উদ্যোক্তা মাত্র ২০০০ টাকায় মাসে ইনকাম ২০,০০০/-টাকা
চা তৈরি করার পর যে উচ্ছিষ্ট চা পাতা থাকবে তা দিয়েই সার তৈরি করা যাবে। চা পাতা যেকোনো গাছের জন্য উৎকৃষ্ট সার। এ চা পাতায় বেশ কিছুটা নাইট্রোজেন ও অল্প পরিমাণ পটাসিয়াম অবশিষ্ট থাকে। সুতরাং এটাও নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ জৈব সার। চা পাতা প্রতিদিন না দিয়ে জমিয়ে একত্র করে একটি পাত্রে রেখে ১০-১৫ দিন পর পর গাছের গোড়ার মাটি খুঁড়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।আমাদের মাটি এমনই উর্বর যে অকৃপণ হাতে ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত ফসল ফলিয়ে যাচ্ছে। এই উৎপাদনে কোথাও কোনো কমতি নেই। যেখানেই বীজ ছিটানো হয়, সেখানেই যেন সোনা ফলে। আধুনিক প্রযুক্তি, বাংলাদেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের নতুন নতুন গবেষণা আর আবিষ্কারে অধিক ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবিত হচ্ছে। আমাদের খাদ্যের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, কৃষকও ভালো দাম পেয়ে খুশি হচ্ছেন। কিন্তু এতসব প্রাপ্তি আর সম্ভাবনার পরও আমরা সবাই একটা বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগি, তা হলো বাজার থেকে যে ফসল আমরা কিনে আনছি, তা সম্পূর্ণ নিরাপদ তো!
অনেকেই আজকাল ‘বিষমুক্ত সবজি’ কথাটি ব্যবহার করেন। ‘বিষ’ কথাটি শুনলেই বুকের মধ্যে কেমন ধক করে ওঠে। বাজার থেকে সবজি কিনে খাচ্ছি, তা ‘বিষাক্ত’ হবে কেন? কিন্তু সত্যিই আজকাল এ বিষয়টি আমাদের সবাইকে ভীষণ ভাবায়। এই বিষাক্ততার অন্যতম কারণ হলো অধিক লাভের আশায় ফসলের খেতে নির্বিচারে রাসায়নিক কীটনাশক-বালাইনাশক ব্যবহার করা, মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহার করা আর সবজিকে টাটকা রাখতে বা দ্রুত ফল পাকানোর জন্য বিষাক্ত ফরমালিন বা ক্যালসিয়াম কার্বাইডের মতো ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার করা। ‘বালাইনাশক তথা কীটনাশক ব্যবহার ছাড়া ভালো ফলন পাওয়া যায় না’—এই বিশ্বাসে চাষিরাও এসবের ওপর একান্তভাবে নির্ভরশীল এবং প্রায় সব মৌসুমে ব্যবহার করেন। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, মাটির গুণগতমান নষ্ট হচ্ছে, উদ্ভিদ ফসলে ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছে, সৃষ্টি হচ্ছে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্যহীনতা।তবে আশার কথা হলো দিন দিন ঝুঁকিমুক্ত, বিষমুক্ত আর নিরাপদ খাদ্যের দাবি ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। আমাদের সার্বিক খাদ্যনিরাপত্তা ও টেকসই কৃষির স্বার্থেই আমাদের এমন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে, যা একই সঙ্গে কৃষক ও পরিবেশবান্ধব। এ ক্ষেত্রে ‘জৈব কৃষি’ অর্থাৎ ‘অর্গানিক অ্যাগ্রিকালচারের’ কোনো বিকল্প নেই। অাপনি চাইলে কিছু( হট-টি-সপ) যে সকল চায়ের দোকানে দৈনিক ১/২ কেজি চা তৈরি করে বিক্রি করে সেখানে একটি বালতী দিয়ে অাশুন তাদের উচ্ছিষ্ট চা বালতিতে ফেলতে বলুন। প্রতি ৪৮ ঘন্টা বা ৭২ ঘন্টা পরে সেটি সংগ্রহ করে নিজেই তৈরি করুন জৈব সার নিজের কৃষি খামারের এমনকি এটি চাইলে অাপনি প্রতি কেজি ২৫/৩০ টাকা মূল্যে বিক্রি করে হতে পারেন একজন উদ্যোক্তা।মাত্র ২০টি বালতি কিনে(১০০x২০)=২০০০/-টাকার মধ্যে পুঁজি খাটিয়ে ২০টি দোকানে রেখে শুরু করে মাসে ২০,০০০/-টাকা থেকে ২৫,০০০/-টাকা ইনকাম করতে পারেন যে কেউ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন