ইলিশ ছাড়া বাংলাদেশ কখন হয়না.....!

Bangladesh এর GI পন্য ইলিশ, বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশক (GI)পন্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ
করেছে ইলিশ মাছ।
ইলিশ মাছঃ





মাছের কথা বলতে গেলে ইলিশ এর নাম অাসে সবার অাগে।
ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম Tenalosa illisha  বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ।   ইলিশ সুস্বাদু মাছ  হিসেবে  বিশ্বজোরা অাজকে  বাংলাদেশের  নাম    ইলিশের  জন্য খ্যাতি।







বাংলাদেশের মানুষের জীবন জাপনে অামিষের চাহিদা পূরন এবং সামুদ্রিক মৎস্য অাহরনের ক্ষেত্রে বিশাল অংশ জুরে ইলিশ মাছ। বাংলাদেশের লাখ লাখ জেলে  জিবিকা  নির্বাহ  করে ইলিশ  মাছ  ধরে।


                                       

নদীর তাজা  রুপালি ইলিশ
ইলিশ  উৎপাদনে  প্রথমঃ--
 বিশ্বের  ওয়াল্ড  ফিসের পর্যবেক্ষন  অনুযায়ী  বিশ্বের মোট  উৎপাদিত  ইলিশের ৬৫% পাওয়া  যায়  বংলাদেশে।ইলিশ পাওয়া  যায়  এমন  ১১ টি দেশের  মধ্যে ১০  দেশেই  উৎপাদন  কমছে  কিন্তু  খুশির সংবাদ যে বাংলাদেশে ৮ % থেকে ১০% হারে গত কয়েক বছরে  ইলিশের  উৎপাদন বাড়ছে।  বাংলাদেশের  মোট মৎস্য  উৎপাদনের  একক ইলিশের  অবদান  প্রায়  ২০% । বাংলাদেশের  মৎস্য গবেষনা ইনষ্টিটিউট এর  তথ্য  মতে অাগে দেশের  ২১ টি  নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া  যেত বর্তমানে ১২৫ টি  নদ  নদীতে পাওয়া  যাচ্ছে  ইলিশ মাছ।








বাংলাদেশে গত কয়েক বছর ধরে তিন  থেকে  চার লাখ  টনের  মধ্যে  ইলিশের উৎপাদন উঠানামা  করছে। গত ২০১৫-১৬  অর্থবছরে  ইলিশের উৎপাদন  ছিল  চার  লাখ টন। প্রচলিত  বাজারে  প্রতি  কেজি ইলিশ  ৬৫০  টাকা  ধরা হলে সংগৃহীত  ইলিশের  বাজার  মূল্য দাড়ায় প্রায় ৩০,০০০কোটি টাকা। বাংলাদেশ  প্রতিবছর ইলিশ  রপ্তানির  মাধ্যমে গড়ে ৪০০থেকে ৫০০  কোটি  টাকার মতো  বৈদেশিক  মুদ্রার  অায় হয়।  এছাড়া বাংলাদেশে ৫ থেকে প্রায়  ৬  লাখ  মানুষ ইলিশ  অাহরনে  জড়িত।  পরক্ষ  ভাবে  ২০থেকে  ২৫ লাখ  বা তারও  বেশী  লোক  ইলিশ  পরিবহন , বিক্রয় , জাল ,নৌকা ,বরফ  উৎপাদন, প্রকৃয়াজাত করন   সহ  বিভিন্ন  রফতানির কাজে  জড়িত।





GI পন্যঃ                                

ইলিশ শুধুই বাংলা দেশের  সম্পদ  GI পন্য  হিসেবে  স্বকৃতি লাভ করছে।
 ইলিশ  মাছ  বাংলাদেশের দ্বিতীয়  GI  পন্য ।  অান্তর্জাতূিক ভাবে  ইলিশের  একক মালিকানা  পাওয়ার  লক্ষ্যে ১৪ই  নবেম্বর  ২০১৪  মৎস অধিদপ্তর  ইলিশকে  GI  পন্য হিসেবে  নিবন্ধত  করার  জন্য অনুষ্ঠানিক  ভাবে  অাবেদন করে। অাবেদনে  বাংলাদেশের  ইলিশের  জন্ম  ও  বিস্তার-সহ যাবতীয়  তথ্য  প্রমানাদি যাচাই-বাছাই  ও  বিশ্লেষণ  শেষে ১ লা জুন  ২০১৭  পেটেন্ট ডিজাইন ও  ট্রেডমার্ক  অধিদপ্তর  DPDT নিজস্ব  জার্নালে  ৪৯ পৃষ্ঠার একটি  নিবন্ধ  প্রকাশ করে।
 অাইন অনুসারে  নিবন্ধন প্রকাশিত  হওযার  দুই মাসের মধ্যে  দেশ  বা  বিদেশ  থেকে এ বিষয়  অাপত্তি  জানাতে  হয় ।          কিন্তু  কোন  ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয় কোন অাপত্তি জানায় নি। সে  অনুসারে ৬ই অাগষ্ঠ ২০১৭ ইং DPDT জাতীয় মাছ ইলিশকে  বাংলাদেশি পন্য হিসেবে বিশ্ব সীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষনা করে।




যে ভাবে  লাববান  হবে বাংলাদেশঃ-   GI পন্য হিসেবে স্বকৃতি  লাভের  ফলে  ইলিশের নামে  বাংলাদেশের নাম উচ্চারিত হবে।  ইলিশের দেশ বাংলাদেশ  ফলে  বিশ্বের বাজারে ইলিশ বিপননের ক্ষেত্রে লাববান হবে।
১) সারা  বিশ্বেই  বাংলাদেশের ইলিশের পরিচিতি ও কদর বাড়বে।
২)বিশ্বের  যেখানেই  ইলিশ যাবে সেখানেই  বাংলাদেশের  নাম চলে  অাসবে  এর ফলে দেশের ঐতিহ্য অান্তর্জাতিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
Blogger monju

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?