ডায়াবেটিস ডায়েট মেনে খাদ্য খান।

ডায়াবেটিস হলে শ্চিন্তা নয় উচিত কঠিন ডায়েট মেনে চলা।






কিন্তু কেমন হবে তা? ডায়াবেটিস মানেই কিন্তু এই নয় খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। ডায়াটিশিয়ানদের মতে, ডায়েটের নিয়ম মেনে চললে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। রোগীও অনেকটা চাপমুক্ত থাকেন।
খাওয়ার ধরন
ডায়াবেটিক রোগীর আদর্শ ডায়েটের ৫০ শতাংশ হবে ফল ও সবজি। ২৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট। বাকি ২৫ শতাংশ প্রোটিন। প্রোটিনের মধ্যে মাছ, চিকেন ও ডিম খাওয়া যেতে পারে।
নিরামিশাষীদের জন্য পনির, সয়াবিন, ডাল থাকতে পারে। ডায়েটে টক দই থাকতেই হবে। সাধারণত এক জন ডায়াবেটিক রোগীর প্রয়োজন ১২০০-১৬০০ কিলো ক্যালরি।
তবে রোগীর বয়স, লিঙ্গ, শরীরের গঠন, লাইফস্টাইলের ধরন, সুগার লেভেল এগুলোর উপরে নির্ভর করে ক্যালরি নির্ধারিত হয়।
খেয়াল রাখতে হবে
কোন সময়ে খাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়েই চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়ার কথা বলে থাকেন। বিশেষ করে যারা খাওয়ার সময়ে ইনসুলিন নেন, তাদের প্রতিদিন একই রকম রুটিন মেনে সময় ধরে খাওয়া উচিত। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার সঙ্গে-সঙ্গে প্রতিদিন ব্যায়ামও জরুরি। ভারী ব্যায়াম না করে আধঘণ্টা হাঁটতে পারেন।
কী কী খাওয়া যাবে না
ঘন মাখনের দুধ, দুগ্ধজাত খাবার যেমন মাখন, ঘি, মিষ্টি, সব রকমের মিষ্টিস্বাদযুক্ত খাবার যেমন, চিনি, মধু, গুড়, চকলেট, আইসক্রিম, কেক, পেস্ট্রি, ফলের রস, ড্রিঙ্কস, অ্যালকোহল, তেলেভাজা খাওয়া যাবে না।
কী কী খাওয়া যেতে পারে
তবে পরিমাণ মত খেতে পারেন মাখন ছাড়া গুঁড়ো দুধ, ডাবল টোনড দুধ। বিস্কিটের মধ্যে ক্রিমক্র্যাকার, মারি, থিন অ্যারারুট। ফলের মধ্যে মাল্টা, কমলালেবু, পাকা পেঁপে, খোসাসহ আপেল ইত্যাদি। কার্বোহাইড্রেট হিসেবে খেতে পারেন অল্প ভাত, রুটি, সুজি, চিঁড়া, কর্নফ্লেক্স, মুড়ি, ব্রাউন ব্রেড ইত্যাদি।
সবজির মধ্যে মেপে খেতে পারেন পটল, চিচিঙ্গা, চালকুমড়া, করলা, পেঁপে, ঢ্যাঁড়স, বেগুন, বাঁধাকপি, লাউ, ফুলকপি, শসা, থোর, মোচা, ক্যাপসিকাম, টমেটো, পেঁয়াজ, আদা, সব ধরনের শাক, ডুমুর, শিম, সজনে ডাঁটা, মিষ্টিআলু, কচু, কাঁচা কলা, মুলা, গাজর, কুমড়া। মাছের মধ্যে চিংড়ি ও কাঁকড়া ছাড়া সব রকমের মাছ খাওয়া যাবে।

ডায়েটের নমুনা
সকালের নাস্তার আগে
দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা + ২টি বিস্কিট + বাদাম
সকালের নাস্তায়
আটার রুটি বা ওটস বা সিদ্ধ তরকারি ৩০-৫০ গ্রাম, শসা ১৫০ গ্রাম।
দুপুরের খাবারের আগে
কমলালেবু বা মাল্টা বা পেয়ারা বা আপেল বা নাসপাতি ১০০-১৫০ গ্রাম
দুপুরের খাবারে
ভাত ৫০-৮০ গ্রাম, রুটি ২টি, ডাল ২০-৩০ গ্রাম, মাছ ৫০-৭৫ গ্রাম, চিকেন ১০০ গ্রাম, টক দই ১০০-১৫০ গ্রাম।
বিকেলে
মুড়ি বা চিঁড়া ২০ গ্রাম, এক বাটি ছোলা সিদ্ধ।
রাতের খাবারে
রুটি ২টি, ভাত ৫০-৭০ গ্রাম, চিকেন ১০০ গ্রাম।
এক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে, এই পরিমাণ সকলের জন্য এক নয়। ব্যক্তি ও সমস্যাভেদে খাবারের পরিমাণ বদলাবে।
ভুল ধারণা
ডায়াবেটিসের ডায়েট মানেই সকালের খাবার ভারী হবে, দুপুরের খাবার মাঝারি ও রাতের খাবার হালকা। কিন্তু সাধারণত সকালের নাস্তা এড়িয়ে যাওয়া ও রাতে ভারী খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে রোগীদের মধ্যে।
রাতে ভারী খেলে সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। আর সকালের নাস্তা কম খেলে পিপি বা পোস্ট প্র্যানডিয়ালের পরিমাণ কমে যায়।
ভাত-রুটি খাওয়ার দিকে ডায়াবেটিস রোগীদের আগ্রহ থাকে। তাই পেট ভরানোর জন্য শসা ও টক দই যদি পরিমাণমতো খাওয়া যায়, তবে ভাত-রুটি খাওয়ার পরিমাণ এমনিতেই কমে যাবে।
দুই বেলার খাবারের মাঝে ক্ষুধা পেলে কেক বা বিস্কিট বেশি খাওয়া হয়। ডায়াবেটিক রোগীর কার্বোহাইড্রেট নাস্তার বদলে প্রোটিন জাতীয় খাওয়ার খাওয়া উচিত। ছোলা, ডিমসিদ্ধ খেতে পারেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?