শাওমি ফোন এর ইতিকথা....
শাওমি মোবাইল নতুন কোন নামনয় দেশে বিদেশে বেশ জনপ্রিয় নাম অাজ শাওমি। শাওমি ইনকর্পোরেট হচ্ছে একটি প্রাইভেট চীনা ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি।অাজ অালোচনা তাই শাওমি নিয়ে.....
শাওমির সদর দপ্তর চীনের বেইজিং এ অবস্থিত। এটি বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা, ২০১৫ সালে শাওমি ৭০.৮ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি করে এবং কোম্পানিটি স্মার্টফোনের বিশ্ব বাজারের শেয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ অধিকার করে। শাওমি স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপস এবং সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য ডিজাইন, ডেভলপ এবং বিক্রি করে থাকে।
ইতিহাস
শাওমি ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল আটজন সহযোগীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলো। প্রথম ধাপের অর্থায়নে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তেমাসেক হোল্ডিংস, সিঙ্গাপুরের সরকারি মালিকানাধীন একটি বিনিয়োগ কোম্পানী, চীনা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড আইডিজি ক্যাপিটাল, কিইমিং ভেঞ্চার পার্টনার্স এবং মোবাইল প্রসেসর ডেভলপার কোয়ালকমকে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট তারিখে, শাওমি আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ফার্মওয়্যার মিইউআই চালু করে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু করে শাওমি।
ব্যবসার পলিসি
শাওমি স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে, শাওমি অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন- স্যামসাং এবং অ্যাপল থেকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। লেই জুন, শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উল্লেখ করেন যে, কোম্পানিটি ফোনের দাম প্রায় তৈরি খরচের সমানই রাখে, যদিও এ ক্ষেত্রে ফোনের গুণগত মান এবং কর্মক্ষমতা অন্যান্য প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। কোম্পানিটি এছাড়াও ফোন সংক্রান্ত অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস, স্মার্ট হোম পণ্য, অ্যাপস, অনলাইন ভিডিও এবং থিম ইত্যাদি বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করে থাকে।
প্রস্তুতকেন্দ্র
এর মূল প্রস্তুতকেন্দ্রগুলো চিনে অবস্থিত হলেও , এখন ভারতে মোবাইলের কারখানা করেছে। নয়ডায় , চিত্তুর জেলা-র শ্রী সিটিতে ও কাঞ্চীপুরম জেলা-র শ্রীপেরুম্বুদুরে স্মার্টফোন ও পাওয়ার ব্যাংক প্রস্তুতকেন্দ্র রয়েছে।
পণ্যসমুহ
শাওমির বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে, তবে এর মধ্যে মোবাইল ফোন, টিভি এবং রাউটার উল্লেখযোগ্য।
ল্যাপটপ
মি নোটবুক এয়ার
শাওমি তাদের প্রথম আল্ট্রাবুক মি নোটবুক এয়ার এর মাধ্যমে চীনের কম্পিউটারের বাজারে প্রবেশ করে।
মোবাইল ফোনসমূহ
এমআই সিরিজ
২০১৫ সালের জানুয়ারীর আগে পর্যন্ত শাওমি এর প্রধান মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো ছিলো শাওমি এম আই সিরিজ। শাওমি এম আই ৪ মার্চ, মে এবং যথাক্রমে ২০১৪ সালের মার্চ, মে এবং জুলাইতে চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে চালু করা হয়।
এমআই নোট
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চীন এর বেইজিং এ, শাওমি আইফোন ৬ এর প্রায় অর্ধেক মূল্যে এম আই নোট ও এম আই নোট প্রো বাজারে আনে।
রেডমি সিরিজ
শাওমি রেডমি নোট ৩
