মিউজিক থেরাপিঃ
গান কার না পছন্দ বলুনতো...?

মন ভালতো সব ভাল।কোন নির্দিষ্ট মিউজিক আমাদেরকে হাসিখুশি,মন খারাপ,সবল,সজিব আরামবোধ করতে সাহায্য করে তোলে। মিউজিক হচ্ছে শরীর ও মনের ঔষধ।
মিউজিক আমাদের শরীরে করটিসল নামক হরমোনের মাত্রা কমিয়ে এনে চাপমুক্ত করে।
বর্তমানে মানুষ ইনসমনিয়া ও হতাশাজনিত রোগে ভুগছে,তাই ঘুমানোর আগে মিউজিক শুনলে ভালো ঘুম হবে।
একটি গবেষণায় প্রমানিত যে,মিউজিক গাড়ি চালানোর ভালো প্রভাব ফেলে।জ্যামে থাকাকালীন সময় হতাশা কাটিয়ে এটি মনকে ধীরস্থির করে এবং নিরাপদে গাড়ি চালাতে সহায়তা করে।
মিউজিক কোনো কিছু শিখতে ও মনে রাখতে সাহায্য করে থাকে।
সার্জারির আগে ও পরে রোগীদের মিউজিক শোনালে তাদের উদ্বেগ অনেকাংশে কাটানো সম্ভব হয়েথাকে।
মিউজিক এনডরফিন নামক হরমোন নিঃসরণ করে রোগীদের অস্বস্তি ও ব্যাথা কিছুটা হলেও লাঘব করে থাকে।
মিউজিক ব্রেইনের বিভিন্ন অংশে পৌঁছে ব্রেইনকে উত্তেজিত করে আলঝেইমার (স্ম্রিতিভংশ) থেকে অনেকটাই রক্ষা করেতোলে।
মিউজিক স্ট্রোকের রোগীকে তাড়াতাড়ি আরোগ্য লাভে সহায়তা করেথাকে।
মিউজিক ব্যায়াম করার গতি কম অথবা বৃদ্ধি, শারীরিক দক্ষতা, সহ্য ক্ষমতা ও লক্ষ্যবৃদ্ধিতে তাৎপর্যপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
মিউজিক ৯০ শতাংশ বাচ্চাদের শব্দচয়ন, বুদ্ধিমত্তা,মনোযোগ বাড়িয়ে বোঝার এবং ব্যাখ্যা করার ক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে।
মনে রাখা প্রয়োজন…সার্বক্ষণিক কানে হেডফোন ও উচ্চমাত্রায় মিউজিক শুনলে শরীর ও মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও কানের ও মস্তিষ্কের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন হতে পারে।
তাই গানশুনুন এতে মনটা ভাল থাকবে, অারাম করে ঘুমের মজা হেটফোন কানে দেখুন কেমন লাগে।
নিয়মিত গান শুনুন তবে সব-সময়
না। একটি নির্দিষ্ট সময় কাজের ফাকে গান হোক নিত্য সঙ্গি।

।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন