ধনী হবার গোপন রহস্য কি....?
ছেলেবেলা থেকেই মাথায় ঘুরত কীভাবে টাকা কামানো আর সঞ্চয় করা যায়। পারিবারিক অবস্থা অবশ্য খুব বেশি খারাপ ছিল না। অভিজাত পরিবারের সন্তান হয়েও নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটা বাসনা ছোটবেলা থেকেই ছিল। সেজন্যই কিশোর বাফেট টাকা আয়ের জন্য বাড়ি বাড়ি চুইংগাম, কোল্ড ড্রিংকস এমনকি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনও বিক্রি শুরু করেন। আরও টাকা আয়ের জন্য দাদার মুদি দোকানে কাজ শুরু করেন তিনি। একদিকে দোকানে কাজ অন্যদিকে পত্রিকার হকারি, গলফ বল বিক্রি। সেই মুদি দোকানে কাজ করা ছেলেটিই আজ পৃথিবীর অন্যতম ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট। কিন্তু তার এই সফলতার পেছনে গোপন রহস্য কী?
পাঠকদের জন্য তার সফলতার ৫টি সূত্র তুলে ধরা হলো-
এক. মুনাফা পুনরায় বিনিয়োগ করুন: শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে যখন আপনি প্রথম মুনাফার মুখ দেখলেন, তখন আপনার ব্যয় করার লোভ আসতেই পারে। কিন্তু ওয়ারেন বাফেট বলছেন, এই লোভ সংবরণ করুন। এর পরিবর্তে মুনাফার টাকা আবার বিনিয়োগ করুন। এটি তিনি শৈশবেই শিখেছেন।
দুই. সবার থেকে একটু ব্যতিক্রমী হোন : আপনি কীভাবে বিনিয়োগ করছেন- তা নিয়ে অনেকজন অনেক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। কিন্তু আপনি তাদের সিদ্ধান্তকে ভিত্তি হিসেবে নেবেন না। একটু ব্যতিক্রমী হোন। নিজের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিন।
তিন. দক্ষদের সঙ্গে সময় কাটান : যারা আপনার চেয়ে দক্ষ, তাদের সঙ্গ দিন। আপনার সহযোগীদের ব্যবহার যেন আপনার চেয়ে ভালো হয় এবং তা যেন আপনাকে প্রভাবিত করে। ব্যবসার ক্ষেত্রে এই হলো ওয়ারেন বাফেটের মূলমন্ত্র।
বাফেট মনে করেন, মানুষের সততা খুব বড় গুণ। সবার মধ্যে এই গুণ প্রত্যাশা করা ঠিক হবে না। অতএব, সেই মানুষগুলোকেই আপনার আশপাশে রাখুন, যাঁরা ব্যবসার ক্ষেত্রে সৎ।
চার. আপনি কাকে ‘নায়ক’ মনে করেন? আপনি আপনার জীবনে কাকে নায়ক মনে করেন- সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ারেন বাফেট বলেন, ‘আমাকে বলো, তোমার চোখে ‘নায়ক’কে। আমি বলে দেব, তোমার ভবিষ্যৎ কী।’ তার মানে আপনি কাকে আদর্শ বলে মানেন, সেটাই আপনার ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে।
পাঁচ. পড়ার বিকল্প নেই: জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে পড়ার বিকল্প নেই। অনেক অনেক পড়তে হবে। এই ধনকুবের ব্যবসায়ী অবসর সময়ের ৮০ ভাগ বই পড়ার পেছনে ব্যয় করেন। বিজনেস অ্যাডভেঞ্চার্স, দ্য এসেস অব ওয়ারেন বাফেট এবং দ্য ইন্টেলিজেন্ট ইনভেস্টর—তরুণ উদ্যোক্তাদের তিনি এই বইগুলো পড়ার পরামর্শ দেন।
সংবাদসূত্র: অনলাইন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন