কুকুর মানব না কি অমানবিকতা Taboo ...!
Taboo..!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে ‘Taboo’ অনুষ্ঠান দেখলে হিউম্যান ডগ সম্পর্কে অনেকটা ক্লিয়ার হবেন। সেখানকার একটি এপিসোডে ‘হিউম্যান ডগ’ নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি আছে, ইউটিউবে পাবেন। এটি আধুনিক দুনিয়ায় পুরনো ক্রীতদাস প্রথাও বলা যায়। ইউরোপ-আমেরিকায় এসব দেখা যায়। আপনি মানুষ কিনে তাকে দিয়ে যা ইচ্ছে, তা-ই করাতে পারেন। আধুনিক সভ্যতায় এটাকে ‘সাইকো অসভ্যতা’ও বলা চলে.....!
সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিলের একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। এতে দেখা যায় মানব কুকুর সেজে হাতিরঝিলের রাস্তায় হাঁটছেন এক ব্যক্তি। আর এক নারী তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই নারীর নাম সেঁজুতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িংয়ের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তির নাম টুটুল চৌধুরী।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও অফিস জানিয়েছে, এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন সেঁজুতি ও টুটুল। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও তারা মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) DC Tejgaon - DMP ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।এর আগে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিরঝিলে একজন পুরুষের গলায় দড়ি বেঁধে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক নারী। এ বিষয়ে রবিবার কালের কণ্ঠ অনলাইন ভার্সনে সবিস্তারে হাতিরঝিলে 'মানব কুকুর' ও নেপথ্যের ঘটনা শিরোনা
মে প্রতিবেদন করা হয়। জানা গেছে, ধারণাটি বাংলাদেশে প্রথম হলেও এটি একটি ‘পারফর্মিং আর্ট’।
পশ্চিমা ধারণার এ পারফর্মিং আর্ট প্রথম দেখা যায় ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে প্রকাশ্য রাস্তায়। তখন ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল এ পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন। এ পারফর্মিং আর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে দেখানো হয়; তেমনই এখানে মানুষকে প্রাণী চরিত্রে দেখানো হয়।এ বিষয়ে আর্টটির নারী চরিত্রের সেঁজুতির ভাষ্য, ‘এই ছবিতে একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা আরও ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র দেখায় না। বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে, সেটাই ফুটে উঠেছে। আমরা যে কাজটা করেছি, এই কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই কাজটাকে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিয়েছে সেটাই আমরা দেখতে চেয়েছি।’কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ পারফর্মিং আর্টের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় নেতিবাচকভাবে। সেখানে বলা হচ্ছে, হাতিরঝিলে দেখা গেল ‘মানব কুকুর’ কিংবা আমাদের সমাজে ঢুকে গেল পশ্চিমা নিম্ন প্রকৃতির সংস্কৃতি। অপসংস্কৃতি থেকে দুরে থাকাটাই দেশ ও দশের জন্য উচিত বলে অামি মনে করি।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে ‘Taboo’ অনুষ্ঠান দেখলে হিউম্যান ডগ সম্পর্কে অনেকটা ক্লিয়ার হবেন। সেখানকার একটি এপিসোডে ‘হিউম্যান ডগ’ নিয়ে একটি ডকুমেন্টরি আছে, ইউটিউবে পাবেন। এটি আধুনিক দুনিয়ায় পুরনো ক্রীতদাস প্রথাও বলা যায়। ইউরোপ-আমেরিকায় এসব দেখা যায়। আপনি মানুষ কিনে তাকে দিয়ে যা ইচ্ছে, তা-ই করাতে পারেন। আধুনিক সভ্যতায় এটাকে ‘সাইকো অসভ্যতা’ও বলা চলে.....!
সম্প্রতি রাজধানীর হাতিরঝিলের একটি দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি করে। এতে দেখা যায় মানব কুকুর সেজে হাতিরঝিলের রাস্তায় হাঁটছেন এক ব্যক্তি। আর এক নারী তাকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই নারীর নাম সেঁজুতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেইন্টিং ও ড্রয়িংয়ের শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে থাকা পুরুষ ব্যক্তির নাম টুটুল চৌধুরী।ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও অফিস জানিয়েছে, এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন সেঁজুতি ও টুটুল। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেও তারা মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছেন। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) DC Tejgaon - DMP ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে।এর আগে শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, হাতিরঝিলে একজন পুরুষের গলায় দড়ি বেঁধে তাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে এক নারী। এ বিষয়ে রবিবার কালের কণ্ঠ অনলাইন ভার্সনে সবিস্তারে হাতিরঝিলে 'মানব কুকুর' ও নেপথ্যের ঘটনা শিরোনা
মে প্রতিবেদন করা হয়। জানা গেছে, ধারণাটি বাংলাদেশে প্রথম হলেও এটি একটি ‘পারফর্মিং আর্ট’।
পশ্চিমা ধারণার এ পারফর্মিং আর্ট প্রথম দেখা যায় ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা শহরে প্রকাশ্য রাস্তায়। তখন ভ্যালি এক্সপোর্ট ও পিটার উইবেল এ পারফর্মিং আর্টে অংশ নেন। এ পারফর্মিং আর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে- কার্টুনে যেমন বিভিন্ন প্রাণীকে মানুষের মতো কথা বলা ও আচরণগতভাবে দেখানো হয়; তেমনই এখানে মানুষকে প্রাণী চরিত্রে দেখানো হয়।এ বিষয়ে আর্টটির নারী চরিত্রের সেঁজুতির ভাষ্য, ‘এই ছবিতে একজন নারী একজন পুরুষকে গলায় রশি বেঁধে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের নৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বা আরও ভালো কোনো সামাজিক অবস্থার চিত্র দেখায় না। বরং সমাজ আমাদের ওপর যে সিস্টেম চাপিয়ে দিয়েছে, সেটাই ফুটে উঠেছে। আমরা যে কাজটা করেছি, এই কাজের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি এবং এই কাজটাকে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিয়েছে সেটাই আমরা দেখতে চেয়েছি।’কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ পারফর্মিং আর্টের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয় নেতিবাচকভাবে। সেখানে বলা হচ্ছে, হাতিরঝিলে দেখা গেল ‘মানব কুকুর’ কিংবা আমাদের সমাজে ঢুকে গেল পশ্চিমা নিম্ন প্রকৃতির সংস্কৃতি। অপসংস্কৃতি থেকে দুরে থাকাটাই দেশ ও দশের জন্য উচিত বলে অামি মনে করি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন