্রায় ১১ বছর ধরে এর মূল অঙ্কন শিল্পী জয় হায়দার। বলছেন, শুরুতে ক্লায়েন্ট পাবার কাজটি সহজ ছিল না।

কারা ট্যাটু করাতে যান? জানতে চেয়েছিলাম ইঙ্ক মি স্টুডিওর উদ্যোক্তা নাইম নীরবের কাছে। তিনি বলছিলেন, সব বয়সের মানুষই আসে তাদের কাছে, তবে তার মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যাই বেশি।

নীরব বলছিলেন, কম পয়সায় উল্কি আঁকা যায় বলে বাংলাদেশে কাজ করতে আসা বিদেশীদের একটি বড় অংশ তাদের কাছে আসেন।

তবে উল্কি আঁকতে মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। মেয়েরা অনেক সময় ট্যাটু আঁকার বিষয়টি গোপন রাখে
যদিও ধর্মীয় এবং সামাজিক বাধার কারণে অনেকেই নিজের পরিবারে বিষয়টি প্রকাশ করেন না।

কাজটি করেন গোপনে। বলছিলেন ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, যিনি নিজের হাতে এবং পায়ে দুটি ভিন্ন ট্যাটু করিয়েছেন।

তবে উল্কি আকার ফলে শরীরের ক্ষতি কতটা হয়, কিংবা ইসলাম ধর্মে এ সংক্রান্ত বিধান কি আছে, তা নিয়েও চিন্তা করেন এই তরুণদের অনেকে।

সেক্ষেত্রে মি. হায়দার বলছিলেন, ঢাকায় ট্যাটু স্টুডিও খুলতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে করতে হয়।

 ট্যাটুর কাজে ব্যবহার করা সরঞ্জামাদি আর যেসব কালি তারা আমদানি করেন, সেসবও পরিবেশ ছাড়পত্র নিয়ে আনতে হয়।

তবে, বিতর্ক আর ভীতি যতই থাকুক ট্যাটু যে দিনে দিনে আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

Mia Khalifa adult film star.....

Jarda Recipe