জামরুল অসাধারণ একটি ফলের নাম........
জামরুল অতি পরিচিত গ্রাম বাংলার একটি ফলের নাম।
জামরুল এর স্বাদ হয় মিষ্টি। আর ছায়ার জামরুল খেতে পানশে স্বাদের হয়ে থাকে। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও এই ফলটি খেতে খুবীই সু-স্বাদু। জামরুল সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপী, লাল এবং কালো বর্ণেরও হয়ে থাকে।
পুষ্টিমান: জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এতে খনিজ পদার্থ রয়েছে কমলার তিন গুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লিচু ও কুলের সমান এবং আঙুরের দ্বিগুণ। আয়রনের পরিমাণ কমলা, আঙুর, পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়েও বেশি। ফসফরাসের পরিমাণ আপেল, আঙুর, আম ও কমলার চেয়ে বেশি।
প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে থাকে: জলীয় অংশ ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ, ক্যারোটিন আছে ১৪১ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ আছে ০.১মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ আছে ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম, ক্যালরি শক্তি ৫৬, প্রোটিন ০.৫ থেকে ০.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৪.২ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.১ থেকে ১.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ থেকে ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯ থেকে ৪৫.২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১.৭ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৪৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, কপার ০.০১ মিলিগ্রাম, সালফার ১৩ মিলিগ্রাম, ক্লোরিন ৪ মিলিগ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৩ গ্রাম, খাদ্যশক্তি রয়েছে ৩৯ কিলোক্যালারি
জামরুলের গুনাগুণ:
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে: জামরুলের উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমে জন্য দারুণ উপকারি। কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে কোনো সমস্যাই থাকে না। এর বিচি ডায়রিয়া প্রতিরোধে অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে: জাম্বোসাইন হচ্ছে একধরনের ক্ষারজাতীয় উপাদান। এটি স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ মানুষের দেহে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধা ঠেকিয়ে দিতে দক্ষ জামরুল। কাজেই জামরুল খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে যাবে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: জামরুলে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান। তাই নিয়মিত জামরুল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে: পুষ্টি উপাদানের সম্মিলত উপস্থিতি দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবী কার্যকরি। অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকিও কমে আসে উল্লেখযোগ্য হারে। কার্ডিওভাসকুলার বিষয়ক জটিলতা হ্রাস পায়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক আর করোনারি রোগের ঝুঁকিও আপনাকে পেরেশানিতে রাখবে না।
মস্তিষ্ক ও লিভারের সুস্থ্য রাখতে: মস্তিষ্ক ও লিভারের সুস্থ্য রাখতে জামরুল টনিক হিসাবে কাজ করে।
বাতের জন্য: জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
চোখের কালি দূর করতে: ঘুম না হওয়া কিংবা দুশ্চিন্তায় যাদের চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে তারা সেই কালি দূর করতে নিয়মিত একটি করে জামরুল খেয়ে দেখতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধক: জামরুলের শক্তিশালী উপাদানগুলো জীবাণু এবং ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকায় এই ফল। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার করতে: শরীরে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত উপাদান ঘুরে বেড়ায়। শত শত বছর ধরে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে বের করে দিতে জামরুলের কাযর্কারী ভূমিকা পালন করে। লিভার আর কিডনির বিষ দূর করে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু রাখতে যেন এক অব্যর্থ টোটকা এই জামরুল। অামাদের পিপাসা থেকে খুব সহজে মুক্তি দেয় জামরুল।
জামরুল এর স্বাদ হয় মিষ্টি। আর ছায়ার জামরুল খেতে পানশে স্বাদের হয়ে থাকে। জামরুল ফলের মিষ্টতা বেশি না হলেও এই ফলটি খেতে খুবীই সু-স্বাদু। জামরুল সাদা, হালকা সবুজ, গোলাপী, লাল এবং কালো বর্ণেরও হয়ে থাকে।
পুষ্টিমান: জামরুল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। এতে খনিজ পদার্থ রয়েছে কমলার তিন গুণ এবং আম, আনারস ও তরমুজের সমান। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ লিচু ও কুলের সমান এবং আঙুরের দ্বিগুণ। আয়রনের পরিমাণ কমলা, আঙুর, পেঁপে ও কাঁঠালের চেয়েও বেশি। ফসফরাসের পরিমাণ আপেল, আঙুর, আম ও কমলার চেয়ে বেশি।
প্রতি ১০০ গ্রাম জামরুলে থাকে: জলীয় অংশ ৮৯ দশমিক ১ শতাংশ, ক্যারোটিন আছে ১৪১ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-১ আছে ০.১মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি-২ আছে ০.৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৩ মিলিগ্রাম, ক্যালরি শক্তি ৫৬, প্রোটিন ০.৫ থেকে ০.৭ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেট ১৪.২ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১.১ থেকে ১.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.২ থেকে ০.৩ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯ থেকে ৪৫.২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১১.৭ থেকে ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৪৫ থেকে ১.২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ৩৪.১ মিলিগ্রাম, কপার ০.০১ মিলিগ্রাম, সালফার ১৩ মিলিগ্রাম, ক্লোরিন ৪ মিলিগ্রাম, আমিষ ০.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৩ গ্রাম, খাদ্যশক্তি রয়েছে ৩৯ কিলোক্যালারি
জামরুলের গুনাগুণ:
হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে: জামরুলের উচ্চমাত্রার ফাইবার হজমে জন্য দারুণ উপকারি। কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে কোনো সমস্যাই থাকে না। এর বিচি ডায়রিয়া প্রতিরোধে অনেকটা ওষুধের মতো কাজ করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে: জাম্বোসাইন হচ্ছে একধরনের ক্ষারজাতীয় উপাদান। এটি স্টার্চকে চিনিতে রূপান্তরিত হওয়ার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ মানুষের দেহে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধা ঠেকিয়ে দিতে দক্ষ জামরুল। কাজেই জামরুল খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বিপজ্জনক পর্যায়ে যাবে না।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে: জামরুলে আছে ক্যান্সার প্রতিরোধের উপাদান। তাই নিয়মিত জামরুল খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে: পুষ্টি উপাদানের সম্মিলত উপস্থিতি দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে খুবী কার্যকরি। অ্যাথেরোসক্লেরোসিসের ঝুঁকিও কমে আসে উল্লেখযোগ্য হারে। কার্ডিওভাসকুলার বিষয়ক জটিলতা হ্রাস পায়। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক আর করোনারি রোগের ঝুঁকিও আপনাকে পেরেশানিতে রাখবে না।
মস্তিষ্ক ও লিভারের সুস্থ্য রাখতে: মস্তিষ্ক ও লিভারের সুস্থ্য রাখতে জামরুল টনিক হিসাবে কাজ করে।
বাতের জন্য: জামরুল ভেষজগুণ সমৃদ্ধ ফল। বাত নিরাময়ে এটি ব্যবহার করা হয়।
চোখের কালি দূর করতে: ঘুম না হওয়া কিংবা দুশ্চিন্তায় যাদের চোখের নিচে কালি পড়ে গেছে তারা সেই কালি দূর করতে নিয়মিত একটি করে জামরুল খেয়ে দেখতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধক: জামরুলের শক্তিশালী উপাদানগুলো জীবাণু এবং ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ত্বকে ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকায় এই ফল। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
বিষাক্ত উপাদান পরিষ্কার করতে: শরীরে প্রতিনিয়ত বিষাক্ত উপাদান ঘুরে বেড়ায়। শত শত বছর ধরে দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ ধুয়ে বের করে দিতে জামরুলের কাযর্কারী ভূমিকা পালন করে। লিভার আর কিডনির বিষ দূর করে বিপাকক্রিয়া সুষ্ঠু রাখতে যেন এক অব্যর্থ টোটকা এই জামরুল। অামাদের পিপাসা থেকে খুব সহজে মুক্তি দেয় জামরুল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন