পোস্টগুলি

হার্ট ব্লক দীর্ঘসময় সুস্থ স্বা্ভাবিক জীবনযাপন করতে গাইড লাইন...!

ছবি
রক্তনালীর ভিতর চর্বিজাতীয় পদার্থ জমা হতে হতে রক্তনার মাঝখান দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার পথকে সম্পূর্ন বা অাংশিকভাবে বন্ধ (ব্লক) করে দেয়াকেই হার্ট ব্লক বলা হয়ে থাকে।রক্তনালিতে চর্বিজাতীয় বস্তু খুব ধীরে ধীরে জমা হতে থাকে তাই হার্ট ব্লক খুবই ধীর গতিতে বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।যেমন ধরুন একটি ব্লক ১০% থেকে বৃদ্ধি পেতে পেতে ৮০% এ পৌছাতে ব্যক্তিভেদে ১০থেকে ৩০/৪০ বছর সময় লাগতে পারে। তাই বলা হয়ে থাকে হাট ব্লক নিয়ে একজন দীর্ঘসময় সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।হার্ট ব্লকের সংখ্যা এবং পারসেন্টেজ একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় না পৌছানো পর্যন্ত রোগী কোনরূপ শারীরিকভাবে অসুস্থতা বোধ করেন না। হার্ট ব্লকের কারনে রোগীর হার্টের রক্ত সরবরাহের স্বল্পতা দেখা দেয়।হার্ট  ব্লক এর (%) পার্সেন্টেজ বৃদ্ধি পেলে ব্লকের ভাটির দিকের অংশে রক্ত সরবরাহ কমে যায় ফলশ্রুতিতে প্রথমিক পর্যায়ে পরিশ্রম বা টেনশনকালীন সময় রক্ত সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় এ সময় রোগী বুকে চাপ, ব্যথা,বুক ধরফর বা সহজে হয়রান বা পেরেশান হয়ে পড়েন। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী বিশ্রম নিলে বা টেনশনমুক্ত হলে অতি অল্প সময়েই উপসর্গগুলো থেকে রেহাই পান এবং সুস্থতাবোধ ...

কালিজিরার উপকারিতা কি...?

ছবি
কালিজিরা এর বৈজ্ঞানিক নাম Nigella Sativa Linn। এর স্ত্রী, পুরুষ দুই ধরণের ফুল হয়, রং সাধারণত হয় নীলচে সাদা (জাত বিশেষে হলুদাভ), পাঁচটি পাঁপড়ি বিশিষ্ট । কিনারায় একটা রাড়তি অংশ থাকে। তিন-কোনা আকৃতির কালো রং এর বীজ হয় । গোলাকার ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে । আয়ুর্বেদীয় , ইউনানী, কবিরাজী ও লোকজ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। মশলা হিসাবে ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে, এটি পাঁচ ফোড়নের একটি উপাদান। বীজ থেকে পাওয়া তেল। স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিঃ এক চা-চামচ পুদিনাপাতার রস বা কমলার রস বা এক কাপ রঙ চায়ের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল মিশিয়ে দিনে তিনবার করে নিয়মিত সেব্য। যা দুশ্চিন্ত দূর করে। এছাড়া কালোজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালোজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক। মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির মাধ্যমে স্মরণ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। এতে করে মস্তিস্কের রক্ত সঞ্চলন বৃদ্ধির হয়। যা আমাদের স্মৃতি শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। মাথাব্যথাঃ কালিজিরা অাপনার মাথা ব্যথায় খুবই উপকারি। মাথা...

গরুর মাংস খাবার অাগে দেখুন....

ছবি
অামাদের দেশের গরুর মাংস অনেকেরই প্রিয় খাবার তবে অতিরিক্ত মাংস স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।বেশি মাংস খেলে বেড়ে যায়  ক্যান্সারের ঝুঁকি। অস্ট্রেলিয়ার বাওয়েল ক্যান্সার সংগঠনের মতে, সপ্তাহে ৫০০ গ্রামের বেশি মাংস না খেলে অন্ত্রের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশ  কমান যায়। মাংস খাওয়া যেতে পারে চর্বি বাদ দিয়ে। তবে তা অবশ্যই অতিরিক্ত নয়। কেননা অতিরিক্ত কিছুই শরীরের জন্য ভাল নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সপ্তাহে ৫ দিনের বেশি মাংস খাওয়া উচিৎ নয়। অাপনি মাংস খাওয়ার সময় সংযমী হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ খান কখন বেশী খাবেন না। এক্ষেত্রে দিনে ৬৫/৭০ গ্রামের বেশি মাংস না খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সব সময় মাংস না খেয়ে মাংসের বদলে নজর দিন ফলমূল, মাছ, শাকসবজির দিকে। নতুন কোনো রেসিপিও ট্রাই করে দেখতে পারেন প্রতিদিন । প্রতি বছর কমপক্ষে এক সপ্তাহ মাংস ছাড়া থাকার চেষ্টা করুন।প্রতি সপ্তাহে দুদিন মাংসের বদলে খেয়ে নিন অন্য কিছু ডাল তরকারি । এই দুদিন নাহয় পছন্দের রেস্তোরাঁগুলো থেকে একটু দূরেই থাকুন! রোগা পশু জবেহ থেকে বিরত থাকুনঃরোগাক্রান্ত গরু/ছাগল জবাই করে তার মাংস খেলে তার মাংসের জীবাণু দেহে বিষ উৎ...

জন্ম নিয়ন্ত্রন করবে মোবাইল এ্যাপ...!

ছবি
মার্কিন সংস্কারক মার্গারেট সেনগার ১৯১৪ সালে দ্যা ওমেন রেবেল নামক একটি আট পৃষ্ঠার মাসিক পত্রিকা চালু করেন এবং এর মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রনের প্রসার শুরু করেন। ইংরেজি 'বার্থ কন্ট্রোল' শব্দটিও তিনিই প্রচলন করেন। ১৯৬০ এর দশকে জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি ও জরাযুস্থ গর্ভ-নিরোধক কলের বানিজ্যিক উত্পাদন শুরু হলে সাধারণ জনগনের মধ্যে এটি কার্যকর বিস্তার লাভ করে। এবার অবাক  হওয়ার মত খবর হলেও সত্য।প্রাচিন কালথেকে মানুষ জন্ম নিয়ন্ত্রণ রোধে বিভিন্ন  পন্থা ব্যাবহার করলেও এখন এ্যাপ জন্মনিরোধ করবে তা কল্পনার বিষয় অার এমন খবর গুজব নয় সত্য। অামাদের সমাজে  রয়েছে বিভিন্ন জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। উন্নয়নশীল দেশে প্রায় ২২২ মিলিয়ন নারী গর্ভাবস্থা এড়াতে কোনো আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করে না। উন্নয়নশীল দেশে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারে ৪০% প্রসবকালীন মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে (প্রায় ২৭০.০০০ মৃত্যু ২০০৮ সালে প্রতিরোধকারী) এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সম্পূর্ণ চাহিদা পূরণ করা হলে প্রায় ৭০% মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে সক্ষম হবে। গর্ভধারণের মধ্যে সময় দীর্ঘায়ীত দ্বারা, জন্ম নিয়ন্ত্...

যৌনশক্তির জন্য ঔষধ কি ভাল...?

ছবি
যৌনতা বিষয় অামাদের সমাজ অাজও অনেকাংশে পিছিয়ে। বাংলাদেশের সকল পাঠ্যবিষয়  Sex বা যৌনতা বিষয়   না থাকার ফলে এর প্রতি অামরা অনেক প্রকার ভুল  জ্ঞান কে পুঁজি করে সমাজে হারবাল, কবিরাজি, হমিওপতি, চিকিৎসা করাহয়ে থাকে যার ৯০% ভুল।  নতুন দাম্পত্য জীবনের জন্য যৌনবিষয়ক জ্ঞান রাখা সব নারী-পুরুষের একান্ত প্রয়োজন বলে মনেকরি। তবে যৌনতাকে এরিয়ে চলার মানে  সুন্দর জীবন না, কারণ সামান্য ভুলের মাসুল গুনতে হতে পারে সারাজীবন ধরে। যেসব পুরুষ বা নারী শখের বশে বা নিয়মিত সহবাসের আগে যৌন উত্তেজক ঔষধ যেমন ইয়াবা, ভায়াগ্রা বা অন্য কোনো হারবাল ঔষধ  ট্যাবলেট সেবন করেন, তাদের জন্য এ ঔষধগুলোই এক সময় দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে মানব সম্প্রদায়ের যৌনতার ইতিহাসে জৈবিক তেমন কোন পরিবর্তন না আসলেও সামাজিক প্রতিবেশ যৌনতার ইতিহাসকে ক্রমশ পরিবর্তিত ফরমে নিয়ে এসেছে এবং ভবিষ্যতেও নিয়ে যাবে। বানর, শিম্পাঞ্জি বা একই পর্বের অন্যান্য প্রাণিদের যৌন-আচরণ পুরোপুরি জৈবিক ও একই রকম থাকলেও শুধুমাত্র মানুষের ক্ষেত্রে কয়েক লক্ষ বছরে কয়েক লক্ষ রকমের পরিবর্তন এসেছে। কারণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। ...

কাঁচকলার স্বাস্থ্যকর গুন এর সোলকলা....

ছবি
কাঁচকলার  সোল কলা: গ্রামবাংলা হাট বাজার শহর বন্দর সকলের কাঁচা কলা পছন্দ সাধারণের কাছে কাঁচকলা নামে পরিচিত, স্বাস্থ্য গবেষকগন কাঁচকলা ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশায় বা ব্লাড ডিসেন্ট্রিতে উপকারী বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।  স্বাস্থ্যকর খাদ্যর মধ্যে ১-২ বছর বয়সের ২০০ শিশুর ওপর পরিচালিত এই একটি গবেষণায় দেখা গেছে, শতকরা ৭০-৮৫ ভাগ ক্ষেত্রে ২-৪ দিনের মধ্যে ডায়ারিয়া ও রক্ত আমাশয়ে আক্রান্ত শিশুরা সেরে উঠছে। গবেষণায় বলা হয়েছে কাঁচকলায় রয়েছে বিশেষ ধরনের স্টার্চ বা শকরা জাতীয় উপাদান, যা মানুষের হজমযোগ্য নয়। এই উপাদানটি পরিপাকনালী পৌঁছার পর সেখানে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে ফ্যাটি এসিডে পরিণত হয়। এ ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাকনালী থেকে লবণ ও পানিকে শোষণ করে ধরে রাখার মাধ্যমে ডায়রিয়া রোধ করে। এ গবেষনার সময় ২৫০ গ্রাম সিদ্ধ করা কাঁচকলার সঙ্গে ১০ গ্রাম চালের গুঁড়া এক সঙ্গে রান্না করে ধকধকে জাউ হিসেবে চামচ দিয়ে শিশুদের খাওয়ানো হয়, যেহেতু চার মাস বয়সের আগে শিশুদের হজমক্ষমতা পূর্ণতা পায় না; তাই এই বয়সের আগে কাঁচকলার এই জাউ খাইয়ে কোনো লাভ হবে না। কিন্তু সব বয়সের ক...

তোকমার স্বাস্থ্য উপকারিতা কি....? দেখুন তোকমার তেলেসমাতি চমক...!

ছবি
তোকমার আদি নিবাস মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার  অঞ্চল। এটি সাধারণতঃ ১–১.৫ মি (৩.৩–৪.৯ ফু) লম্বা হয়; কখনো কখনো এটি ৩ মি (৯.৮ ফু) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। এর কান্ড রোমশ এবং প্রস্থচ্ছেদ বর্গাকার। এর পাতা দ্বি-পার্শ্বীয়, ২–১০ সেমি (০.৭৯–৩.৯৪ ইঞ্চি) লম্বা, কিনারা অগভীর খাঁজকাটা। পাতা থেঁতলানো হলে উগ্র গন্ধ বের হয়। এর ফুল বেগুনি বা গোলাপি, গুচ্ছফুল। তোকমা বৈজ্ঞানিক নাম Hyptis suaveolens,   স্বাস্থ্যপদ হিসেবে তোকমার গুন অতুলনীয়। তোকমার স্বাস্থ্য  রক্ষায় মূলত ব্যবহার করা হয় তোকমা গাছের বীজ। এই বীজ দিয়ে শরবত তৈরি সহ নানান উপায়ে খাওয়া হয় ভেষজ গুণাবলি পেতে, গুঁড়ো করে ব্যবহার করা যায় রূপচর্চাতেও। বিশেষ করে ওজন কমাতে দারুণ উপকারী তোকমার বীজ। এই বীজ দ্বারা তৈরি শরবত বিপাকক্রিয়ার হার কমায়, অতিরিক্ত ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, রক্তে ভালো কোলেস্টরল তৈরি করে। আর তাই বাড়তি ওজন হটিয়ে শরীরকে সুস্থ ও আকর্ষণীয় রাখতে তোকমা অন্যতম কার্যকরী ভেষজ উপাদান। তোকমা বীজের তেল গ্যাস্ট্রিক বা এসিডিটির সমস্যা দূর করতে সক্ষম। তোকমা খেলে ক্ষুধাভাব কমে আসে। পেট ভরা অনুভুত হয় বলে ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে। ...