শাওমি রেডমি সিরিজ এমআই সিরিজের চেয়ে কম মূল্যের ফোন। বাজেটবান্ধব রেডমি সিরিজের সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। এই সিরিজের অধিকাংশ মডেলেই ৪০০০ বা তদূর্ধ্ব মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে।
এমআই প্যাড
শাওমির প্রথম ট্যাবলেট পিসি হচ্ছে শাওমি এমআই প্যাড, এটি ২০১৪ সালে বাজারে আসে।
মিআইইউআই (অপারেটিং সিস্টেম)
মিইইউআই(অপারেটিং সিস্টেম) হচ্ছে গুগোল অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপরে ভিত্তি করে শাওমি কর্তৃক উন্নীত অপারেটিং সিস্টেম। এটি শাওমির শুরুর দিকের একটি পণ্য। বর্তমানে এর দশম সংস্করণ মিআইইউআই ১০ উন্মোচিত হয়েছে।
এমআই ওয়াই-ফাই (নেটওয়ার্ক রাউটার)
শাওমির এমআইওয়াই-ফাই সিরিজের রাউটার প্রথম বাজারে আসে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল।
মি টিভি (স্মার্ট টিভি লাইন)
এমআই সিরিজের স্মার্ট টিভি ২০১৩ সাল হতে বাজারজাত করা শুরু করে শাওমি। এটি অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে।
শাওমির আরও অন্যান্য পণ্য হচ্ছেঃ
এমআইবক্স (সেট-টপ বক্স)
এমআই ক্লাউড (ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস)
এমআইটক(ম্যাসেজিং সার্ভিস)
এমআই পাওয়ার ব্যাংক (এক্সটার্নাল ব্যাটারি)
এমআই ব্যান্ড (ফিটনেস মনিটর এন্ড স্লিপ ট্র্যাকার)
স্মার্ট হোম পণ্য
ব্লাড প্রেসার মনিটর
এয়ার পিউরিফাইয়ার
ই অ্যাকশন ক্যামেরা
এম আই স্মার্ট স্কেল
এম আই ওয়াটার পিউরিফাইয়ার
স্মার্ট হোম কিট
নাইনবুট মিনি
স্মার্ট রাইস কুকার
স্বীকৃতি
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ অনুসারে শাওমি ২০১৫ সালের ৫০টি অন্যতম স্মার্ট কোম্পানির তালিকায় ২য় স্থানে রয়েছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের সবচেয়ে ইনোভেটিভ কোম্পানির তালিকায় শাওমি ৩য় স্থানে রয়েছে, “বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল বাজারে স্মার্টফোন ব্যবসার মডেল উপস্থাপনের জন্য,” যদিও কোনো কোনো মন্তব্যকারীদের দ্বারা শাওমি এর উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল বিদ্যমান স্মার্টফোন শিল্পে একটি সংহতিনাশক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শাওমির সদর দপ্তর চীনের বেইজিং এ অবস্থিত। এটি বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা, ২০১৫ সালে শাওমি ৭০.৮ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি করে এবং কোম্পানিটি স্মার্টফোনের বিশ্ব বাজারের শেয়ারের প্রায় ৫ শতাংশ অধিকার করে। শাওমি স্মার্টফোন, মোবাইল অ্যাপস এবং সংশ্লিষ্ট ইলেক্ট্রনিক পণ্য ডিজাইন, ডেভলপ এবং বিক্রি করে থাকে।
ইতিহাস
শাওমি ২০১০ সালের ৬ এপ্রিল আটজন সহযোগীর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছিলো। প্রথম ধাপের অর্থায়নে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা তেমাসেক হোল্ডিংস, সিঙ্গাপুরের সরকারি মালিকানাধীন একটি বিনিয়োগ কোম্পানী, চীনা ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফান্ড আইডিজি ক্যাপিটাল, কিইমিং ভেঞ্চার পার্টনার্স এবং মোবাইল প্রসেসর ডেভলপার কোয়ালকমকে অন্তর্ভুক্ত করে। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট তারিখে, শাওমি আনুষ্ঠানিকভাবে এর প্রথম অ্যান্ড্রয়েড-ভিত্তিক ফার্মওয়্যার মিইউআই চালু করে। ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত শুরু করে শাওমি।
ব্যবসার পলিসি
