মশা মারতে কামান না মশাই দরকার হবে...





মশার আতংকে ভুগছে বিশ্ববাসী। বিশেষকরে উপমহাদেশে মশার উপদ্রবটা অবর্ণণীয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, মশার কামড়ে বিশ্বে বছরে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
যে কারণে মশা নিধনে নানা ধরণের প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা।
তবে মশা নির্মূল করতে এবার অদ্ভুত এক পরিকল্পনা নিয়েছে গুগল। তারা জানিয়েছে, মশা মারতে মশার আরও প্রজনন ঘটাতে হবে।
বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেট সম্প্রতি এমন অদ্ভুত কর্মপদ্ধতি ঠিক করছে।
২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেস্নোতে মশার বংশ নিধনে ‘ডিবাগ প্রজেক্ট' নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিল আলফাবেট পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
সেই প্রকল্পে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণাগারে মশার উৎপাদন শুরু হয়।
ওই গবেষণায় তৈরি করা হয় ওলবাখিয়া নামের ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত পুরুষ মশা। এসব পুরুষ মশাকে স্ত্রী মশাদের সঙ্গে মিলিত হতে ছেড়ে দেয়া হয়। এতে ওইসব পুরুষ মশার সংস্পর্ষে এসে স্ত্রী মশারা বন্ধ্যা হয়ে যায় এবং মশার বংশবৃদ্ধি আস্তে আস্তে কমে আসে।
গত ছয় মাসে এ কার্যক্রমের অধীনে ডিবাগ ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেস্নোতে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি সংক্রামিত মশার জন্ম দিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে।
এর ফলে স্ত্রী মশার জনসংখ্যা দুই তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করছেন প্রকল্পের বিজ্ঞানীরা।
এ বিষয়ে ডিবাগ তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই পদ্ধতি মশার প্রজনন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনবে। আমাদের শুরুটা ভালোই হয়েছে। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। আমরা বেশ কিছু কমিউনিটির সঙ্গে কাজ করতে উন্মুখ।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অাগরা শাক মানুষের জন্য ক্ষতিকর .....!

থানকুনি পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....?

Mia Khalifa মিয়া খলিফা sex সমাচার