অামলকি কেন খাব...?

অামলকিঃপ্রতিদিন মাত্র একটি আমলকি খেয়ে আমাদের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমলকি শরীর ঠান্ডা রাখে, রক্ত, মাংস ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পায়খানা স্বাভাবিক রাখা ও পুরুষের দেহে বীর্য বর্ধক হিসাবে কাজ করে। চোখের জন্যও আমলকি বিশেষ ভাবে উপকারী।   প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে ১) পানি- ৯১.৪ গ্রাম, ২) খনিজ -০.৭ গ্রাম, ৩) প্রোটিন – ০.৯ গ্রাম, ৪) ক্যালসিয়াম – ৩৪.০ মিগ্রা, ৫) আয়রণ – ১.২ মিগ্রা, ৬) ভিটামিন বি১-১০.০২ মিগ্রা, ৭) ভিটামিন বি২-২০.০৮ মিগ্রা, ৮) ভিটামিন সি-৪৬৩ মিগ্রা। আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে আড়াই গুণ, লেবুর চেয়ে সাড়ে চার গুণ, আমের চেয়ে ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১১ গুণ, আমড়ার চেয়ে ৫ গুণ সহ সব ফলের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে বেশি ভিটামনি সি থাকে তাই পুষ্টিকর ফল হিসেবে অামলকি জনপ্রিয় ফল বলা চলে।

আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।বমি বন্ধে কাজ করে।দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী।
এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।এটি দাঁত,চুল ও ত্বক ভাল রাখে।এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়।কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল,রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর করতে সাহায্য করে।বহুমূত্র রোগে এটি উপকারী।চোখ উঠলে কাঁচা আমলকীর রস দিনে ২ ফোটা করে দুই বার দিলে ভাল আরাম পাওয়া যায়।
চুল ওঠা দূর করতে আমলকী বেশ উপকারী।চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে।ক্যান্সার

আমলকীর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ। গবেষণায় বলা হয়, আমলকি ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।প্রতিদিন সকালে আমলকীর জুস খাওয়া পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কাজ করে।আমলকী শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্যকারী করে এবং ওজন কমায়।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আমলকী খুব দ্রুত কাজ করে। আমলকীর গুঁড়ো মধু দিয়ে প্রতিদিন খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?