পোস্টগুলি

ঢেঁড়শ এর গুন না পড়লে মিস করবেন স্বাস্থ্য কথা....

ছবি
ঢেঁড়শ বাংলার অতি পরিচিত সবজি সারা বছর বাজারে ঢেঁরশের ব্যাপক রকমের চাহিদা রয়েছে, এটি একটি লাভ জনক ফসল হিসেবেও খুবই জনপ্রিয়। ঢেঁড়শ অনেকে ভেন্ডি নামে চেনে থাকে, মালভেসি পরিবারের এক প্রকারের সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি তুলা, কোকো ও হিবিস্কাসের সাথে সম্পর্কিত। ঢেঁড়শ গাছের কাঁচা ফলকে সবজি হিসাবে খাওয়া হয়। ঢেঁড়শের বৈজ্ঞানিক নাম Abelmoschus esculentus; অথবা Hibiscus esculentus L। ঢেঁড়সে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেশিয়াম, লোহা ও ভিটামিন এ, বি, সি। এছাড়াও এতে রয়েছে ক্যারোটিন, ফলিক এসিড, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, অক্সালিক এসিড এবং অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড। এর রিবোফ্লাভিনের পরিমাণ বেগুন, মূলা, টমেটো ও শিমের চেয়েও বেশি। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এটি খাওয়া ভালো। জেনে নিন ঢেঁড়সের বিস্ময়কর উপকারী ও ওষুধিগুণ সম্পর্কে- ঢেঁড়শ গাছ একটি বর্ষজীবী উদ্ভিদ, যা ২ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এর পাতা ১০-২০ সেমি দীর্ঘ এবং চওড়া। পাতায় ৫-৭টি অংশ থাকে। ফুল হয় ৪-৮ সেমি চওড়া, পাঁপড়ির রঙ সাদাটে হলুদ, ৫টি পাঁপড়ি থাকে। প্রতিটি পাঁপড়ির কেন্দ্রে ...

স্বপ্নদোষ কি......?

ছবি
সাধারনত অবিবাহিত পুরুষ এর ক্ষেত্রে, ১৫ বছর বয়সে সপ্তাহে ০. ৩৬ বার থেকে শুরু করে ৪০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৮ বার স্বপ্নদোষ হয়। বিবাহিত পুরুষদের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ১৯ বছর বয়সী ছেলেদের সপ্তাহে ০.২৩ বার থেকে ৫০ বছর বয়সী পুরুষদের সপ্তাহে ০.১৫ বার হয়। কিছু পুরুষ কেবল একটা নির্দিষ্ট বয়সে এ ধরনের স্বপ্ন দেখেন, পক্ষান্তরে অন্য বয়ঃসন্ধিকালের পর থেকেই সারাজীবন এ ধরনের স্বপ্ন দেখতে থাকেন। ঘন ঘন স্বপ্নদোষের সাথে ঘনঘন হস্তমৈথুন করার সুনিশ্চিত সম্পর্ক নেই। বিশ্বখ্যাত যৌন গবেষক আলফ্রেড কিনসে দেখেছেন, ‘ঘনঘন হস্তমৈথুন এবং ঘনঘন যৌন উত্তেজক স্বপ্নের মধ্যে কিছুটা সম্পর্ক থাকতে পারে। সাধারণভাবে যেসব পুরুষের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, তারা কম হস্তমৈথুন করেন। এসব পুরুষের কেউ কেউ গর্বিত হন এই ভেবে যে, তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়, এ কারণে তারা হস্তমৈথুন করেন না। অথচ এদের বেলায় উল্টোটা সত্যি। তারা হস্তমৈথুন করেন না কারণ তাদের ঘনঘন স্বপ্নদোষ হয়।’ একজন পুরুষের স্বপ্নদোষের মাত্রা বেড়ে যায় যদি তিনি টেস্টোসটেরনসমৃদ্ধ ওষুধ গ্রহণ করেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কিছুসংখ্যক বালক টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ানোর ...

গাজর এর উপকারিতা কি....?

ছবি
গাজর হচ্ছে Apiaceae উদ্ভিদ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং এর নামটি এসেছে karaton নামক গ্রিক শব্দ থেকে। আমেরিকান কৃষি বিভাগের মতে মধ্যম আকৃতির একটি গাজর বা আধা কাপ গাজর কুচি হচ্ছে এক পরিবেশন পরিমান আর এই এক পরিবেশন গাজরে রয়েছে ২৫ ক্যালরি, ৬ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম সুগার এবং ১ গ্রাম প্রোটিন। গাজরের পুষ্টিগুন: গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, কে, খাদ্য আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফোলেট, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংক। এছাড়া গাজরে আরো রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন এ উৎপাদক বিটা ক্যারোটিন যার উপস্থিতির কারনে গাজরের উজ্জ্বল কমলা রঙ হয়ে থাকে। চলুন এবার জানা যাক গাজরের উপকারিতা গুলো সম্পর্কে: স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রয়েছে গাজরের রয়েছে অনন্য উপকারিতা, তার মধ্যে কিছু উপকারিতা হচ্ছেঃ- চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিঃ গাজর চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গাজরে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন পরবর্তিতে ভিটামিন এ’তে রূপান্তরিত হয়। ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে, চোখের কোষকলা তৈরীতে সাহায্য করে। রাতকানা, গ্লুকোমা ইত্যাদি রোগ প্রতিরোধ করে। ক্যান্সার প...

অাঙ্গুরের গুন কি...?

ছবি
আঙ্গুরের প্রায় ৭৯ শতাংশই পানি। এ ছাড়া, এতে ফ্রুকটোজ এবং খনিজ উপাদানসহ দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান আছে।সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইনকোনসিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আঙ্গুরে এক ধরনের লোহিত উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। 'রেজভারেট্রল' নামের এই রাসায়নিক উপাদান হৃৎপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলোকে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। কম ক্যালোরিযুক্ত এ লোহিত দীর্ঘদিন ধরে আঙুরকে শুধু যৌনতার প্রতীক হিসেবেই দেখানো হয়েছে। কিন্তু আঙুর শুধু প্রতীক কেন হতে যাবে যৌনতার? আঙুর খেলে যৌনসম্পর্ক ভালো থাকে। তাই এবার থেকে রোজ একটু করে আঙুর খান। রসালো হবে আপনার জীবন।উপাদান আয়ু বাড়ায় এবং বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে কমিয়ে দেয়। এ ছাড়া, ভিটামিন এ, বি, সি ছাড়াও আঙ্গুরে রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লৌহ, আয়োডিন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদান। আঙ্গুরের ফ্রুকটোজ সহজে রক্তে প্রবেশ করতে পারে এবং একে গুরুত্বপূর্ণ শর্করা হিসেবে গণ্য করা হয়। পবিত্র কোরআনে অন্তত ১১টি আয়াতে আঙ্গুরের উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত আলী (আ) আঙ্গুরকে শুধু উপকারী ফলই বলেননি একে ও পুর্ণাঙ্গ খাদ্য হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। চ...

কাজুবাদাম কেন খাবেন...?

ছবি
কাজুবাদাম যে কোনো খাবারের স্বাদ অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এই বাদামে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল, ভিটামিন এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্টস রয়েছে।পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজু বাদামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে উপস্থিত প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। শুধু তাই নয়, কাজু বাদামে ভিটামিনের মাত্রা এত বেশি থাকে যে চিকিৎসকেরা একে প্রকৃতিক ভিটামিন ট্যাবলেট নামেও ডেকে থাকেন।শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে কাজু বাদাম খাওয়ার কোনো বিকল্প হয় না। গবেষণায় জানা গেছে, যারা নিয়মিত বাদাম খান, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। এছাড়াও তাদের মধ্যে ক্যানসার ও হৃদরোগের হার কম থাকে। জেনে নিন কাজুবাদামের নানা উপকারিতা ও ব্যবহার- সুস্থ হৃৎপিণ্ড : কাজুবাদামে ভালো ফ্যাট থাকে এবং এতে কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। দেহের বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এই বাদাম। এতে রয়েছে অলেইক অ্যাসিড, যা হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারী। সবল হাড় ও মাংসপেশি : কাজুবাদাম ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ, যা সুগঠিত হাড়, মাংসপেশি ও স্নায়ুর জন্য খুবই দরকারি। মানুষের শরীরে দিনে ৩০০-৭৫০ গ্রা...

হাঁপানি কি.....? এর চিকিৎসা কি...?

ছবি
শ্বাসকষ্ট মানেই কিন্তু অ্যাজমা নয়। অ্যাজমা ছাড়াও আরও নানান কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যেমন- হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসকষ্ট হতে পারে, যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের হতে পারে এছাড়াও কিডনি রোগের ক্ষেত্রেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ে ভুলধারনা প্রচলিত অাছে মনে রাখুন যে ধুলা কিন্ত হাঁপানির কারণ নয়। যদি কারণই হবে, তাহলে সব মানুষের ধুলা তে শ্বসকষ্ট হচ্ছে না কেন? এর থেকে বুঝা গেলো ধুলা হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালীর ভিতর লুকিয়ে থাকা রোগকে প্রকাশ করে মাত্র। কারণ হিসাবে উত্তেজক বা ট্রিগার ফ্যাক্টরগুলিকে কয়েকটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উত্তেজকের উপর নির্ভর কারে হাঁপানি বা এ্যাজমা সাধারণত নিম্ন ধরনের- * এ্যালার্জির কারনে এ্যাজমা। * ভাইরাস সংক্রমণের কারনে এ্যাজমা। * ব্যায়ামের কারণে এ্যাজমা। * পেশাগত কারণে এ্যাজমা। * আবহাওয়ার কারণে এ্যাজমা। * ঔষধের কারনে এ্যাজমা। * মানসিক চাপ-এর কারণে এ্যাজমা। এ্যালার্জির কারনে এ্যাজমাঃ এই ধরনের এ্যাজমা সবচেয়ে বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এই এ্যাজমা সাধারণত অল্প বয়সে শুরুহয় এবং বংশান...

রক্তে চর্বি চিকিৎসা এবং গাইড লাইন...

ছবি
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও আরও কিছু রোগ আছে-যার জন্য রোগীর মধ্যে তেমন কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। তেমনই একটি রোগ ডিসলিপিডেমিয়া। আমাদের দেহের রক্তের মধ্যে অনেক উপাদান রয়েছে যার মধ্যে লিপিড (চর্বি) একটি অন্যতম উপাদান এবং এটি শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। লিপিডের মৌলিক উপাদান ৪টি। কলেস্টেরল, হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, লোডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন এবং ট্রাইগ্লিসেরাইড। এই উপাদানগুলো রক্তের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে থাকে। যদি কোনো কারণে যে কোনো একটি উপাদান বেশি অথবা কম হয় তখনই তাকে বলে ডিসলিপিডেমিয়া। মোটা মানুষের শরীরে চর্বি বা মেদ বেশি এটি সত্য। তাই বলে মোটা হলেই যে তার শরীরে লিপিড বেশি থাকবে এটি ঠিক নয়। পক্ষান্তরে স্বাভাবিকের তুলনায় কম ওজনের মানুষ ডিসলিপিডেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। অথাৎ লিপিডের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। অনেকের চোখের উপরের পাতার বা নিচের পাতায় চর্বি জমে ফুলে থাকে- এটিকে জ্যানথেল অ্যাজমা বলা হয়। রক্ত পরীক্ষা করলে তাদের রক্তে অনেক সময় কলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। কারণঃ ডিসলিপিডেমিয়ার সঠিক কারণ আজও জানা যায়নি। তবে জেনেটিক, বংশগত বা পারিবা...