হৃদরোগ কি...? কেন হয়....?




হৃদরোগ স্ত্রী ও পুরুষের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ হলো হৃদরোগ। কেবল আমেরিকায় নয়, সারা পৃথিবীতে প্রতিবছর এতে প্রাণ হারান ৭০ লাখ লোক। ১৯৮০ সাল পর্যন্ত হৃদরোগকে পুরুষের রোগ বলে মনে করা হতো এবং পুরুষকে লক্ষ্য করে বা কেন্দ্র করে অনেকগুলো গবেষণা হয়েছিল এবং এগুলো থেকে হার্ট অ্যাটাকের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণগুলো সম্বন্ধে একটি সঙ্কীর্ণ ছবি আঁকা হয়েছিল মাত্র, বুকব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘাড়, চোয়াল, পিঠ ও বাহু দিয়ে বসে আসা ব্যথা। তবে আরো গবেষণায় দেখা গেল, স্ত্রী রোগীদের এসব উপসর্গ হলেও, কখনো কখনো এমন সব উপসর্গ তাদের হয় যা হার্ট অ্যাটাকের বৈশিষ্ট্যসূচক নয়, যেমন ঘুমের সমস্যা এবং হার্ট অ্যাটাকের কয়েকদিন বা কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে গুরুতর ক্লান্তি, এ ছাড়া শীতল ঘাম, দুর্বলতা ও মাথা ঝিমঝিম ভাব হার্ট অ্যাটাকের সময়।







নতুন এই গবেষণায় ডা. ক্যান্টো ও তার সহকর্মীরা ১৯৯৪-২০০০ সাল পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের জাতীয় রেজিস্ট্রিকৃত নথি পর্যালোচনা করে পুরুষদের ও মহিলাদের উপসর্গসমূহ ও মৃত্যুহার তুলনা করে দেখেছেন। বুকব্যথা মহিলা ও পুরুষের মধ্যে সবচেয়ে সচরাচর উপসর্গ হলেও সর্বমোট ৩৫ শতাংশ রোগীর কখনোই বুকব্যথা ছিল না। ৫৫ অনূর্ধ্ব নারী যাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তবে বুকে অস্বস্তি ছিল না তাদের হাসপাতালে মৃত্যুঝুঁকি, একই বয়সের পুরুষ যাদের বৈশিষ্ট্যসূচক হার্ট অ্যাটাক উপসর্গ ছিল, তাদের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ বেশি ছিল। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পার্থক্য কমে এলো এবং পরে মিলিয়েও গেল।




পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলোর তারতম্য কেন হয়, তা সঠিকভাবে জানা নেই। তবে ডা. ক্যান্টোর ধারণা, অনেক উপাদান জড়িত থাকতে পারে। এমনকি হরমোনও। অনেক নারী যারা গর্ভনিরোধক বড়ি সেবন করেন, তাদের রক্তনালী ও ধমনিসমূহ পুরুষের চেয়ে অনেক আঠালো। ডা. ক্যান্টো বলেন, নারীদের মধ্যে বিশেষ তরুণ নারী যাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হয়, এদের করোনারি ধমনিতে রক্ত জমাট বাধার প্রক্রিয়া তরুণ পুরুষের তুলনায় আলাদা। এদের ধমনিগাত্রে চর্বিপুঞ্জ দীর্ণ হওয়ার চেয়ে বরং চবিপুঞ্জ ক্ষয় ও ক্ষত খসে পড়ার ঘটনা ঘটে বেশি। যাদের হার্ট অ্যাটাক হলো অথচ বুকে চাপ চাপ ব্যথা, আঁটোসাঁটো ভাব হলো না, এরা বুঝতে পারেন না কী ঘটল।
ডা. ক্যান্টো বলেন, তারা যখন চিকিৎসার জন্য আসেন তখন ডাক্তাররা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা অবিলম্বে বিবেচনা করতে পারেন না বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে। ফলে, তাই অবিলম্বে বাইপাস সার্জারি, হার্ট ক্যাথেটেরাইজ করা এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী পদ্ধতি প্রয়োগ অনেক কমে যায়। বাস্তবতা হলো, অনেক ডাক্তারই ভাবেন না যে কমবয়সি নারীদের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, বলেন আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম সদস্য এবং নিউইয়র্কে মন্টে ফিওবে আইনস্টাইন সেন্টার ফর হার্ট অ্যঅন্ড ভাসকুলার কেয়ারের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. ম্যারিও গার্সিয়া। আবার অনেক গবেষণা থেকে এও দেখা গেছে, এমনকি যেসব নারীর বুক ব্যথাসহ হার্ট অ্যাটাকের বৈশিষ্ট্যসূচক উপসর্গ হয়েছিল তারাও পুরুষদের তুলনায় চিকিৎসা-সহায়তার জন্য অনেক কম গেছেন ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে।



ডা. মারিয়া গার্সিয়ার বক্তব্য: পুরুষেরা এ রকম সমস্যা হলেও দ্রুত পরামর্শ নেন ডাক্তারের। নারীরা নিজেদের চেয়ে তাদের স্বামীদের ব্যাপারে ভাবেন বেশি। উদ্বিগ্ন হন বেশি। পৃথিবীজুড়েই নারীরা নিজেদের নিয়ে ভাবেন কম, যত্ন নেন কম।

তথ্যযসূত্র: ইন্টারনেট

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?