পোস্টগুলি

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘরোয়া চিকিৎসা.....

ছবি
ডেঙ্গু থেকে সুস্থ হতে খুবই কার্যকর হতে পারে পেঁপে পাতার রস। এতে আছে কাইমোপ্যাপিন ও প্যাপাইন রয়েছে যা রক্তের প্লেটলেটের সংখ্যা ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডেঙ্গুর সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। এ নিয়ে একাধিক গবেষণায় হয়েছে যেখানে এটি পরিষ্কার ভাবে প্রমাণিতও হয়েছে। যেভাবে রস তৈরি করবেন পেঁপের পাতার রস করতে প্রথমে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে, পরিষ্কার পাটায় থেঁতলে নিন এই পাতা। এবার রস ছেঁকে নিয়ে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। যেভাবে খাবেনঃ-- পেঁপে পাতার রস ডেঙ্গু রোগীকে প্রতিদিন তিন বেলা তিন কাপ করে দিন। রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠবে। তবে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শও জরুরি ও তা নিতে হবে অবশ্যই।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়া জরুরী...!

ছবি
শরীরে কোন কোন লক্ষণ দেখলে আপনি বুঝবেন যে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন এবং সে ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কী হতে পারে, তা জেনে নিন। বিবিসি বাংলায় প্রকাশ করেছে এই প্রতিবেদন। আসুন আমরাও জেনে নেই ডেঙ্গুতে আমাদের কী কী করণীয়। ১. ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কী? সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১-১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর টানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেওয়ার পর আবারও জ্বর আসতে পারে। এর সঙ্গে শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র‍্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে। ২. জ্বর হলেই কি চিন্তিত হবেন? এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সে জন্য জ্বর হলে অবহেলা করা উচিত নয়। জ্বরে আক্রান্ত হলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। ‘ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তারা জ্বরকে অবহেলা করেছেন। জ্বরের সঙ্গে যদি সর্দি-কাশি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া কিংবা অন্য কোনো বিষয় জড়িত থাকে, তাহলে সেটি ডেঙ্গু না হয়ে অন্য কিছু হতে পারে। তবে জ্বর হলেই সচেতন থাকতে হবে।’ ৩. বিশ্রামে থাকতে হবে ‘জ্বর হলে বিশ্রামে থাকতে হবে।’ তিনি পরা...

অর্জুনের রয়েছে ভেষজ ঔষধের অনেক গুন....

ছবি
অর্জুন গাছের সম্পর্কে অামরা সবাই কমবেশি জানি  পরিণত বয়সে একটি গাছ ১০-১৫ মিটার লম্বা হয়ে থাকে। গোড়ায় অধিমূল আছে। গাছের কাণ্ড একধিক ভাঁজ বা স্তর যুক্ত। বাকল পাতলা স্তরে বিভক্ত। পাতা লম্বাটে ৭.৫ - মে সে. মি. ফুল হলুদাভ ও স্পাইক সোজা এবং ফুলের পাপড়ি নাই।অর্জুনের ফল লম্বাটে ৫টি ভাজ ও পাখায় বিভক্ত থাকে। অর্জনের উপকারিতাঃ হৃদরোগে অর্জুনঃ-অর্জুনের প্রধান ব্যবহার হৃদরোগে। অর্জুনছালের রস কো-এনজাইম কিউ-১০ সমৃদ্ধ। এইকো-এনজাইম কিউ-১০ হৃদরোগ এবং হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধ করে। বাকলের রস ব্লাডপ্রেসার এবং কোলেস্টেরল লেভেল কমায়।অর্জুনের ছাল বেটে রস খেলে হৃদপিন্ডেরপেশি শক্তিশালী হয় এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষমতাবাড়ে। বাকলের ঘন রস দুধের সাথে মিশিয়েপ্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেতে হবে।বাকলে রস না থাকলে শুকনো বাকলের গুঁড়া১-২ গ্রাম দুধের সাথে মিশিয়ে সকালে খালিপেটে খেতে হবে। রক্ত নিম্নচাপ ও রক্তক্ষরন কমাতেঃ- রক্তে নিম্ন চাপ থাকরে অর্জুনের ছালের রস সেবনে উপকার হয়। রক্তক্ষরণে ৫-৬গ্রাম ছাল রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে ছেকে জল খেলে আরোগ্য হয়। ক্ষয়কাশেঃ- অর্জুনের ছালের ‍গুড়াবাসক পাতার রসে ভিজিয়ে ঘি মধু মি...

বাথুয়াশাক এর যত গুণ.......

ছবি
বাথুয়াশাক একটি গ্রামের মানুষের অতি  পরিচিত শাক এটি সাধারণত গ্রামে বেশি দেখাযায়। প্রচলিত শাকের মধ্যে বাথুয়া শাক অামাদের বাংলাদেশের  একটি শাক এটি মূলত গম, আলু ক্ষেতে আগাছা হিসেবে প্রচুর জন্মে থাকে। এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে জমি কিংবা পুকুরের ধারে এই প্রচুর দেখতে পাওয়া যায়।  বাথুয়া শাক মূলত শীতকালে এটি অনেক বেশি দেখতে পাওয়া যায়।  খুবই সহজলভ্য এবং সাধারণ এই শাক কিন্তু অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর । এছাড়াও এর উপকারীতাও অনেক। আসুন জেনে নিই বথুয়া শাকের পুষ্টিগুণ এবং উপকারীতা সম্পর্কে। বাথুয়া শাকের পুষ্টিগুণঃ জলীয় অংশ ৮৯.৬ গ্রাম, বিভিন্ন খনিজ উপাদান ২.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৮ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩০ কিলোক্যালরি, প্রোটিন ৩.৭ গ্রাম, চর্বি  ০.৪ গ্রাম, শর্করা ২.৯ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম, আয়রন   ৪.২ মিলিয়াম, ভিটামিন এ ১৭৪০ মাইক্রাগ্রাম, ভিটামিন বি১ ০.০১ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি২  ০.১৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৩৫ মিলিগ্রাম। এছাড়াও এতে আছে থায়ামিন, রিবোফ্ল্যাভিন, নিয়াসিনের মত উপকারী সব উপাদান। যা আমদের শরীরের বিভিন্ন উপকারে লাগে। উপকারীতাঃ ১। বথুয়া শাকে থাকা প...

পাটশাক এর পুষ্টি গুন বা উপকারীতা কি....?

ছবি
অামাদের দেশে শাক হিসেবে বেশ কদর অাছে পাট শাকের। গ্রামবাংলার জনপ্রিয় এবং মুখরোচক খাদ্য পাটশাক। অামাদের দেশে অতিপ্রাচীন কাল থেকে মানুষ পাটপাতাকে শাক হিসেবে খেয়ে অাসছে, যদিও এর অাছে অনেক পুষ্টি গুন। চলুন দেখাযাক পাটশাক এর  উপকারিতা সম্পর্কে বেসিক ধারনা। পাটশাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম এবং ভিটামিন সি, ই, কে, বি- ৬ এবং নিয়াসিন রয়েছে। এছাড়া পাটশাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিন এবং খাদ্যআঁশ। প্রতি ১০০ গ্রাম পাটশাকে রয়েছে খাদ্যশক্তি  ৭৩ কিলোক্যালরি, আমিষ ৩.৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৯৮ মিলিগ্রাম, লোহা ১১ মিলিগ্রাম ও ক্যারোটিন ৬৪০০ (আইইউ)। এসব পুষ্টি উপাদান রোগবালাই থেকে দূরে রাখে। এবার জেনে নেই পাটশাক আমাদের কি কি উপকার করে : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় পাটশাকের ভিটামিন এ, ই এবং সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন সি ও ক্যারোটিন মুখের ঘা দূর করতে সাহায্য করে। তাছাড়া ভিটামিন-সি রক্তের শ্বেত কনিকা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিন-এ, ভিটামিন ই চোখ, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ...

হিজাব পরিহিত কুস্তিগীর....!

ছবি
মানুষ নিজের পরিচয় হয় জনপ্রিয় অনালোচিত বা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু তেমনি একজন ডায়ানাই পৃথিবীর সর্বপ্রথম হিজাব পরিহিত কুস্তিগীর। চলতি বছরের ৬ জুলাই অনুষ্ঠিত ‘মালয়েশিয়া প্রো রেসলিং’ প্রতিযোগিতায় তিনিই প্রথম মহিলা ‘রেসেলকন চ্যাম্পিয়ন’। ‘রেসেলকন চ্যাম্পিয়ন’ খেতাবটি এতদিন শুধুমাত্র পুরুষ কুস্তিগীরদের ভাগ্যেই জুটত। কিন্তু ডায়ানা যে ফিনিক্স। কোনো বিপদই টলাতে পারেনি তাকে। সিদ্ধান্তে অবিচল, লড়াকু মেয়েটি স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ছিনিয়ে নিয়েছেন মহিলাদের ব্রাত্য এই খেতাব। মালয়েশিয়ার এক মুসলমান পরিবারে জন্ম হয় ডায়ানার। ছোটবেলা থেকেই ভিডিও গেমের দারুণ ভক্ত ছিলেন ডায়ানা। আর এই ভিডিও গেম প্রীতিই তাকে কুস্তির দুনিয়ায় পা রাখতে উদ্বুদ্ধ করে। মাত্র তিন বছর হয়েছে কুস্তির জগতে পা রেখেছেন তিনি। বয়সটাও বেশ কম। তবুও এই বয়সেই ডায়ানার সাড়া জাগানো পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে অনেকেরই। কেরিয়ারের প্রথম দিকে মুখে ‘মাস্ক’ বা মুখোশ পরে ‘রেসলিং ম্যাট’ এ ঢুকতেন তিনি। কিন্তু ২০১৮ থেকেই মাথায় হিজাব পরে ‘রিং’-এ প্রবেশ করতে শুরু করেন ডায়ানা। ডায়ানার কথায়, মাথায় হিজাব পরে রিং-এ নামা নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখ...

বুনো ফুল তিত -বেগুন...

ছবি
বুনোফুল রাস্তায় বনে জঙ্গলে দেখা যায় তিত বেগুন।  এটির আদি নিবাস পূর্ব ব্রাজিল, কিন্তু অন্য গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে   যদিও এটি কোথাও কোথাও  আগাছা হিসেবে বিবেচিত।বরিশাল, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, চিটাগাং, রংপুর  সহ সারাদেশে বিস্তৃত এলাকায় তিত বেগুন দেখামিলে।এটি দক্ষিণ আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পাওয়া যায়। এছাড়াও উত্তর আমেরিকা ও কানাডার মহা সমভূমিতে পাওয়া যায়। প্রচুর কাঁটাযুক্ত বেগুন জাতীয় গুল্ম। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র দেখা যায়। রাস্তা, রেল লাইনের পাশে, গ্রামীণ মেঠো পথের ধারে এই উদ্ভিদ প্রচুর পরিমানে দেখা যায়। তিত বেগুন একটি অবহেলিত উদ্ভিদ। এর কোন চাষ করা হয় না তবুও এটি সচরাচর পাওয়া যায়। ছোট এই কাঁটাযুক্ত গাছ টির রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য গুনাগুন। পাতা হালকা সবুজ। তিতবেগুন গাছ সাধারণত ১-২ মিটার উঁচু হয়। ফুল হালকা বেগুনি ও হালকা হলুদ ফল টমেটুর মত। তবে বেশ ছোট হয়। তিতবেগুন গাছের ঔষধি গুনাগুনঃ- তিতবেগুন গাছের পাতা, বীজ, ফুল, কাণ্ড শিকড় সবই ঔষধি গুনে ভরপুর। ব্যবহার: ১। সাপে কাটা রোগীকে ৮/১০ বিচি মুখে দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩ বার খাওয়ানো হয়। ২। হজম ...