পোস্টগুলি

বেগুনের যত গুন.... !

ছবি
বেগুন অামাদের দেশে বেস জনপ্রিয়  সবজি, অন্য সকল সবজির থেকে বেগুনের কদর একটু বেশী। আসুন, জেনে নিই, বেগুনের কত গুণ-- ১.বেগুন যদি পোড়া হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা। গুণে ভরা বেগুনপোড়া। পান্তাভাতের সাথে বেগুনপোড়া খেলে দারুন উপকার। ১০০ গ্রাম বেগুনে রয়েছে-০.৮ গ্রাম খনিজ, ১.৩ গ্রাম আঁশ, ১.৮ গ্রাম আমিষ, ২.২ গ্রাম শর্করা, ২৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন, ০.১২ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-১, ০.০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি-2, এবং ৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি। ২.কচি বেগুন পুড়িয়ে তাতে একটু গুড় মিশিয়ে খালি পেটে খেলে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ কমতে পারে, লিভারও ভাল রাখে। ৩.একটা বেগুন পুড়িয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে সন্ধ্যার সময় খেলে রাতে ভালো ঘুম হবে আপনার, সন্দেহ নেই। ৪.প্রতিদিন বেগুনপোড়ায় যদি একটু হিং ও রসুন মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে গ্যাসের সমস্যা কমতে পারে। ৫. উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত সবজি হওয়ায় রক্তে সুগার ও গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে বেগুন। ৬. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় বেগুন। তাছাড়া, রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় বেগুন। ৭.বেগুনে বিদ্যমান পটাশিয়াম, ভিটামিন-ই ও ভিটামিন-কে শরীর...

লেবুর খোসার যত গুন........

ছবি
লেবু খেলে যতটা শারীরিক উপকার পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি পাওয়া যায় লেবুর খোসাটা খেলে। আসলে বেশ কিছু পরীক্ষার পর এ কথা পানির মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে লেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি রয়েছে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন- রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটে বেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে দেহের রোগ প্রতিরোধি ব্যবস্থা দারুন শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়। কিডনি স্টোনের মতো রোগ দূরে থাকে গবেষণায় এমনটা দেখা গেছে, নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে সিট্রিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যার প্রভাবে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে থাকে না বললেই চলে। তাই এমন ধরনের রোগের খপ্পরে পরতে না চাইলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেতে ভুলবেন না যেন! কনস্টিপেশনের মতো ...

Sex কোন ধরনের খাবার আমাদের সেক্স বাড়াতে সক্ষম?

ছবি
সাধারণত খাবারে ভিটামিন এবং মিনারেলের ভারসাম্য ঠিক থাকলে শরীরে এন্ড্রোক্রাইন সিস্টেম সক্রিয় থাকে। আর তা আপনার শরীরে এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরনের তৈরি হওয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন সেক্সের ইচ্ছা এবং পারফরমেন্সের জন্য জরুরি। আপনি যৌন মিলনের মুডে আছেন কি-না তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করে আপনার খাদ্য। আসুন জেনে নিই এমন কয়েকটি দৈনন্দিন খাদ্য সম্পর্কে যা আপনার শরীরে সেক্স পাওয়ার বাড়ায় বহুগুণ। দুধ : বেশি পরিমাণ প্রাণিজ-ফ্যাট আছে এ ধরনের প্রাকৃতিক খাদ্য আপনার যৌনজীবনের উন্নতি ঘটায়। যেমন, খাঁটি দুধ, দুধের সর, মাখন ইত্যাদি। বেশিরভাগ মানুষই ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে চায়। কিন্তু আপনি যদি শরীরে সেক্স হরমোন তৈরি হওয়ার পরিমাণ বাড়াতে চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট জাতীয় খাবারের দরকার। তবে সগুলিকে হতে হবে প্রাকৃতিক এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। ঝিনুক : আপনার যৌনজীবন আনন্দময় করে তুলতে ঝিনুক খাদ্য হিসেবে খুবই কার্যকরী। ঝিনুকে খুব বেশি পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক শুক্রাণুর সংখ্যা বৃদ্ধি করে এবং লিবিডো বা যৌন-ইচ্ছা বাড়ায়। ঝিনুক কাঁচা বা রান্না করে যে অবস্থাতেই খাওয়া হোক, ঝিনুক য...

মুলার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

ছবি
মুলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ শীতকালীন সবজি, যা দেহের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। মুলা সাধারণত সাদা, লাল ও হালকা গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। পুষ্টিগুণ: ১০০ গ্রাম মুলা থেকে ১৬ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, ১.৬ গ্রাম খাদ্যআঁশ, ২৫ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ১৪.৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২৩৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ২৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.২৮ মিলিগ্রাম জিংক এবং ১০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যতথ্য:  ১)মুলার ক্যারোটিনয়েডস চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে এবং ওরাল, পাকস্থলী, বৃহদন্ত, কিডনী এবং কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। ২)মুলার ফাইটোস্টেরলস হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ৩)জন্ডিস আক্রান্ত হলে মুলা রক্তের বিলিরুবিনের কমিয়ে তাকে একটি গ্রহনযোগ্য মাত্রায় নিয়ে আসে যা কিনা জন্ডিসের চিকিৎসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। ৪)মুলা মানুষের ক্ষুধাকে নিবৃত্ত করে এবং নকম ক্যালরিযুক্ত সবজি হওয়ায় দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। ৫)অর্শের প্রধান কারন হচ্ছে কোষ্ঠকাঠিন্য। প্রচুর আঁশ সমৃদ্ধ সব্জী মূলা খাদ্যের পরিপাক ক্রিয়াকে গতিশীল করে হজমে সহায়তা করে, যা অর্শ রোগের আশংকাকে নির্মুল করে দেয়। ৬)রক্ত পরিষ্...

পালংশাক

ছবি
পালংশাক: শীতকালীন জনপ্রিয় শাক হিসেবে অতিপরিচিত পালংশাক। এটি অনেকেরই খুব পছন্দের। সুলভে পাওয়া সুস্বাদু এই শাকের রয়েছে নানা ধরণের কঠিন রোগ সারানোর কার্যকরী গুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম পালং শাকে আছে ২৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, কার্বোহাইট্রেড ৩.৬ গ্রাম, আঁশ ৪.২ গ্রাম, চিনি ০.৪ গ্রাম, প্রোটিন ২.২ গ্রাম, ভিটামিন ‘এ’ ৪৬৯ মাইক্রোগ্রাম-৯৪০০১৪ ইউনিট, বিটাকেরোটিন, ৫৬২৬ মাইক্রোগ্রাম লিউটিন, ফোলেট (বি৯) ১৯৬ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন সি ২৮ মি. গ্রাম, ভিটামিন কে ৪৬৩ মাইক্রোগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৯৯ মি. গ্রাম, আয়রন ২.৭ মি. গ্রাম। আজ জেনে নেব হাতের কাছে পাওয়া পালং শাকের অসাধারণ পুষ্টিগুণ সম্পর্কে- ১. পালং শাকে থাকা উচ্চ মাত্রার ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে দারুণভাবে। ২. এতে থাকা বেশি মাত্রার ভিটামিন এ, লিম্ফোসাইট বা রক্তের শ্বেত কণিকার প্রয়োজনীয় মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে। বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করতেও অতুলনীয়। ৩. পালং শাকে রয়েছে ১০টিরও বেশি ভিন্ন ধরনের ফ্ল্যাভোনয়েড যা ভয়ানক সব রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। ৪. সাধারণত সবুজ শাক সবজিতে লুটেনসহ কিছু ...

ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সবজি

ছবি
ফুলকপি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর সবজিগুলোর একটি। ফুলকপিতে পানি থাকে ৮৫% , অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। কম ক্যালোরির এই সবজিতে ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্য ফাইটোকেমিক্যালও থাকে। এই বহুমুখী গুণ সম্পন্ন সবজিটি কাঁচা, সেদ্ধ বা রান্না করেও খাওয়া যায়। চলুন জেনে নিই শীতের সবজি ফুলকপির আরও পুষ্টিগুণ ও চমৎকার কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতার বিষয়ে। ক্যান্সার প্রতিরোধ ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে থাকা সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়। ফুলকপির সাথে হলুদ যোগ করে গ্রহণ করলে প্রোস্টেট ক্যান্সার নিরাময়ে ও প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এছাড়া পাকস্হলী, প্রোষ্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি। মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটায় ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ফুলকপিতে ভিটামিন বি রয়েছে যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এ সবজি একটি ভালো খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ফুলকপি নবজাতকের মস্তিষ্কের উন...

গোসল করার আগে নাকি পরে তেল মাখবেন .?

ছবি
ডা. আহমেদ আলী: আগে আমি একটি ভুল ধারণা ভাঙিয়ে দিই। আমাদের দেশে নানি-দাদিরা হয়তো গোসলের আগে ভালো করে গায়ে তেল মাখিয়ে দিয়ে ভরিয়ে দিতেন। তারপর গোসল করাতেন। আমাদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি ভুল। কারণ আমরা গোসল করি শরীরকে পরিস্কার করার জন্য। আর তেল দিই শরীরকে নরম রাখার জন্য। গোসলের আগে তেল মেখে গোসল করলে দুটোর কোনোটাই হয় না। তেলও ধুয়ে যায়। আর গোসলের মাধ্যমে ত্বকের থেকে ময়লা পরিস্কার হয় না। এ জন্য তেল বা লোশন যেটাই লাগাই আমরা সেটি লাগাতে হবে গোসলের পরে। শরীর ভালো করে পরিস্কার করে তারপরে লাগালে সেটা সারা দিন নরম থাকবে। ত্বক মসৃণ ও নরম থাকবে। তাহলে তেলের কাজও হলো, পরিস্কারের কাজও হলো। দুটো কাজই হলো। কাজেই এই কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ যে তেল লোশন লাগাতে হবে গোসলের পরে, আগে নয়। দ্বিতীয় হলো, আপনি কী লাগাবেন? শরীর নরম রাখে এমন বেশ কিছু জিনিস রয়েছে। এর মধ্যে তেল একটি। আমাদের দেশে আমরা ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি সরিষার তেল বেশি ব্যবহৃত হয়। নারকেল তেলও কেউ কেউ ব্যবহার করেন। তবে ত্বকের জন্য সরিষার তেল আসলে ভালো নয়। এই তেল ব্যবহার করার একটি কারণ ছিল, আসলে আমাদের দেশে গ্রামগঞ্জে সরিষার তেল ...