শাওমি স্মার্টফোন বিক্রির ক্ষেত্রে, শাওমি অন্যান্য স্মার্টফোন নির্মাতা যেমন- স্যামসাং এবং অ্যাপল থেকে ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। লেই জুন, শাওমির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) উল্লেখ করেন যে, কোম্পানিটি ফোনের দাম প্রায় তৈরি খরচের সমানই রাখে, যদিও এ ক্ষেত্রে ফোনের গুণগত মান এবং কর্মক্ষমতা অন্যান্য প্রিমিয়াম স্মার্টফোনের তুলনায় কোনও অংশে কম নয়। কোম্পানিটি এছাড়াও ফোন সংক্রান্ত অন্যান্য পেরিফেরাল ডিভাইস, স্মার্ট হোম পণ্য, অ্যাপস, অনলাইন ভিডিও এবং থিম ইত্যাদি বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করে থাকে।
প্রস্তুতকেন্দ্র
এর মূল প্রস্তুতকেন্দ্রগুলো চিনে অবস্থিত হলেও , এখন ভারতে মোবাইলের কারখানা করেছে। নয়ডায় , চিত্তুর জেলা-র শ্রী সিটিতে ও কাঞ্চীপুরম জেলা-র শ্রীপেরুম্বুদুরে স্মার্টফোন ও পাওয়ার ব্যাংক প্রস্তুতকেন্দ্র রয়েছে।
পণ্যসমুহ
শাওমির বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে, তবে এর মধ্যে মোবাইল ফোন, টিভি এবং রাউটার উল্লেখযোগ্য।
ল্যাপটপ
মি নোটবুক এয়ার
শাওমি তাদের প্রথম আল্ট্রাবুক মি নোটবুক এয়ার এর মাধ্যমে চীনের কম্পিউটারের বাজারে প্রবেশ করে।
মোবাইল ফোনসমূহ
এমআই সিরিজ
২০১৫ সালের জানুয়ারীর আগে পর্যন্ত শাওমি এর প্রধান মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো ছিলো শাওমি এম আই সিরিজ। শাওমি এম আই ৪ মার্চ, মে এবং যথাক্রমে ২০১৪ সালের মার্চ, মে এবং জুলাইতে চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও ভারতে চালু করা হয়।
এমআই নোট
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে চীন এর বেইজিং এ, শাওমি আইফোন ৬ এর প্রায় অর্ধেক মূল্যে এম আই নোট ও এম আই নোট প্রো বাজারে আনে।
রেডমি সিরিজ
শাওমি রেডমি নোট ৩
শাওমি রেডমি সিরিজ এমআই সিরিজের চেয়ে কম মূল্যের ফোন। বাজেটবান্ধব রেডমি সিরিজের সবথেকে উল্লেখযোগ্য দিক হলো এর দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি। এই সিরিজের অধিকাংশ মডেলেই ৪০০০ বা তদূর্ধ্ব মিলিঅ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়েছে।
এমআই প্যাড
শাওমির প্রথম ট্যাবলেট পিসি হচ্ছে শাওমি এমআই প্যাড, এটি ২০১৪ সালে বাজারে আসে।
মিআইইউআই (অপারেটিং সিস্টেম)
মিইইউআই(অপারেটিং সিস্টেম) হচ্ছে গুগোল অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের উপরে ভিত্তি করে শাওমি কর্তৃক উন্নীত অপারেটিং সিস্টেম। এটি শাওমির শুরুর দিকের একটি পণ্য। বর্তমানে এর দশম সংস্করণ মিআইইউআই ১০ উন্মোচিত হয়েছে।
এমআই ওয়াই-ফাই (নেটওয়ার্ক রাউটার)
শাওমির এমআইওয়াই-ফাই সিরিজের রাউটার প্রথম বাজারে আসে ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল।
মি টিভি (স্মার্ট টিভি লাইন)
এমআই সিরিজের স্মার্ট টিভি ২০১৩ সাল হতে বাজারজাত করা শুরু করে শাওমি। এটি অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে।
শাওমির আরও অন্যান্য পণ্য হচ্ছেঃ
এমআইবক্স (সেট-টপ বক্স)
এমআই ক্লাউড (ক্লাউড স্টোরেজ সার্ভিস)
এমআইটক(ম্যাসেজিং সার্ভিস)
এমআই পাওয়ার ব্যাংক (এক্সটার্নাল ব্যাটারি)
এমআই ব্যান্ড (ফিটনেস মনিটর এন্ড স্লিপ ট্র্যাকার)
স্মার্ট হোম পণ্য
ব্লাড প্রেসার মনিটর
এয়ার পিউরিফাইয়ার
ই অ্যাকশন ক্যামেরা
এম আই স্মার্ট স্কেল
এম আই ওয়াটার পিউরিফাইয়ার
স্মার্ট হোম কিট
নাইনবুট মিনি
স্মার্ট রাইস কুকার
স্বীকৃতি
এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ অনুসারে শাওমি ২০১৫ সালের ৫০টি অন্যতম স্মার্ট কোম্পানির তালিকায় ২য় স্থানে রয়েছে। এছাড়াও ২০১৪ সালের সবচেয়ে ইনোভেটিভ কোম্পানির তালিকায় শাওমি ৩য় স্থানে রয়েছে, “বিশ্বের বৃহত্তম মোবাইল বাজারে স্মার্টফোন ব্যবসার মডেল উপস্থাপনের জন্য,” যদিও কোনো কোনো মন্তব্যকারীদের দ্বারা শাওমি এর উদ্ভাবনী ব্যবসায়িক মডেল বিদ্যমান স্মার্টফোন শিল্পে একটি সংহতিনাশক শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন