Oatomo ওয়েটোমো কি...?



ওয়েটোমো শব্দটি এসেছে মাওরি ভাষার থেকে “ওয়ে” অর্থাৎ জল,”টোমো” অর্থাৎ গর্ত।১৮৮৮ সালে ফ্রেড মেস এবং লোকাল মাওরি চিফ টেন টিনোরাওয়ের এক খোঁজের ফলে এই গুহাগুলির আবিষ্কার হয়। মোমের আলোয় একটি ভেলার ওপরে একটি ছোট্ট নদীর মধ্যে দিয়ে যাওয়া হয় যা ক্রমশঃ মাটির নিচে চলে গেছিল।তাদের যাত্রাপথে ছোট্ট ছোট্ট তারার মত ঝিলমিলানো আলোর দেখা পান তারা গুহার ওপরে সিলিঙে যা তাঁদের মুগ্ধ করে। আরো কিছুদূর যাবার পরে তাঁদের চোখে পরে লাইমস্টোন যা বিভিন্ন সাইজ ও শেপয়ের ছিল।
আবিষ্কার–
তাঁরা এর পরেও বহুবার ওই গুহায় গেছিলেন এবং চিফ টেন ওই গুহার ওপরের দিকে অন্যতম প্রবেশদ্বারটির খোঁজ পান যা বর্তমানে দর্শকদের ওই গুহায় প্রবেশপথ।১৮৮৯ সালে টেন টিনোরাও ও তাঁর স্ত্রী এই গুহাটি দর্শকদের জন্য খুলে দেন কিছু অর্থের বিনিময়ে।১৯০৬ সালে সরকার কতৃক এটি গৃহীত হয় এবং ১৯১০ সালে ওয়াইটোমো কেভস্ হোটেল তৈরী করা হয় দর্শকদের জন্য। ১৯৮৯ সালে এই গুহাটি আবার টেনকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং বর্তমানে তাঁদের বংশধরগণ এর ম্যানেজমেন্ট ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্জিত লাভের একটা অংশ ভোগ করেন।
ভৌগলিক গুরুত্ব—










ভৌগলিক ও আগ্নেয়গিরির দ্বারা সৃষ্ট এই গুহাগুলিতে লাইমস্টোন দেখতে পাওয়া যায়। যখন এগুলি সমুদ্রের নিচে ছিল, তখন থেকেই এই লাইমস্টোন কোরাল ফসিল, সি শেলস্, মৃত মাছের কঙ্কাল এবং সমুদ্র তলবর্তী বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তৈরী হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই ফসিল জমে পাথর হয়েছে এবং স্তরীভূত হয়ে লাইমস্টোনে রূপান্তরিত হয়েছে যা এই অঞ্চলে প্রায় ২০০ মিটার পুরু।
এই গুহাগুলি তখনই তৈরী হতে শুরু করে যখন সমুদ্র তলবর্তী লাইমস্টোন অতিরিক্ত চাপে ও উষ্ণতায় বেঁকেচুড়ে যায় এবং আস্তে আস্তে সমুদ্রের উপরে উঠে আসে। তখন এগুলি আস্তে আস্তে ভাঙতে শুরু করে, এই লাইমস্টোনের মধ্যে দিয়ে জল বইতে থাকে এবং লক্ষ লক্ষ বছর ধরে এই গুহাগুলি তৈরী হতে থাকে। স্ট্যালাকটাইটস্, স্ট্যালাগমাইটস্ এবং অন্যান্য বিভিন্ন আকার তৈরী হতে থাকে দেওয়ালের ওপরে সিলিঙ থেকে জল পরে সেই জল জমে জমে। স্ট্যালাগমাইটস্ সিলিঙ থেকে নিচের দিকে এবং স্ট্যালাকসাইটস্ নিচের মেঝে থেকে উপরের দিকে বিস্তৃত। যখন এগুলি একে অপরকে দুদিক থেকে স্পর্শ করে, তাকে পিলার বলা হয় আর যখন একে অপরকে জড়িয়ে থাকে, তাকে হেলিক্টি বলা হয়। এই গুহার বৈচিত্র লক্ষ বছরের পুরানো কারণ এক কিউবিক সেন্টিমিটার স্ট্যালাকসাইট তৈরী হতে প্রায় একশো বছর সময় লাগে।
জীবজগত ও প্রাণীজগত—
এখানে কিছু ছোটখাটো পোকামাকড়, আলবাইনো কেভ অ্যান্টস্, বিশালাকৃতি ঝিঁ ঝিঁ পোকা পাওয়া যায়। কিন্তু সবথেকে বিখ্যাত হল আরাখনোক্যাম্পা লিউমিনোসা (arachnocampa luminosa), যা হল একধরণের মশাকৃতির পোকা যাদের শরীরে এক ধরণের যৌগের উপস্থিতির জন্য জোনাকির মত এরা অন্ধকারে নিজের আলো ছড়ায় এবং গুহার অন্ধকারে রাতের আকাশের তারার ঝিলমিল নজরে আসে।
গুহার মধ্যেকার পরিবেশ ও প্রাণীজগতকে রক্ষা করার জন্য এখানকার তাপমাত্রা, আদ্রতা, কার্বন ডাই অক্সাইডয়ের মাত্রা প্রভৃতি তদারকি করা হয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার