করোনাভাইরাস ঠেকাতে ড্রোন দিয়ে...!
করোনাভাইরাস ঠেকাতে ‘কথা বলতে পারা’ ড্রোন ব্যবহার শুরু...!
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে চীন। এবার জানা গেছে, ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কথা বলতে সক্ষম ড্রোন ব্যবহার করছে দেশটি। যেসব নাগরিক মাস্ক পরেননি এবং নিষেধাজ্ঞা না মেনে ঘরের বাইরে বেরিয়েছেন তাকে বকা দিয়ে সতর্ক করবে এসব ড্রোন।
নাগরিকদের সতর্ক করে এসব ড্রোন বলছে, 'তাড়াতাড়ি মাস্ক পরো।' হ্যাঁ তোমাকেই বলছি, 'নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাইরে বের হয়েছে কেন?' করোনাভাইরাস ঠেকানোর অংশ হিসেবে ওষুধ ছিটিয়ে দিতেও চীন ড্রোন ব্যবহার করছে।
এরমধ্যে এক সপ্তাহেই হাসপাতাল নির্মাণ করে সারাবিশ্বকে চমকে দিয়েছিল চীন। এক সপ্তাহে ওই হাসপাতাল নির্মাণের পর আরও কয়েকটি হাসপাতাল নির্মাণ করছেন চীন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০৪ জনের। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
সত্যিই কি মাস্ক পরে করোনাভাইরাস ঠেকানো যায়? এমন প্রশ্নও রয়েছে অনেকের মুখে। বিশ্বের বহু দেশেই সংক্রমণ ঠেকানোর একটি জনপ্রিয় ব্যবস্থা হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার। বিশেষ করে চীনে, যেখান থেকে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা, সেখানেও মানুষ বায়ুর দূষণের হাত থেকে বাঁচতে হরহামেশা নাক আর মুখ ঢাকা মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়।
অবশ্য বায়ুবাহিত ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক কতটা কার্যকর সে ব্যাপারে যথেষ্টই সংশয়ে আছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞরা, যাদেরকে বলা হয় ভাইরোলজিস্ট। তবে হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহার করে সুফল পাওয়ার কিছু নজির আছে।
আঠারো শতকে প্রথম সার্জিক্যাল মাস্কের চল শুরু হয়। কিন্তু ১৯১৯ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারির আগ পর্যন্ত এই মাস্ক আমজনতার হাতে এসে পৌঁছায়নি।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, সিএনএন, বিবিসি বাংলা
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন