পোস্টগুলি

লিবারের চর্বির সমাধান কি ...?

ছবি
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক কাপ হালকা গরম পানিতে এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে গেছে।এই নিয়মে পেটের চর্বিরজন্যও কার্যযকরী ।

কদবেল এর পুষ্টিগুন....

ছবি
কদবেল দেশিও জনপ্রিয় একটি ফল টক স্বাদের এ ফলের খাদ্যশক্তি পুষ্টিকর গুনাগুন কাঁঠাল ও পেয়ারার সমান। আমিষের পরিমাণ একটি আমের চেয়ে সাড়ে ৩ গুণ, কাঁঠালের দ্বিগুণ, লিচুর চেয়ে ৩ গুণ, আমলকী ও আনারসের চেয়ে প্রায় ৪ গুণ বেশি। শক্ত খোলসে আবৃত ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মৌসুমী এ ফল মূলত স্বাদের জন্যই খাওয়া হয়। তবে পুষ্টিগুণ বিচারে কদবেল সত্যিই অনন্য। আসুন জেনে নেয়া যাক কদবেলের সাতটি গুণাগুন। রক্ত পরিষ্কার করে- কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়। পেট ভালো রাখে- কদবেলে রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান, যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে- কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়। কিডনির সমস্যা দূর করে- কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা ব...

টমেটোর উপকারী জত গুন

ছবি
টমেটো আমাদের দেশের একটি প্রধান শীতকালীন সবজি, তবে গ্রীষ্মকালেও টমেটো সাফল্যের সাথে চাষ করা যায় এবং পাওয়া যায়। সবজি এবং সালাদ হিসেবে ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ টমেটোর বেশ চাহিদা সারাদেশে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীদের জন্য এটি একটি বিশেষ অর্থকরী সবজি হিসেবে চলে আসছে। সবজি হিসাবে এর ব্যবহার ছাড়াও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পেও এর ব্যবহার সুপরিচিত। দেশের বাজারের চাহিদা মিটিয়ে টমেটো রপ্তানিরও প্রচুর অর্থ উপার্জন করে আসছে। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং খাবারের সাথে টমেটো সসও বেশ পরিচিত হয়ে আসছে। সর্বত্রই এটি জনপ্রিয় কারন এর আকর্ষণীয়তা, ভাল স্বাদ, উচ্চ পুষ্টিমান এবং বহুবিধ উপায়ে ব্যবহারযোগ্যতার ফলে। এ জনপ্রিয় সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-এ এবং ভিটামিন-সি রয়েছে। আর এই টমেটোতে লাইকোপেন নামে বিশেষ উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি সপ্তাহে ৭-১০ কাপ টমেটো খেলে অনেকটা হৃদরোগ প্রতিরোধ করা যায়। আর যদি পরিমিত তেল দিয়ে রান্না করে টমেটো খাওয়া হয় তাহলে উপক...

ডুমুর এর উপকারী গুনাগুন কি...?

ছবি
ডুমুর এক ধরনের নরম ও মিষ্টিজাতীয় ফল। ডুমুরের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। বাংলাদেশে যেটি পাওয়া যায়, সেটি কাকডুমুর নামে পরিচিত। ফল আকারে বেশ ছোট এবং খাওয়ার অযোগ্য। এটি মূলত পাখিরাই খেয়ে থাকে। তবে বেশ কিছু অঞ্চলে এ ফল তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। যে ডুমুর ফল হিসেবে খাওয়া হয় তা মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যায়। এটি আকারে বেশ বড় এবং মিষ্টি। এটি ফল হিসেবে খুবই জনপ্রিয়। ডুমুর ফল হিসেবে অনন্য। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্যশক্তি, ভিটামিন এ, বি, শর্করা, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। ডুমুরের রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে : ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। নিয়মিত ফল ও সবজি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলেও আমরা প্রতিনিয়ত নানা ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার খেয়ে থাকি। ওজন কমাতে সাহায্য করে : খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ ডুমুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনার খাদ্যতালিকায় ডুমুর রাখুন। ডুমুরে বিদ্যমান পেকটিন রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, মেনোপজ-পরবর্তী পর্যায়ে স্তন ক্যান্সার ...

গ্যাসটিক বা এসিডিটি কি...?

ছবি
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক নামে কোনো রোগ নেই, গ্যাস্ট্রিক নামে যে অঙ্গটি আছে তা বাংলায় পাকস্থলী নামে পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক নামে রোগ না থাকলেও যেসব সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন সেগুলোও কিন্তু অসুখ। এর কোনোটি স্রেফ গ্যাস হওয়া। আবার কোনোটি এসিডিটি হওয়া। গ্যাস হওয়া আমেরিকান রিসার্চ সেন্টার অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির মতে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশই গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে। মনে রাখতে হবে, খাবার পর অন্ত্রে (ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্র) গ্যাস তৈরি হওয়া স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ২৪ ঘণ্টায় অন্তত এক থেকে চার পাউন্ট গ্যাস অন্ত্রে তৈরি হয়। এই গ্যাস ২৪ ঘণ্টায় সাধারণত ১৪ বারে ঢেঁকুর হিসেবে বা পায়ুপথে বের হয়। আমরা যেসব খাবার খাই তা হজম হয়। এই হজম হওয়ার প্রক্রিয়াতেই উপজাত বা বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে গ্যাস উৎপন্ন হয়। আবার বৃহদন্ত্রে (যেখানে হজম হওয়া খাবার মল হিসেবে জমা থাকে) থাকে অনেক ব্যাকটেরিয়া। এগুলোও গ্যাস তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যে গ্যাসগুলো অন্ত্রে তৈরি হয় তার মধ্যে আছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন ও মিথেন গ্যাস। কখনো কখনো সালফাইড জাতীয় গ্যাসও তৈরি হয়। কোনো কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে গ্যাস ...

ক্যলসিয়াম হাড় ক্ষয় রোধের উপায় কি....?

ছবি
হাড় ক্ষয় রোধ করতে বা হাড় মজবুত করতে ওষুধের দোকান থেকে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডির কৌটা কিনে খাওয়াটা অনেকের কাছেই এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু আসলে বয়স হলেই কি ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি বড়ি খাওয়া উচিত? গড়পড়তা একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৬০০ ইউনিট ভিটামিন ডি হলে চলে। রজঃনিবৃত্তির (মেনোপজ) পর নারীদের এবং সত্তরোর্ধ্ব পুরুষদের দরকার হয় একটু বেশি ক্যালসিয়াম—১২০০ মিলিগ্রাম। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েরও লাগে একটু বেশি। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এমনকি উন্নত পশ্চিমা বিশ্বেও নারীরা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম কম ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে থাকেন। জেনে রাখা ভালো যে ওষুধপত্র ছাড়া কীভাবে আমরা এগুলো বেশি করে পেতে পারি। দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারে ক্যালসিয়াম আছে। এক কাপ ননিবিহীন দুধ বা এক কাপ সয়া দুধে পাবেন ৩০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। এক কাপ টকদইয়ে থাকে আরও বেশি—৪০০ মিলিগ্রামের মতো। আধা বাটি রান্না করা সবুজ পাতাঅলা শাক খেলে ১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম খাওয়া হবে। এক গ্লাস কমলার রসে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিগ্রাম। এ ছাড়া ক্যালসিয়াম আছে কাঁটাযুক্ত মাছ, ব্রকলি ইত...

মোজার গন্ধর কি করনিয়...?

ছবি
মোজা পরার আগে এর মধ্যে যে কোনও একটি উপায় অবলম্বণ করলেই পায়ে ঘামের সমস্যা কমবে। জেনে নিন সেসব উপায়। লবণ পানি: মোজা পায়ে দিলেই পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল যারা, তাদের জন্য এই উপায় সেরা বিকল্প। বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে ঈষদুষ্ণ লবণ পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট ১৫। ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম লবণ। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে লবণ পানির জুড়ি নেই। বেকিং সোডা: এর অ্যাসিটিক উপাদান পায়ে ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে দেয় না। ঘামকেও ঠেকিয়ে রাখে। তাই মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে শুকনো করে মুছে নিন। এবার সামান্য বেকিং সোডা নিয়ে ঘষে নিন পায়ের পাতায়। জুতার ভিতরেও খানিকটা বেকিং সোডা ছড়িয়ে নিতে পারেন। তবে এর সঙ্গে মেনে চলুন কিছু অভ্যাস। প্রতিদিন ব্যবহার করুন পরিষ্কার মোজা। একই মোজা পরপর দু’দিন ব্যবহারের বদভ্যাস তাড়ান। এতেও দুর্গন্ধ দূর না হলে জুতা বদলান। অনেক সময় কমদামি জুতার চামড়া থেকেও দুর্গন্ধ ছড়ায় পায়ে।