ভিটামিন সি সম্পর্কে বেসিক ধারনা.....!
শরিরের যত্নে চাই ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার। তাই অাপনার ভিটামিন সি সম্পর্কে কিছু ধারণা প্রায়জন। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ত্বক, হাড় ও রক্তনালী গঠন করতে এবং সেগুলো ঠিক মতো পরিচালনা করতে সহায়তা করে। এটি সাধারণত ফলমূল ও শাক-সব্জিতে পাওয়া যায়। এছাড়া, প্রায় সকল ঔষধ কোম্পানীতেই এই বিশেষ ভিটামিনটির সাপ্লিমেন্ট উৎপাদন হয় এবং বাজারে সাপ্লাইও দেয়া হয়। তবে, খেতে হয় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে।
ভিটামিন সি কি?
ভিটামিন সি একটি ওয়াটার সল্যুবল বা জল দ্রবণীয় ভিটামিন। এর মানে হচ্ছে এই ভিটামিনটি শরীরে জমে থাকে না। তাই, এটিকে বিভিন্ন রকম খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়। যদিও বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি ও ফল-মূল এই ভিটামিনের বিরাট একটি উৎস, তথাপি এটি ১৯৯৩ সালের আগে জানা ছিল না। অর্থাৎ, চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বিশ্লেষণ করে সর্ব প্রথম ১৯৯৩ সালে এই ভিটামিনটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
ভিটামিন সি এর আরেকটি নাম হল অ্যাস্কোরবিক অ্যাসিড। আবার, মেডিকেল সায়েন্স এটিকে মাঝে মাঝে শুধু অ্যাস্করবেটও বলে থাকে। এটি স্কার্বি চিকিৎসায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্যপ্রাণ। শুধু তাই নয়, শরীরের টিস্যু গঠনে এই ভিটামিনের ব্যাপকতা রয়েছে।
ভিটামিন সি কেন প্রয়োজন?
আমাদের শরীরের ভেতর অনেকগুলো দরকারি ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার জন্যে ভিটামিন সি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, মানব দেহের মাঝে কিছু কোলাজেন, এল-কার্নেটিন ও নিউরোট্রান্সমিটারের ফাংশন ঠিক রাখতে ভিটামিন সি অত্যন্ত প্রয়োজন।
মানব দেহের টিস্যুগুলোর পরস্পর সম্পর্ক স্থাপন বা কাটেক্টিভিটি তৈরির মূল উপাদান হচ্ছে কোলাজেন। প্রতিটি মানুষের শরীরের ১ থেকে ২ পার্সেন্ট মাংশপেশীর টিস্যুই হচ্ছে কোলাজেন। আর কোলাজেন উৎপাদনের জন্যে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ভিটামিন সি।
ভিটামিন সি প্রোটিন মেটাবোলাইজ বা বিপাকীকরণে সহায়তা করে। এমনকি, এই ভিটামিনটির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট অ্যাক্টিভিটি বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
ভিটামিন-সি ইমিউনিটি বুষ্টার হিসেবে কাজ করে। ইমিউনিটি অর্থ হচ্ছে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা। ভিটামিন-সি এর নিচের ৭টি উপকারিতা উল্লেখযোগ্য-
১। এটির শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষমতা দেহে বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদী রোগের আগমন প্রতিহত করে।
২। উচ্চ রক্তচাপের বিরুদ্ধেও এটি বেশ কার্যকর।
৩। কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা রক্ষা করে এটি হৃদরোগ প্রতিরোধেও বেশ সহায়ক।
৪। এটি রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ‘গাউট’ প্রতিরোধ করে।
৫। রক্তে আয়রন স্বল্পতা রোধ করে।
৬। রক্তের লোহিত কণিকার কার্যক্ষমতা বাড়ায়।
৭। স্মরণশক্তি-বৃদ্ধিতে সহায়ক।
সুত্রঃ ইন্টারনেট ঘেটে
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন