শশা অাজ অামাদের অতি পরিচিত জনপ্রিয় সবজি।
বছরে বারমাসি পাওয়া যায় শশা। শশা অপছন্দ এমন লোক খুজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব।
শশার গুনাগুনঃ শশায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী শশা। প্রত্যেকদিন ত্বকে শশার রস লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে।
আপনার ত্বক যদি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শশার রসের সঙ্গে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ রোজ ব্যবহার করলে সানবার্ন মুহূর্তে দূর হয়ে যাবে।
শশার বীজও মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম। যা রিঙ্কল মুক্ত করতে সাহায্য করে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
১) শশার মাল্টি ভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
২)শশার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
৩)এর ম্যাগনেসিয়াম রক্ত চলাচল সচল করে।
৪) শশার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে।
৫)এর ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস; লিগনান্স হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানোসহ জরায়ু ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৬)শশা মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। শরীরের জমানো ক্ষতিকর ও বিষাক্ত উপাদানগুলো অপসারণ করে রক্তকে পরিষ্কার রাখে।
৭)শশা বুক জ্বলা, পাকস্থলীর এসিডিটি এমনকি গ্যাস্ট্রিক থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৮)প্রতিদিন শশার জুস খেলে অ্যাকজিমা এবং গাউটে উপকার পাওয়া যায়। এটি ডায়াবেটিসও কিছুটা উপশম করে।
৮)শশা বাত-ব্যথা প্রশমনের জন্য শশা ও গাজর একসঙ্গে জুস বানিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
৯)শশার জুস কিডনি এবং গলব্লাডারের পাথর অপসারণে সহায়তা করে।
১০)শশা হাত ও পায়ের নখ ভাঙা প্রতিরোধ করে।
১১)পাইরিয়ার কারণে দাঁত ও মাড়ির রোগে শসা উপকারী।
১২)শশাতে পানি আছে শতকরা ৯৫ভাগ। এটি শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে এবং শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করে। শরীর শীতল রাখতে সহায়তা করে।
১৩)খোসাসহ শসা খাবার অভ্যাস আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য কে কমিয়ে দেবে অনেকখানি এবং আপনার অন্ত্র থেকে দেহের জন্য তিকর পদার্থগুলোকে বের করে দিয়ে অন্ত্রের ক্যান্সারের মত রোগ থেকে আপনাকে দেবে সুরক্ষা।
১৪)শশায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পটাশিয়াম আছে। এই পটাশিয়ামকে বিশেষজ্ঞরা হৃদযন্ত্রের বন্ধু বলে থাকেন। কারণ এই আয়নটি রক্তচাপ কমিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১৫) শশায় পানি এবং পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় এটি মৃদু মাত্রার মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে। যার দরুণ উচ্চরক্তচাপ ও ওজন কমাতে শশার ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া খাদ্যতালিকায় শসাকে নিয়মিত রেখে আপনি আপনার দেহের ইউরিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিডনি ও মূত্রথলির কতিপয় পাথর থেকে পেতে পারেন সুরক্ষা।
১৬)শশায় বিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ল্যুটেইন প্রভৃতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
১৭)
এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো শরীরের সুরায় বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। দেহযন্ত্রের নানাবিধ ক্রিয়া-বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হওয়া তিকর মুক্তআয়নগুলো (free redicals) থেকে শরীরকে সুরতি রাখে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো। তারুণ্য ধরে রাখতেও এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলোর জুড়ি নেই।
১৮)শুনতে একটু আজব হলেও একথা সত্যি যে শশায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে। ভিটামিন কে আমাদের দেহের হাড়গুলোকে সুস্থ রাখতে সবসময় অনবদ্য। শুধু তাই নয় স্নায়ুর ক্ষতিগ্রস্ততাকে কমিয়ে ‘আলঝেইমার ডিজিজ’-এর মত রোগেও নিরীহ শশা ভূমিকা রাখতে পারে বলে সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা মতপ্রকাশ করেছেন।
১৯)সৌন্দর্য চর্চায়ও আপনার সঙ্গী হতে পারে এই শশা। ত্বকের নানাবিধ সমস্যা, চোখের চারপাশের ফোলাভাবসহ ত্বকের সকল প্রকার কান্তি দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তুলতে শসার ভূমিকা খুব একটা কম নয়।
এগ্রোবাংলা।
২০)শশা পানি শূন্যতা দূর করতেঃ
শশা-পানি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে ও শরীরে সঠিক তাপমাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে, শরীরের টক্সিন পদার্থ দূর করে থাকে পানি। সারাদিনের কাজের শক্তি দিয়ে থাকে শশা-পানি।
২১) শশা পেশি মজবুত করতেঃ
শশাতে স্যলিক নামক উপাদান রয়েছে এই মিনারেলটি টিস্যুকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে। ব্যায়াম করার পর এক বোতল শসা পানি পান করুন। এটি পেশি মজবুত করতে সাহায্য করবে।
২২)শশা ওজন কমাতে সাহায্য করেঃ
আপনি কি ওজন কমাতে চাচ্ছেন? বাইরের কোক, সোডা জাতীয় পানীয় পান করার পরিবর্তে শশা পানি পান করুন। আপনি চাইলে এটি সারাদিন সাধারণ পানির মত পান করতে পারেন। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি ক্ষুধা কমিয়ে দিবে।
২৩)ত্বকের জন্যঃ
শশাতে থাকা সিলিকা ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে পরিষ্কার ও নমনীয় রাখতে সাহায্যকরে।অাপনার তকের মলিনতা অানতে শশা কার্যকর।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন