চা পানিয় হিসেবে খুবই জনপ্রিয় কিন্তু এর স্বাস্থ্য গুন কি...?
লাল চা পানিয় হিসেবে খুবই জনপ্রিয় তাই চলুন চায় চুমুক দিতে দিতে এর গুনাগুন কি দেখে নেই।
লাল চায়ের মধ্যে রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ। প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ লাল চা খেলে মনোযোগ বাড়ে। এর মধ্যে থাকা চায়ের ন্যাচারাল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সুরক্ষা দেয় বিভিন্ন রোগ থেকে।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত এক প্রতিদিনে বলা হয়েছে লাল চা খাওয়ার স্বাস্থ্যগত সকল উপকারিতার কথা। চলুন, জেনে নিই চায়ের গুনের সেসবের কথা।
☕হার্টের জন্য ভালোঃ
গবেষণায় বলা হয়, লাল চা খাওয়া কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। চা এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্ষতিকর স্বাস্থ্যগত কোলেস্টেরলের জারিত হওয়া প্রতিরোধে কাজ করে। নিয়মিত লাল চা খেলে হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে।
☕ক্যানসার প্রতিরোধেঃ
ক্যানসার প্রতিরোধে লাল চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রেক্টাল, জরায়ুর ক্যানসার, ফুসফুস ও ব্লাডার ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এটি স্তন ক্যানসার, প্রোস্টেট ক্যানসার ও পাকস্থলীর ক্যানসারও প্রতিরোধে কাজ করে।
☕রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
লাল চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর মধ্যে থাকা ট্যানিন ফ্লু, ঠান্ডা, ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। চার কাপ লাল চা প্রতিদিন গ্রহণ করলে প্রদাহ কমে।
☕মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ লাল চা বা রং চা স্বাস্থ্যকর চা কারন
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দাঁতের ক্ষয় তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা ফ্লোরাইড মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
☕মস্তিষ্ক ও স্নায়ু পদ্ধতিকে উদ্দীপ্ত করেঃ
লাল চা রক্তের পরিবহনকে উন্নত করে। এটি মস্তিষ্ককে শিথিল করতে সাহায্য করে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ায়। প্রতিদিন চার কাপ লাল চা খেলে মানসিক চাপ কমে।
☕হজম ভালো করেঃ লাল চা
এর মধ্যে থাকা ট্যানিন হজমো প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করে। লাল চা অন্ত্রের প্রদাহ প্রতিরোধেও কাজ করে।
☕ওজন হ্রাস করেঃ
লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন লাল চা বা রং চা এই পানীয়।
☕হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠেঃ অাপনার
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে
বলে স্বাস্থ্য বিষয়জ্ঞানীরা মনে করেন।
☕হাড়কে শক্তপোক্ত করেঃ
লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
☕হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ
প্রতিদিন লাল চা খেলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে। আসলে এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
☕স্ট্রেস কমায়ঃ
লাল চায়ে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা স্ট্রেস কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সঙ্গে মনকে চনমনে করে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
তবে কোন কিছু অতিমাত্রয় ভাল নয় তেমনি লাল চা পানিয় হিসেবে জনপ্রিয় হলেয় অতিমাত্রায় লাল চা পান ক্ষতিকর হতে পরে। দিনে চার /পাঁচ কাপের বেশী চা পান করা স্বাস্থ্যকর নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন