কোষ্ঠকাঠিন্য কি সমাধান.....?

কোষ্ঠকাঠিন্যতে অনেকে দীর্ঘদিন ধরে ভুগে। আর সব সময় ওষুধ খাওয়া সম্ভব হয়না। ঘরোয়া উপায়ে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে খাবার অভ্যাস পাল্টাতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।



















[][][]১। আঁশযুক্ত খাবার বেশি  খাওয়া :

ফাইবার বা আঁশ আমাদের হজমশক্তিকে ঠিকঠাক রাখে। আর তাই পেটের যেকোন সমস্যায় আশযুক্ত খাবার, এই যেমন- শাক, সব্জি ইত্যাদি খাওয়া উচিৎ আমাদের। খেয়াল করে দেখুন তো আপনার খাবার তালিকায় এগুলো আছে কীনা? নেই? তাহলে জলদি এই খাবারগুলো নিজের খাদ্যতালিকায় নিয়ে আসুন।

[][][]২। খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনা :

অনেকসময় এক রকমের খাবার গ্রহন করায় আমাদের শরীর অভ্যস্ত হয়ে যায়। তাই নতুন করে কোন খাবার খেলে বা খাদ্যতালিকায় কোন পরিবর্তন আনলে এতে করে শরীর বিদ্রোহ করে নানা ভাবে। আর এই উপায়গুলোর একটি হল কোষ্ঠকাঠিন্য।

[][][]৩। পর্যাপ্ত পানি পান না করা :

অনেকসময় পর্যাপ্ত পানি পান না করার কারণে আমাদের শরীরের ভেতরে খাবার ভালোভাবে হজম করতে পারেনা, পরিপাকে সমস্যা হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেই। তাই নিয়মিত প্রচুর পানি পান করুন।



[][][]৪। ওজন কমে যাওয়া বা বেড়ে যাওয়া :

যতটা ওজন আপনার শরীরের জন্য ঠিকঠাক তার চাইতে বেশি ওজন হলে বা কম ওজন হলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

আর এই সমস্যাগুলো সমাধান করার পরেও যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর না হয় তাহলে নীচের পানীয়গুলো গ্রহন করার চেষ্টা করুন। এতে করে দূর হয়ে যাবে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা।

[][][]৫।লেবু:

মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করার কথা তো খানিক আগেই বলা হল। এছাড়া কেবল লেবুর রসও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করতে খুব সহায়তা করে থাকে। এজন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে নিন। চাইলে এতে সামান্য লবণ ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। সকালে একদমই খালি পেটে লেবু পানি পান করুন। সেসাথে সন্ধ্যার দিকে আরেক গ্লাস পান করুন। সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

[][][]৬।মধু :
অনেক চেষ্টা করেও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যাকে দূর করতে পারছেন না? তাহলে আপনাকেই বলছি, আর যেটাই করুন না কেন, প্রতিদিন একটু করে মধু খেতে ভুলবেন না। খুব সাধারণ অথচ কষ্ঠকর এই সমস্যায় মধু খুব উপকারী। প্রতিদিন মনে করে ২/৩ বার এক চামচ করে মধু খান। এছাড়া আরো ভালো ফলের জন্যে কুসুম গরম পানির সাথে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন। তাতে করে খুব দ্রুত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে তাড়াতাড়ি।

[][][]৭।ক্যাস্টর অয়েল :

এতকিছু করেও কোন লাভ হচ্ছেনা? তাহলে বেছে নিন ক্যাস্টর অয়েল। কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধ করার অন্যতম সহজ উপায় হল ক্যাস্টর অয়েল। সকালে খালি পেটে ২ চামচ ক্যাস্টর অয়েল পান করুন। দেখবেন খুব দ্রুতই আপনার পেটের সমস্যা রোধ হয়ে যাবে।তবে কেবল ক্যাস্টর অয়েল নয়, একইসাথে চাইলে কোন ফলের জুসের সাথে ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করতে পারেন।

[][][]৮।পালং শাক :

কেবল কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, পেটকে সুস্থ রাখতে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে পালং শাক এর উপকারিতা অনেক বেশি। আর তাই কোষ্ঠ কাঠিন্য সমস্যা যদি সমাধান করতে চান তাহলে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পালং শাক রাখুন। চাইলে এটি সালাদের মতো করে খেতে পারেন কিংবা রান্না করেও খেতে পারেন। আর যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা খুব বেশি জটিল আকার ধারণ করে থাকে তাহলে, পালং শাক জুস বানিয়ে অর্ধেক পানির সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন দুইবেলা নিয়ম করে পান করুন। কেবল এই একটি সমস্যাতেই নয়, পালং শাক আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সাথে সাথে চোখের স্বাস্থ্যকেও ঠিক রাখবে।






উপরোক্ত উপাদানগুলো তো কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। কিন্তু যে খাবারগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরিতে সাহায্য করে সেগুলোকেও চিনে নিন এবং আপনার খাবার তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলুন। এতে করে সমস্যার সমাধান অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে। ভাবছেন কী কী খাবারের কথা বলছি?

এই যেমন- এ্যালকোহল, অতিরিক্ত ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট, শুষ্ক খাবার ইত্যাদি। খাবার তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলুন খাবারগুলোকে। আর তার বদলে নিয়ে আসুন-স্ট্রবেরী, শীমের কালো বিচি, ব্রোকোলি, সিরিয়াল, ওটমিল ইত্যাদি খাবারের মতন খাবার। এগুলো খুব সহজেই আপনার শরীরকে অনেক বেশি খাদ্য পরিপাকে সক্ষম করে তুলবে আর কমিয়ে দেবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে একেবারে। 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার