মেয়েদের period বা মাসিক হলেই বিবাহ বৈধ
মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হলেও চলবে শুধু হতে হবে ঋতুমতী। তা হলেই সেই মেয়েকে বিয়ে করা যাবে। সংখ্যালঘুদের জোর করে ধর্মান্তরিত এবং অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগে পাকিস্তান যখন জেরবার, ঠিক তখনই এমন মন্তব্য করল সে দেশের একটি আদালত। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আবারো সমালোচনার মুখে পাকিস্তান।
সম্প্রতি একটি মামলায় এমন রায় দিয়েছে পাকিস্তানের সিন্ধ হাইকোর্ট। এবার সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে এসেছেন একটি খ্রিস্টান পরিবার।
সেই পরিবার জানিয়েছে, ওই পরিবারের ১৪ বছরের কিশোরী হুমাকে অপহরণ করে বিয়ে করেছিল অভিযুক্ত আবদুল জব্বর। বিয়ের আগে তাকে ধর্মান্তরিত করা হয়। প্রথমত হুমাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে আর দ্বিতীয়ত সে নাবালিকা, তাই এই বিয়ে আমরা মানছি না। এই দাবিতে সিন্ধ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হুমার মা-বাবা ইউনিস এবং খালা নাগিনা। কিন্তু নাবালিকা হলেও, তার ঋতুচক্র হয়ে গিয়েছে। তাই জব্বরের সঙ্গে হুমার বিয়ে বৈধ। অন্তত শরিয়ত আইনে তেমনই বলা আছে, রায়ে এমন উল্লেখ করেছিল ওই আদালত। তাই এখন ন্যায়-বিচার চেয়ে পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ওই পরিবার।
এদিকে সিন্ধ হাইকোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে হুমার বয়স নির্ধারণ করতে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই সংক্রান্ত শুনানিতে সেই নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি মহম্মদ ইকবাল কালহরো এবং ইরশাদ আলির পর্যবেক্ষণ, শরিয়ত আইন মেনে হুমা কিশোরী হলেও এই বিয়ে বৈধ। যদিও আইনজীবী তাব্বাসুম ইউসুফের দাবি, ‘সিন্ধ বাল্য বিবাহ প্রতিরোধী আইন-২০১৪ মেনে ওই রায় দেওয়া হয়নি। সিন্ধ প্রদেশের হিন্দু ও খ্রিস্টান সংখ্যালঘু কিশোরীদের ধর্মান্তরিত করে বাল্য বিবাহ আটকাতে ওই আইন পাস করা হয়েছিল। কিন্তু হুমার ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।’
সূত্র: এনডিটিভি
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন