কি করে বুঝবেন হৃদরোগে অাক্রান্ত হলেন কিনা... ? হৃদরোগের লক্ষন কি..? হৃদরোগ কি...?


হৃৎপিন্ড মানব দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। হৃদরোগের ঝুঁকির ব্যাপারটি নির্ভর করে অাপনি কীভাবে জীবনযাপন করেন তার ওপর।অতিরিক্ত ধূমপন, শুয়ে -বসে সময় কাটানো, শরীর চর্চাহীন   জীবন এবং চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহনের কারনে শরীরে চর্বি জমা হয়ে ধমনিগুল সরু হতে থাকে। হৃৎপিন্ডের  রক্ত নালিতে রক্ত চলাচলের পথ বা ধমনির ভিতর রক্ত প্রবেশের পথ অাংশিক    বা   পুরোপুরি বন্ধ  হয়ে  হৃৎপিন্ডকে অক্সিজেন নিতে ব্যর্থ হলেই হলেই ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক।


হৃদরোগের রিস্ক ফ্যাক্টর: বিভিন্ন কারনে হৃদরোগে অাক্রন্ত হওয়ার অাশঙ্কা থাকে, যাকে বলা হয় রিস্ক ফ্যাক্টর বা ঝুঁকিসমূহ।কিছু কিছু  সহজেই নিয়ন্ত্রনযোগ্য  অার     কিছু         অনিয়ন্ত্রনযোগ্য  ।     অনিয়ন্ত্রনযোগ্য রিস্ক বা ফ্যাক্টরগুল হলো
বয়স,লিঙ্গ,ও বংশগত। নিয়ন্ত্রনযোগ্য
রিস্ক বা ফ্যাক্টর গুলোর মধ্যে রয়েছে ধূমপান, উচ্চ রক্তচাপ,রক্তে কোলেস্টেরলের অাধিক,ডায়াবেটিস, মুটিয়ে যাওয়া, কায়িক পরিশ্রমের অভাব, চর্বি জাতিয় খাদ্য বেশি এবং অাশ জাতীয় খাদ্য কম খাওয়া, মানসিক চাপ,মদ্যপান, জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খাওয়া ইত্যাদি।



কি করে বুঝবেন হৃদরোগে অাক্রান্ত হলেন কিনা... ?
কিছু কিছু লক্ষন অনুভব করলে হৃদরোগ হতে পারে বলে ধারনা করতে পারেন। নিন্মে কিছু টিপস দেওয়া হলো--মাঝে মাঝে সামান্য বুকে ব্যথা বা চাপা চাপা ভাব অনুভব করেন। বিশেষ করে পরিশ্রম বা হাঁটাচলা সিঁড়িতে ওঠানামা করলে এমনকি খাওয়ার সময়ও বুকের ব্যথা নিলে কমে যায়। হঠাৎ খুব বেশি বুকের মাঝে ব্যথা অনুভূত হওয়া, যা বাম হাতের দিকে এমনকি গলা বা চোয়ালেও ছড়িয়ে যায়।হঠাৎ কাশি বা তীব্রতর শ্বাসকষ্ট, অস্বস্তিবোধ, দুর্বলতা বা ক্লান্তিবোধ হওয়া।



বুকের ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব এমনকি বমি হওয়া, শরীরে অতিরিক্ত  ঘাম, হঠাৎ মাথা ঘুরানো এমনকি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বুক ধড়ফড় করা এবং হৃৎক্রিয়ার ছন্দ বেড়ে যাওয়া।কোনো রকম ব্যথা ছাড়াও হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভূত হওয়া। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে বুকে তীব্র ব্যাথা অনুভূত নাও হতে পারে। তবে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে ঘাম ঝরা, মাথা ঘোরা ও ক্ষনিকের জন্য চেতনাহীন হয়ে পড়াটাই এই রোগীদের হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষন। হঠাৎ করে পেটে ব্যথা বা গ্যাস, বমি,বদ হজম,যাকে অনেকেই সাধারনত গ্যাস্ট্রিক মনে করে অবহেলা করেন।



যদি উপরোক্ত লক্ষনগুলো মনে হয়:
উপরের যেকোনো লক্ষন অনুভূত হলে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত, বিশেষ করে যারা অাগে বুকে মারাত্মকভাবে ব্যাথা হলে যদি কোন নিকটস্থ হাসপাতাল বা ক্লিনিক থাকে, তবে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানোর অনুরোধ করুন। অাপনি একা থাকলে সাহায্যের জন্য প্রতিবেশীকে ডাকুন এবং পাশ্ববর্তী হাসপাতালে নিয়ে যেতে অনুরোধ করুন,নিজে গাড়ি চালিয়ে না যাওয়াই ভালো। তবে নিছক প্রয়োজন হলে শেষ অাশ্রয় হিসেবে গাড়ি চালিয়ে চলে যাবেন।যদি অাগেই অাপনার হৃদরোগ সম্পর্কে জানা থাকে, তবে বুকে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাইট্রোগ্লিসারিন স্প্রে অথবা ট্যাবলেট জিহ্বার নিচে নিতে পারেন।
৩০০মিলিগ্রামের একটি অ্যাসপিরিন বড়ি কিছু খাওয়ার পর খেতে পারেন।





অধ্যাপক ডা.এ বি এম অাবদুল্লাহ
মেডিসিন অনুষদ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?